কাহালু (বগুড়া) প্রতিনিধিঃ বগুড়ার কাহালুতে পুকুর পাড়ের মাটি কাটতে বাঁধা দেওয়ায় প্রতিপক্ষের হামলায় আহত স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে বর্তমানে স্ত্রী নাজমা বেগম (৪৫) বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছেন। গত সোমবার (১২ মে) রাত সাড়ে ৯ টায় উপজেলার মাটিহাস গ্রামে এই ঘটনা ঘটে।
আহত নাজমার স্বামী মোঃ আব্দুল হামিদ জানান, আমার বাড়ির সাথে ২০ শতক জায়গার উপর একটি পুকুর রয়েছে। আমার পুকুরের সাথে একই গ্রামের মোঃ আব্দুর রউফের একটি পুকুর রয়েছে। মাঝেমধ্যেই আমার পুকুর পাড়ের মাটি কেটে রউফ তার পুকুরের আয়তন বড় করার চেষ্টা করে। এবিষয়ে ইউনিয়ন পরিষদ ও থানায় একাধিকবার দরবারে যে সিদ্ধান্ত হয়, তা বরাবরই অমান্য করে রউফ তার লোকজন দিয়ে আমার পুকুর পাড়ের মাটি কাটার চেষ্টা করে।
ঘটনার দিন রউফ ও তার লোকজন আমার পুকুর পাড়ের মাটি কাটতে গেলে আমি বাঁধা দিয়ে বাড়িতে চলে আসি। এই ঘটনার জের ধরে রউফ ও তার লোকজন বাঁশকাটা দা ও লাটিসোটা নিয়ে আমার বাড়িতে এসে আমাকে মারপিট করে। আমার স্ত্রী আমাকে রক্ষায় এগিয়ে এলে তাকেও মারপিট করে মাথায় ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে।
পরে গ্রামের লোকজন আমাদের দুজনকে কাহালু হাসপাতালে আনা হলে আমার স্ত্রীর অবস্থা বেগতিক দেখে কর্তব্যরত চিকিৎসক আমাদের দুজনকে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করেন। আমার স্ত্রীর মাথায় সাতটি শেলাই দিয়ে চিকিৎসা অব্যহত থাকলে তার অবস্থা খুবই খারাপ। কোনো কথাবার্তা বলছেনা। বর্তমানে সে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছেন।
এব্যাপারে মালঞ্চা ইউপি চেয়ারম্যান নেছার উদ্দিনের সাথে মোবাইল ফোনে কথা বলা হলে তিনি জানান, এবিষয়ে বেশ কয়েকবার শালিস করা হলেও কোনো শালিসই মানেনা তারা। আমি শুনেছি এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে সম্প্রতি মারিপিটের ঘটনায় আহত হামিদের স্ত্রীর অবস্থা অনেটা খারাপ।
Leave a Reply