মুনসুর রহমান তানসেন কাহালু থেকেঃ বগুড়ার কাহালু উপজেলার মুরইলে বিভিন্ন প্রজাতির রঙিন সৌখিন মাছচাষে সফল হয়েছেন শাহাবুদ্দিন। তিনি রঙিন সৌখিন মাছচাষ করে এলাকায় দারুণ চমক সৃষ্টির পাশাপাশি তাঁর উৎপাদিত মাছ এখন দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে সরবরাহ করা হচ্ছে। মোঃ শাহাবুদ্দিন মুরইল দক্ষিণপাড়ার মোঃ মোজাম্মেল হকের পুত্র। তিনি বিএ পাশ করার পর চাকুরী না পেয়ে মুরগী ফার্মের ব্যবসা শুরু করেন। মুরগী ফার্মে লোকসান হওয়ার পর তিনি ভাগ্য বদলের আশায় মালোয়শিয়া যান। সেখানে প্রায় ৫ বছর থাকা কালীন সময়ে তিনি রঙিন সৌখিন মাছের চাষ সম্পর্কে অনেকটা দক্ষতা অর্জন করেন। করোনার মহামারী শুরু হওয়ার পর তিনি দেশে চলে আসেন। ২০১৯ সালে তিনি এই রঙিন সৌখিন মাছের মাষ শুরু করেন। ওই সময় তিনি মাত্র ২২/২৩ হাজার টাকার ব্রæড মাছ কিনে এনে হাউজ ও পুকুরে পোনা মাছ ফুটিয়ে মাত্র ৬ মাসে ৪ লাখ টাকার মাছ বিক্রি করেন। বর্তমানে তিনি চারটি পুকুর (১ একর সম-পরিমান) জায়গা ও ৭ টি হাউজে বিভিন্ন প্রজাতির রঙিন সৌখিন মাছচাষ করছেন। তাঁর চাষকৃত মাছের মধ্যে রয়েছে গোল্ড ফিশ, জাপানী কৈ-কার্প, কমেট, এ্যাঞ্জেল, গাপ্পি, বাটার ফ্লাই, মলি, পটøাটি, সর্টেল, গোরামী। এই মাছগুলোর মধ্যে শুধু মাত্র গোরামী মাছ ডিম ছাড়ে, আর বাঁর্কী মাছগুলো সরাসরি বাচ্চা দেয়। তথ্যমতে উল্লেখিত মাছের মধ্যে পুকুরে চাষ হয় জাপানী কৈ আর কমেট মাছ। বাঁকী সব মাছই হাউজের পানিতে চাষ করা হয়। শাহাবুদ্দিন জানান, মাছের আকার-প্রকার বিবেচনায় একটি মাছ ১০ টাকা থেকে শুরু করে দেড় হাজার টাকা পর্যন্ত বিক্রি হয়। তিনি আরও জানান, এই মাছ বিক্রির জন্য বাজার ধরতে হয়না। এখানে দেশের বিভিন্ন এলাকার মানুষ এসে সৌখিন মাছ কিনে নিয়ে যান। তারমতে জায়গার সল্পতার কারনে মানুষের চাহিদা অনুযায়ী মাছ উৎপাদন করতে পারছেন-না। এই মাছ চাষের প্রসার ঘটানোর জন্য শাহাবুদ্দিনের ইচ্ছে আরও পুকুর ও হাউজ সংখ্যা বাড়াবেন। শাহাবুদ্দিন আরও জানান, বর্তমানে তাঁর মাছ উৎপাদের যে, সক্ষমতা রয়েছে, সেই সক্ষমতা অনুযায়ি খরচ বাদ দিয়ে প্রতি বছর তাঁর প্রায় ১০/১২ লাখ টাকা আয় হয়।
Leave a Reply