মুনসুর রহমান তানসেন কাহালু থেকেঃ বগুড়ার কাহালু উপজেলার বিভিন্ন হাট-বাজারে জমে উঠেছে কোরবানির পশুরহাট। গত কয়েকদিন ধরে লক্ষ্য করা গেছে উপজেলার জামগ্রাম, বিবিরপুকুর, দূর্গাপুর মালঞ্চা ও কাহালু মাদ্রাসা মাঠের পশুরহাটে অসংখ্য গরু-ছাগল ও ভেড়া উঠেছে। কোরবানির পশুরহাটগুলোতে ক্রেতা-বিক্রেতার উপচে পড়া ভীড়। কোরবানির হাট-বাজারের শেষ মুহুর্তে এসে পশুরহাটগুলোতে কোথাও তিলধারণের ঠাই নেই। ক্রেতা-বিক্রেতা ও কোরবানির পশুর হাঁকডাকে পুরো এলাকা সরগরম হয়ে উঠেছে। ক্রেতা-বিক্রেতাদের কাছ থেকে জানা গেছে এবছর কোরবানির পশুরহাটে অসংখ্য বড় গরু উঠলেও বড় গরুর ক্রেতা কম। যারফলে বড় গরুর মুল্য তুলনা মূলকভাবে অনেক কম। অপরদিকে পশুরহাটে অসংখ্য ছাগল উঠলেও ছাগলের ক্রেতাও অনেক কম। তবে মাঝারী- ছোট সাইজের গরুর চাহিদা এবছর অনেক বেশী। যারা ছোট ও মাঝারী গরু কিনছে তাদেরকে অনেকটা বেশী মুল্য দিয়েই কিনতে হচ্ছে। গতকাল মঙ্গলবার কাহালু মাদ্রাসা মাঠে পশুরহাটে গিয়ে লক্ষ্য করা গেছে। মাদ্রাসার বিশাল পুরো মাঠ জুড়ে পশু আর ক্রেতা-বিক্রেতার উপচে পড়া ভীড়। এখানে বড় গরুর ক্রেতা কম হলেও বিক্রি হচ্ছে অসংখ্য ছোট ও মাঝারী সাইজের গরু। ক্রেতা-বিক্রেতার মতে এখানে দু-আড়াই লাখ টাকা মুল্যের অসংখ্য গরু উঠলেও তেমন ক্রেতা নেই। বেশীরভাগ মানুষ লাখ টাকার নীচে মুল্য সেই গরুগুলোই বেশী কিনছে। লাখ টাকার উপরে কিছু গরু বিক্রি হলেও তুলনা মূলকভাবে এই গরুগুলোর দাম অনেক কম। এদিকে উপজেলা নির্বাহী অফিসার পাপিয়া সুলতানা সরকারি বিধি মোতাবেক গরু-ছাগলের ছাপ নিদ্ধারণ করে দিয়েছে। নিদ্ধারিত গরুর ছাপ ৫০০ টাকা ও ছাগলের ছাপ ১৫০ টাকা করা হয়েছে। গরু-ছাগলের ক্রেতার কাছ থেকে অতিরিক্ত টাকায় আদায় করলে ইজারাদারের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানিয়েছেন ইউএনও পাপিয়া সুলতানা।
Leave a Reply