1. sonatalasangbad@gmail.com : সোনাতলা সংবাদ :
শুক্রবার, ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৯:৩৭ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
গাবতলীর মহিষাবানে ফুটবল খেলায় ফতেহ আলী বাজার মৎস্য সমিতিকে হারিয়ে কলোনী বাজার বিজয়ী বগুড়ায় আরাফাত রহমান কোকো স্মৃতি ফাইনাল ফুটবল টুর্নামেন্টে সাবেক এমপি লালু সোনাতলার বালুয়া ইউনিয়নের ভিডাব্লিউবি কর্মসূচীর চাল বিতরণ বগুড়া-১ আসনে নতুন তালিকায় খসড়া ভোট কেন্দ্রের সংখ্যা ১২৫টি সোনাতলায় বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তাদের সাথে জামায়াত নেতা শাহাবুদ্দীনের মতবিনিময় সোনাতলায় মেধাবী শিক্ষার্থীদের মাঝে শান্তি ফাউন্ডেশনের শিক্ষা বৃত্তি প্রদান সোনাতলায় রাস্তার মাঝখান থেকে অপসারণ করা হলো বৈদ্যুতিক খুঁটি সোনাতলায় পুলিশের হাতে হেরোইনসহ কিশোর আটক বগুড়ায় বোনের বাড়িতে বেড়াতে গিয়ে দুলাভাই কর্তৃক ছষ্ঠ শ্রেণীর স্কুলছাত্রী ধর্ষিত সারিয়াকান্দিতে আলোচিত শাহিনূর হত্যা মামলার আসামি গ্রেফতার

কাহালুতে হানাদার মুক্ত দিবস ১৩ ডিসেম্বর

  • মঙ্গলবার, ১২ ডিসেম্বর, ২০২৩
  • ২৪২

কাহালু (বগুড়া) প্রতিনিধিঃ আজ ১৩ ডিসেম্বর বগুড়ার কাহালু উপজেলায় হানাদার মুক্ত দিবস। ১৯৭১ সালের এইদিন মুজিব বাহিনীর থানা কমান্ডার অধ্যক্ষ হোসেন আলীর নেতৃত্বে কাহালু হানাদার মুক্ত হয়।
স্থানীয় বীর মুক্তিযোদ্ধাদের দেওয়া তথ্যমতে ১৯৭১ সালের ৭ মার্চ বঙ্গবন্ধুর ভাষণের পরই কাহালুতে সংগ্রাম পরিষদ গঠিত হয়। সংগ্রাম পরিষদের মাধ্যমে পাকবাহিনির বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলাার চেষ্টা করা হয়। এপ্রিল মাসের শেষ সপ্তাহ থেকে মুক্তিযুদ্ধের প্রশক্ষিণ নিতে এখানকার মুক্তিযোদ্ধারা ভারতের বিভিন্ন প্রশক্ষণ কেন্দ্রে যাওয়া শুরু করেন। পর্যায়ক্রমে ভারতে প্রশিক্ষণ নেওয়ার পর এই জনপদে বগুড়া জেলা কমান্ডার এবিএম শাহজাহান ও কাহালু থানা অধ্যক্ষ হোসেন আলীর নেতৃত্বে বিভিন্ন শেল্টারে থেকে পাকবাহিনি ও তাদের দোসর রাজাকার ক্যাম্পে বীর মুক্তিযোদ্ধা আক্রমণ শুরু করেন।
কাহালুর বীর মুক্তিযোদ্ধাদের উল্লেখযোগ্য আক্রমণ ছিল দুপচাঁচিয়া থানা আক্রমণ, তালোড়া রেল স্টেশন আক্রমণ, কুন্দুকগ্রাম টেলিফোন এক্সচেঞ্জ আক্রমণ, পাঁচপীর রেলব্রিজ আক্রমণ, বামুজা সম্মুখ যুদ্ধ, শীতলাই ও উলট্ট রেলব্রিজ আক্রমণ ও শিকড় যুদ্ধ। এভাবেই বীর মুক্তিযোদ্ধাদের আক্রমণে এবং ভারতীয় মিত্রবাহিনির আক্রমণে পাকবাহিনী এই জনপদে দিশেহারা হয়ে পড়ে। নিশ্চিত পরাজয় জেনে পাকবাহিনী কাহালু থেকে পালাতে শুরু করে। ১৯৭১ সালের ১২ ডিসেম্বর কাহালুর মুক্তিযোদ্ধারা কাউরাস-মালিবাড়ী শেল্টারে থাকার সময় গভীর রাতে তাদের কাছে খবর আসে পাকসেনারা কাহালু থেকে পালিয়ে যাচ্ছে।
১৩ ডিসেম্বর ভোরে মুক্তিযোদ্ধারা কাউরাস-মালিবাড়ী থেকে পাঁচপীর হয়ে রেললাইনের উপর দিয়ে কাহালুর দিকে আসতে থাকে। মুক্তিযোদ্ধারা ফায়ার করতে করতে কাহালুতে প্রবেশ করার সময় সাধারণ মানুষ আনন্দ উল্লাসে মুক্তিযোদ্ধাদের সাথে কাহালু থানায় প্রবেশ করে। মুক্তিযোদ্ধারা কাহালুতে প্রবেশের টের পেয়ে পাকবাহিনি পালাতে শুরু করে। মুক্তিযোদ্ধারা থানায় প্রবেশের পর পাকবাহিনি ও তাদের দোসর রাজাকার ও দালালদের কাহালু থানায় ধরে আনে নির্যাতিত পরিবারের সদস্যরা। সেদিন বিক্ষুব্দ জনতার গণপিটুনীতে প্রায় ৭০/৮০ রাজাকার ও দালাল মারা গেছে। কাহালু থানা থেকে পালিয়ে যাওয়ার পথে জনতা দলছুট এক পাকসেনাকে জিয়াখুর এলাকায় ধান বহনের ব্যাঙ দিয়ে পিটিয়ে মেরে ফেলে। পাকসেনা ও রাজাকারদের মারার পর সেদিন অধ্যক্ষ হোসেন আলী কাহালু থানাকে হানাদার মুক্ত ঘোষনা করা হয়।হানাদাার মুক্ত ঘোষনার একদিন পর ১৪ ডিসেম্বর বগুড়ার দিক থেকে কাহালুতে এসে মেজর জাকির হোসেনসহ ১৭ জন পাকসেনা অস্ত্রসহ অধ্যক্ষ হোসেন আলীর কাছে আত্মসমর্পণ করে।
হানাদার মুক্ত দিবস পালন উপলক্ষে আজ উপজেলা প্রশাসন বিভিন্ন কর্মসূচী পালনের সিদ্ধান্ত নেওয়ার কথা কালবেলাকে জানিয়েছেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোছাঃ মেরিনা আফরোজ। কর্মসূচীর মধ্যে রয়েছে র‌্যালী, আলোচনা সভা ও উপজেলা প্রশাসনের প্রকাশনা ও কালবেলার কাহালু প্রতিনিধি মুনসুর রহমান তানসেনের সম্পাদনায় ”স্মৃতিকথায় কাহালুর ’৭১” গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন করা হবে।

শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

নিউজে সর্বশেষ

পুরাতন সংবাদ পড়ুন

সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০  
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
প্রযুক্তি সহায়তায়: ইয়োলো হোস্ট