আব্দুর রাজ্জাকঃ জমি সীমানা দিক নির্ধারণ নিয়ে এক ইউপি সদস্যর বাড়িতে অমিমাংসিত শালিশ শেষে সাঘাটা সীমান্তে ধাওয়া সোনাতলা সীমান্তে মারপিটে উভয় পক্ষের ৩ জন আহত হয়েছেন।
আহতরা সোনাতলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। আহতরা হলেন গাইবান্ধা জেলার সাঘাটা উপজেলার জুমারবাড়ি ইউনিয়নের কামারপাড়া গ্রামের মোঃ আবু জাফর প্রাং এর ছেলে সাইফুল ইসলাম ও প্রতিপক্ষ মৃত গোলজার প্রাং এর ছেলে মাওলা প্রাং এবং সোনাতলা উপজেলার মধুপুর ইউনিয়নের গারামারা গ্রামের ইন্তাজের ছেলে আতাউল ইসলাম। ঘটনাটি ঘটেছে ২১ মে রবিবার দুপুরে উপজেলার মধুপুর ইউনিয়নের গারামারা সাজু ইসলামের উঠানে।
এঘটনায় আহত সাইফুল ইসলাম জানান, আমার বাবারা চার ভাই দাদার দেওয়া পৈত্রিক ৪বিঘা জমির উপর বাবা ও ৩ চাচার লম্বা লম্বি জায়গা নির্ধারণ করে দীর্ঘদিন ধরে বসবাস করে আসছেন। আমরা দুভাই তখন ছোট আমার বাবা মুখবদি ঠিকমতো কথা বলতে পারেনা, তাই তাকে সব শেষে রাস্তার ধারে নির্ধারিত করে দেয়। সে থেকে আমরা বাবাসহ দুভাই সেভাবে বাড়িতে বসবাস করে আসছি। কিছু দিন পূর্বে থেকে আমার দুই চাচা মাওলা ও ফিরোজ মিলে জমির পূর্ব পশ্চিম নির্ধাণকৃত জমি উত্তর দক্ষিণ বরাবর ভাগাভাগি করতে কয়েক দফায় শালিস বৈঠকে করে। এক পর্যায়ে থানায় আমাদের নামে মামলা করে। বাড়িতে জায়গা সংকৃর্ণ হওয়ায় আমাদের সীমানায় বাড়ির পিছনে ঘর নির্মাণের কাজ শুরু করি। এতে আমার চাচা ফিরোজ পাশ্ববর্তী উপজেলার মধুপুর ইউনিয়নের গারামারা গ্রামের টুকু মেম্বারের বাড়িতে গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গের উপস্থিতে আবারও শালিস বৈঠক বসায়। শালিসি বৈঠকে সমাধান না হওয়ায় আমরা আমাদের বাড়িতে আসি। পরবর্তীতে বাড়ির উঠানে আমার চাচা মাওলা ও ফিরোজ ভাতিজা লেমন ও দুই চাচি সবাই মিলে লাঠি সোডা নিয়ে অতর্কিত হামলা করে। প্রাণভয়ে সীমান্তবর্তী সোনাতলা উপজেলার সাজূর উঠান দিয়ে দৌড়ে পালাতে যাই। সেখানেই তারা এলোপাথাড়ি ভাবে মারপিট শুরু করে এতে আমি গুরুতর আহত হই। আমাকে উদ্ধার করতে পাশ্ববর্তি গ্রামের ইন্তাজের ছেলে আতাউল এগিয়ে আসলে তারা তাকেও এলোপাথাড়ি মারপিট শুরু করে। তাদের লাঠির আঘাতে তার মাথা ফেটে গুরুতর আহত হয়। পরে স্থানীয়রা উদ্ধার করে আমাদের কে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে দেন।
এবিষয়ে আহত আতাউল ইসলাম জানান, আমি আমাদের বাড়ির উঠানে দাঁড়িয়ে আছি হঠাৎ দেখতে পাই সাইফুল ইসলাম কে কয়েকজন মিলে লাঠি দিয়ে পিটাচ্ছে। আমি তাদেরকে কেন মারপিট করছে জিজ্ঞাসা করতেই তারা ক্ষিপ্ত হয়ে আমাকে লাঠি দিয়ে মারপিট শুরু করে। এতে আমার মাথা ফেটে যায় মাথায় ৫টি সেলাই হয়। আমার সাথে কোন সম্পর্ক নাই তাদের তবে কেন আমাকে মারপিট করলো। আমার বাড়ি সোনাতলা উপজেলার ভিতর আর তাদের বাড়ি সাঘাটা উপজেলার ভিতর।
এ ঘটনায় ফিরোজ বাদি হয়ে সাঘাটা থানায় অভিযোগ দায়ের করেছে। অভিযোগ পেয়ে সাঘাটা থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। এ রিপোর্ট লেখা অবদি সাইফুল পক্ষে মামলার প্রস্তুতি চলছিলো।
Leave a Reply