কাহালু (বগুড়া) প্রতিনিধিঃ কাহালু উপজেলার পাঁচপীর বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের কাছে প্রাইভেট না পড়ার জন্য দশম শ্রেণির ছাত্রীকে ক্লাশে ঢুকতে না দেওয়ার বিষয়টি এখন এলাকায় আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু হয়ে দাঁড়িয়েছে।
এদিকে বিষয়টি আপোষ-মিমাংশার জন্য চাপ সৃষ্টি করায় গত সোমবার ওই ছাত্রী ১৫ টি ঘুমের বড়ি খেয়ে হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পর বিষয়টি আরও জটিল আকার ধারণ করে। পরীক্ষার একদিন আগে গতকাল মঙ্গলবার সকাল ১০ টায় ওই বিদ্যালয়ের ছাত্রীরা ক্লাশ বর্জন করে প্রধান শিক্ষক মিজানুর রহমানের অপসারণের দাবীতে আন্দোলনে নামে।
ছাত্রীরা পাঁচপীর-শেখাহার সড়ক অবরোধ করে বিভিন্ন প্লেকার্ড হাতে নিয়ে প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে ¯েøাগান দেয়। বেলা সাড়ে ১১ টার দিকে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মোতাহার হোসেন ঘটনাস্থলে গিয়ে ছাত্রীদের শান্তনা দিয়ে ক্লাশে ফিরে যাওয়ার আহবান জানান। এসময় ছাত্রী ও তাদের অভিভাবক দাবী তোলেন প্রধান শিক্ষক স্কুল থেকে বের না হওয়া পর্যন্ত একজন ছাত্রীও ক্লাশে যাবেনা।
কিছুক্ষণ পর ঘটনাস্থলে কাহালু থানা পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করার চেষ্টা করেন। সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান বদরুজ্জামান খান বদের খানসহ উপস্থিত গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গের পরামর্শে পুলিশ ও মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার প্রধান শিক্ষককে স্কুল থেকে বের করে আনে পুলিশ প্রহরায়। প্রধান শিক্ষক স্কুল থেকে যাওয়ার পর ছাত্রীরা ক্লাশে ফিরে যায়। আপাতত স্কুলের শিক্ষার পরিবেশ ঠিক রাখাসহ ছাত্রীদের পরীক্ষার কথা বিবেচনা করে ওই বিদ্যালয়ের ধর্মীয় শিক্ষক এ, কে, এম ফজলে রাব্বিকে প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব পালনের জন্য মৌখিক বলা হয়।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার এই তথ্য নিশ্চিত করে বলেছেন এই বিদ্যালয়ের শিক্ষার পরিবেশ বজায় রাখাসহ পরীক্ষার কথা বিবেচনা করে অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে প্রধান শিক্ষককে ছুটিতে পাঠানো হয়েছে। প্রধান শিক্ষককে বরখাস্ত করা না করার এখতিয়ার ম্যানেজিং কমিটির। কিন্ত ৯ মাস ধরে বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটি না থাকায় সৃষ্ট ঘটনার বিষয়ে স্থানীয়ভাবে সিদ্ধান্ত নেওয়া সম্ভব হচ্ছেনা। তিনি আরও জানান প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে ছাত্রীর অভিযোগ প্রমাণিত। গত ১ জুন তদন্ত রির্পোট জেলা শিক্ষা অফিসে পাঠানো হয়েছে। প্রধান শিক্ষককে বরখাস্তের দাবীতে ছাত্রীদের আন্দোলন ও তাদের অভিভাবকদের দাবী-দাওয়ার বিষয়টি খুব শিঘ্রই একটি প্রতিবেদনের মাধ্যমে উর্ধতন কতৃপক্ষকে অবগত করা হবে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোছা মেরিনা আফরোজ জানান, বিষয়টি জানার পর পরই এই বিদ্যালয়ের শিক্ষার পরিবেশ স্বাভাবিক রাখতে মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারসহ ঘটনাস্থলে পুলিশকে পাঠানোর পর উদ্ভব পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়েছে। সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য বিষয়টি অবগত করা হবে।
সোনাতলা সংবাদে লিখতে পারেন আপনিও। যে কোনও তথ্য ও ভিডিও দিন নিচের WhatsApp নাম্বারে। প্রয়োজনে আপনার নাম ও পরিচয় গোপন রাখা হবে।
মোবাইল: ০১৭৭৪৬৫০৬৭১
E-mail: sonatalasangbad@gmail.com