গোলাম রব্বানী শিপন, মহাস্থান বগুড়াঃ বগুড়ার কাহালুতে বিয়ের ৮ মাস যেতে না যেতেই যৌতুকের কারণে রুমি (১৮) নামের এক গৃহবধুকে হত্যার অভিযোগ উঠেছে স্বামী জুয়েল রানা (২২) এর বিরুদ্ধে। বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে কাহালু উপজেলার পাইকড় ইউনিয়নের পিড়াপাট ফকিরপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে৷
স্থানীয় এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, পাইকড় ইউনিয়নের পিড়াপাট ফকিরপাড়া গ্রামের সাইদুল ইসলাম পুত্র জুয়েল রানা সে বগুড়া সদরের নুনগোলা ইউনিয়নের দাড়িয়াল মোন্নাপাড়া গ্রামের সেকেন্দার আলীর কন্যা রুমি আক্তার কে কোর্ট এভিডেভিডের মাধ্যমে গত ৮ মাস পূর্বে বিয়ে করেন৷ বিয়ের পর থেকেই যৌতুক লোভী জুয়েল রানা তাকে মারধর করতো। শুধু যৌতুকই নয় কারণে অকারণে পান থেকে চুন খসলেই অকথ্য ভাষায় গালাগালি করতো। এরই ধারাবাহিকতায় বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার দিকে যৌতুকের টাকা নিয়ে ঝগড়া হয় তাদের মধ্যে। একপর্যায়ে সকালে নববধু রুমির বিছানায় লাশ পাওয়া যায়। এসময় ঘরের মেঝেতে রক্তও পড়ে থাকতে দেখা যায়। পরে কাহালু থানা পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ এসে লাশের সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরী করে ময়নাতদন্তের জন্য বগুড়ার শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠায়। এঘটনার পর স্থানীয় উত্তেজিত জনতা ঘাতক স্বামী জুয়েল রানাকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেন।
নিহত রুমির বাবা-মায়ের দাবি “যৌতুক না পেয়ে আমার মেয়েকে হত্যা করেছে। আমি ওদের কঠিন শাস্তি চাই” “যেন যৌতুকের জন্য এমন জঘন্য ঘটনা কেউ কখনও আর ঘটাতে না পারে”।
কাহালু থানা পুলিশের অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মাহমুদ হাসান জানান, নিহতের আঙুলে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। তার স্বামী কে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে পেলেই মৃত্যু রহস্য জানা যাবে।
Leave a Reply