কাহালু (বগুড়া) প্রতিনিধিঃ বগুড়ার কাহালুতে অস্ত্র আইনসহ একাধিক মামলার আসামী আতা বাহিনীর বেদম মারপিটের শিকার ইউপি মেম্বার আঃ সামাদ (৬০) গুরুত্বরভাবে জখম হয়ে চিকিৎসার জন্য কাহালু হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। আঃ সামাদ মালঞ্চা ইউপির ৮ নং ওয়ার্ড মেম্বার ও শিবাকলমা গ্রামের মৃত মোজাহার আলীর পুত্র।
ইউপি মেম্বার আঃ সামাদ জানান, স্থানীয় সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের লোকজনের কাছে মোটা অংকের টাকা চাঁদা দাবীসহ স্থানীয় জনগনের উপর দীর্ঘদিন ধরে অত্যাচার চালিয়ে আসছে আতাউর রহমান আতা ও তার বাহিনীর সদস্যরা। তার সন্ত্রাসী কাজে বাঁধা দেওয়ায় গত মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৯ টার দিকে কলমা বাজারের একরামের স্টল থেকে আমাকে ডেকে নিয়ে একটি মটরসাইকেলে তুলে নিয়ে যায়।
এরপর শিবা কলমা গ্রামের ইউছুফের বাগান বাড়িতে একটি টিনের ঘরের ভিতর নিয়ে গিয়ে সেখানে আতা ও অপরিচিত আরও ৫ জন আমাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে। আমি কারন জানতে চাইলে আতা ও তার বাহিনীর সদস্যরা আমাকে লোহার রড দিয়ে দু-পায়ে ও টি এলোপাথারীভাবে মারপিট করে চলে যায়। পরে স্থানীয় লোকজন ও আমার পরিবারের লোকজন আমাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে দেন।
মালঞ্চা ইউপি চেয়ারম্যান নেছার উদ্দিন জানান, আতা বাহিনীর অত্যাচারে হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজনসহ অনেকে অতিষ্ট। কেউ ভয়ে প্রতিবাদ করার সাহস পায়না। ইউপি মেম্বার সামাদ প্রতিবাদ করায় তাকে রাতের আধারে তুলে নিয়ে গিয়ে বেদম মারপিট করা হয়েছে। মোবাইল ফোনে আতাউর রহমান আতার সাথে কথা বলা হলে তিনি ইউপি মেম্বারকে মারপিটের কথা অস্বীকার করেন।
কাহালু থানার অফিসার ইনচার্জ আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, বর্তমানে দুটি অস্ত্র আইন মামলাসহ তার বিরুদ্ধে ৩ টি মামলা বিচারাধীন রয়েছে। এছাড়াও তার বিরুদ্ধে সন্ত্রাসী কর্মকান্ডসহ একাধিক অভিযোগ রয়েছে। ইতিপূর্বে তাকে গ্রেফতারও করা হয়েছিলো। আতাসহ অনেক অপরাধীদের বিরুদ্ধে সোচ্চার ছিলাম আমরা। সম্প্রতি আমার বদলীর খবরে আবার মাথা চাড়া দিয়েছে এই সন্ত্রাসীরা। ইউপি মেম্বারকে তুলে নিয়ে গিয়ে মারপিটের ঘটনায় তার বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলা নেওয়া হচ্ছে।
Leave a Reply