মুনসুর রহমান তানসেন, কাহালু থেকেঃ বগুড়ার কাহালু উপজেলায় শেষ মুহূর্তে স্থানীয় ও অস্থায়ী কোরবানির পশুর হাট জমজমাট হয়ে উঠেছে। উপজেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে বড় বড় ভটভটি বোঝাই করে গরু আনা হচ্ছে হাটগুলোতে।
গত সপ্তাহ পর্যন্ত এখানে কোরবানির পশু তেমন বেচাকেনা না হলেও শনিবার (৩১ মে) থেকে কোরবানির জন্য অনেকে তাদের পছন্দের পশু কেনার জন্য হাটে হাটে ঘুরছেন। কাহালু সদরের মাদ্রাসা মাঠের হাটসহ উপজেলার স্থানীয় ও অস্থায়ী চারটি কোরবানির পশুর হাটেই বেশ জমে উঠেছে কোরবানির পশু বেচাকেনা।
জানা গেছে, উপজেলায় মোট ২২ টি হাটবাজার রয়েছে। এর মধ্যে স্থানীয়ভাবে একমাত্র জামগ্রাম হাটে গরু-ছাগল ও ভেড়া বিক্রি হয়। দূর্গাপুর ও মালঞ্চা হাটে অল্প সংখ্যক ছাগল উঠে। প্রতি বছর কোরবানির পশু বিক্রির জন্য অনুমতি পেয়ে থাকে স্থানীয় হিসেবে জামগ্রাম হাট এবং অস্থায়ী হিসেবে কাহালু, দূর্গাপুর ও বিবিরপুকুর হাট। প্রতি বছরের ন্যায় এবারও অনুমতিপ্রাপ্ত এই চারটি হাটে কোরবানির পশু বেচাকেনার জন্য প্রচারণা থেকে শুরু করে সব ধরণের প্রস্তুতি নেন হাটের ইজারাদার। তবে গত ৩০ মে পর্যন্ত উল্লিখিত চারটি হাটেই তেমন পশু বেচাকেনা হয়নি। গত শনিবার (৩১ মে) পছন্দের কোরবানির পশু কিনতে আসা ক্রেতার পদচারণায় সব হাটগুলোই সরগরম হয়ে উঠেছে।
উপজেলা প্রাণিসম্পদ কার্যালয় সূত্রমতে, আসন্ন ঈদ-উল আযহার জন্য কোরবানি যোগ্য ৬২ হাজার ৭৮৮ টি পশু প্রস্তুত ছিল। এর মধ্যে ষাড় গরু ২১ হাজার ৭২৬ টি, বলদ ১ হাজার ২১৫ টি, গাভী ৮ হাজার ২২৪ টি, মহিষ ৬০ টি, ছাগল ২৭ হাজার ৫০ টি ও ভেড়া ৪ হাজার ৫১৩ টি। উল্লিখিত মোট ৬২ হাজার ৭৮৮ টি পশুর মোট মূল্য হবে প্রায় ১ হাজার ২০০ কোটি টাকা। এখানে কোরবানির জন্য চাহিদা ধরা হয়েছে ৫৮ হাজার ৭০০ টি পশু। বাঁকী পশুগুলো ঢাকা ও চট্রগ্রামসহ দেশের অন্যন্য হাটে বিক্রি হবে। কোরবানির পশু সুস্থ রাখতে উপজেলা প্রাণিসম্পদ কার্যালয়ের পক্ষ থেকে খামারী ও পশু মালিকদের সার্বিক সহযোগিতা ও পশুর চিকিৎসা সেবা দেওয়া হচ্ছে।
বিভিন্ন হাটের ইজারাদার ও গরু বিক্রেতারা জানান, গত দুই সপ্তাহে কোরবানির পশু তেমন বেচাকেনা হয়নি। চলতি সপ্তাহের প্রথম থেকেই কোরবানির পশু বেশ ভালোই বেচাকেনা হচ্ছে। তাদের মতে বড় গরু তেমন বেশি বেচাকেনা না হলেও মাঝারি ও ছোট সাইজের গরু অনেক বেশি বিক্রি হচ্ছে। গত বছরের চেয়ে এবছর তুলনা মূলকভাবে ছাগল ও ভেড়া বিক্রি অনেক কম হচ্ছে। ছাগল ও ভেড়ার পরিবর্তে অনেকের পছন্দের তালিকায় রয়েছে ছোট ও মাঝারি গরু।
উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ মোঃ আব্দুল মালেক জানান, গত সপ্তাহে হাটগুলোতে কোরবানির পশু বেচাকেনা জমে না উঠলেও শেষ মুহূর্তে কোরবানির পশুর হাট জমজমাট হয়ে উঠেছে। এখন কোরবানির পশু বেচাকেনাও অনেক ভালো হচ্ছে।
Leave a Reply