কাহালু (বগুড়া) প্রতিনিধিঃ বগুড়ার কাহালু উপজেলায় বর্ষাকালে প্রকৃতি বড়ই বিরূপ। আষাঢ় শেষে শ্রাবণ, বৃষ্টিপাত হচ্ছেনা তেমন। মাঝে-মধ্যে আকাশে মেঘ জমলেও আগের মত মুশুল ধারে হয়না বৃষিপাত। মাঠে মাঠে জমিতে জমছেনা রোপা আমন ধান চাষাবাদের প্রয়োজনীয় পানি। বৃষ্টিপাতে মাঠের জমি ভিজেনা ঠিকমত।
বৃষ্টিপাতের অভাবে বিভিন্ন মাঠে গভীর-অগভীর নলকুপ চালু করা হলেও অতিরিক্ত তাপমাত্রায় কোথাও বিকল হচ্ছে সেচযন্ত্র। বৃষ্টিপাতের অভাবে রোপা আমন চাষাবাদে বাড়তি খরচ খরচসহ নানা সমস্যায় অনেকটা বিপাকে পড়েছেন আমন ধান চাষিরা উপজেলা কৃষি অফিস সুত্র জানায়, চলতি মৌসুমে রোপা আমন ধান চাষাবাদের লক্ষমাত্রা ধরা হয়েছে ১৮ হাজার ৫০০ হেক্টর জমি। গতকাল মঙ্গলবার পর্যন্ত তথ্য নিয়ে দেখা গেছে লক্ষ মাত্রার মাত্র সিকিভাগ জমিতে আম ধান লাগানো হয়েছে।
একাধিক চাষির মতে শ্রাবণ মাসের ১৫ তারিখের মধ্যেই এলকার প্রায় সব মাঠেই আমন ধান লাগানো শেষ হয়ে যায়। শ্রাবণ মাসের ১৫ তারিখ পার হয়ে গেলে পানির অভাবে অধিকাংশ জমিতেই ধান লাগানো সম্ভব হয়নি। এদিকে লক্ষমাত্রা পুরুণ করতে কৃষি বিভাগের লোকজন মাঠ পর্যায়ে গিয়ে চাষিদের উদ্বুদ্ধ করা হচ্ছে সেচযন্ত্রের পানি দিয়ে হলেও যাতে সবাই তাদের জমি ফাঁকা না রেখে আমন ধান চাষাবাদ করেন। কৃষি অফিসের তথ্যমতে বৃষ্টিপাত ঠিকমত না হওয়ায় অত্র উপজেলায় ৫৬৮ টি গভীর ও ২৮০ অগভীর নলকুপ চালু করা হয়েছে। নলকুপ চালু হওয়ার পর উপজেলার অধিকাংশ মাঠে পুরোদমে আমন ধান চাষাবাদ শুরু হয়েছে।
এদিকে অতিরিক্ত তাপমাত্রায় সেচযন্ত্রের বৈদ্যুতিক টান্সফরমার ও মিটার পুড়িয়ে যাওয়াসহ সেচযন্ত্র বিকলও হওয়ার খবরও পাওয়া গেছে। উপজেলার শান্তা পশ্চিমপাড়া গভীর নলকুপ সমিতির কার্যকরী সদস্য ও আমন চাষি ইকবাল হোসেন জানান, আমাদের সমিতির অধীনে দুটি গভীর নলকুপ রয়েছে। অতিরিক্ত তাপমাত্রায় গত কয়েকদিন আগে এই দুটি নলকুপের বৈদ্যুতিক টান্সফরমার পুড়ে যায়। এছাড়াও অতিরিক্ত তাপমাত্রায় একটি বৈদ্যুতিক মিটারও পুড়ে যায়। দুইদিন আগে সেগুলো ঠক করে আবার গভীর নলকুপ চালু করা হয়েছে।
বিএডিসি কাহালু অফিসের উপসহকারি প্রকৌশলী মোঃ মিঠু মিয়া জানান, বৃষ্টির অভাবে আমন চাষাবাদের জন্য বিএডিসির গলীর নলকুপ চালু করা হয়েছে। তবে সেচযন্ত্র বিকল হওয়ার কোন খবর তিনি এখনো পাননি।
উপজেলা কৃষি অফিসার জান্নাতুল ফেরদৌস জানান, বৃষ্টিপাতের কারনে চাষিদের সুবিধার্থে মাঠে মাঠে সেচযন্ত্র চালু হয়েছে। বৃষ্টিপাতের অভাবে চাষিদের বাড়তি চাষাবাদ খরচসহ একটু সমস্যায় পড়লেও কোন জমি যাতে পতিত না থাকে সেই লক্ষ নিয়ে আমরা আন্তরিকভাবে কাজ করছি।
সোনাতলা সংবাদে লিখতে পারেন আপনিও। যে কোনও তথ্য ও ভিডিও দিন নিচের WhatsApp নাম্বারে। প্রয়োজনে আপনার নাম ও পরিচয় গোপন রাখা হবে।
মোবাইল: ০১৭৭৪৬৫০৬৭১
E-mail: sonatalasangbad@gmail.com