কাহালু (বগুড়া) প্রতিনিধিঃ কাহালুর আলোচিত মেধাবী ছাত্র নাঈমকে অপহরণের পর ইটভাটার চুল্লিতে পুড়িয়ে হত্যাকান্ডের ঘটনায় মৃত্যুদÐপ্রাপ্ত মূল আসামী যাকারিয়াসহ চারজন জেল থেকে পালানোর পর গ্রেফতার ঘটনা এখন এই জনপদ টক অব দ্য টাউনে পরিণত হয়েছে। মঙ্গলবার দিবাগত রাত তিনটার দিকে জেলখানার ছাদ কেটে রশির মাধ্যমে যাকারিয়াসহ চারজন মৃত্যুদÐপ্রাপ্ত কয়েদি পালিয়ে যায়।
পরে ঐ রাতেই পুলিশ অভিযান চালিয়ে তাদেরকে গ্রেফতার করে। জানা গেছে, ২০১২ সালের ৫ এপ্রিল কাহালু উচ্চ বিদ্যালয়ের ৭ম শ্রেণির মেধাবী ছাত্র নাঈমকে যাকারিয়াসহ কয়েকজন মিলে অপহরণ করে কাহালু চারমাথা এলাকায় একটি ঘরে আটকে রাখে। পরে নাঈমের বাবা রোস্তম চাপড়ের রফিকুল ইসলামের কাছে মোবাইল ফোনে ৫ লাখ টাকা মুক্তিপন দাবী করে যাকারিয়া চক্র।
এরপর নাঈমকে ইটভাটার চুল্লির আগুনে পুড়িয়ে ছাই করে দেওয়ার পর তার পিতার কাছ থেকে ৫ লাখ টাকা মুক্তিপন আদায় করে। এই ঘটনার পর থেকে জাকারিয়া পলাতক ছিল। ২০১৭ সালে এই মামলায় আদালতে যাকারিয়ার মৃত্যুদÐের আদেশ দেওয়া হয়। দীর্ঘ ১১ বছর পলাতক থাকার পর ২০২৩ সালের জুলাই মাসে যাকারিয়াকে নিজ বাড়ি থেকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
গত মঙ্গলবার দিবাগত রাতে জেল থেকে পালানোর পর আবার যাকারিয়া গ্রেফতার হওয়ার পর থেকে কাহালু পৌর সদর থেকে শুরু করে উপজেলার সব জায়গায় আবার নতুন করে যাকারিয়ার আলোচনায় বর্তমানে কাহালু এখন টক অব দ্যা টাউনে পরিণত হয়েছে।
সোনাতলা সংবাদে লিখতে পারেন আপনিও। যে কোনও তথ্য ও ভিডিও দিন নিচের WhatsApp নাম্বারে। প্রয়োজনে আপনার নাম ও পরিচয় গোপন রাখা হবে।
মোবাইল: ০১৭৭৪৬৫০৬৭১
E-mail: sonatalasangbad@gmail.com