কাহালু (বগুড়া) প্রতিনিধিঃ বগুড়ার কাহালুতে আটোচালককে হত্যা ও দুজনের অর্ধগলিত লাশ উদ্ধারের ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য কাহালু পৌরসভার মেয়র আব্দুল মান্নানের আপন দুই ভাতিজাসহ মোট চারজনকে আটক করেছে পুলিশ।
গত রোববার সকালে দলগাড়ার পূর্বদিকের জমি থেকে আটোচালক ইসমাইল হোসেন (৪৫),পরদিনে সোমবার সকালে মুরইল সমন্তাহার গ্রামের নিজবাড়ি থেকে বাটালু (৪২) ও সন্ধ্যায় দুর্গাপুর ধানপুজা এলকায় নাগর নদ থেকে অটোচালক জাহাঙ্গীর আলম (৪৫) এর লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। ইসমাইল উপজেলার উলট্ট গ্রামের ইব্রাহিম আলীর পুত্র, বাটালু সারিয়াকান্দি উপজেলা আদি বাসিন্দা ও জাহাহাঙ্গীর রঞ্জপুর গ্রামের সামাদের পুত্র।
পুলিশ সুত্রমতে বাটালুর স্ত্রী বগুড়ায় কাজ করে ও দুই মেয়ে বিয়ে দিয়ে একা সমান্তাহার গ্রামে বাস করেন। যে ঘরে বাটালুর অর্ধগলিত লাশ পাওয়া গেছে সেই ঘরের দরজা ভিতর থেকে আটকানো ছিলো। পুলিশের ধারনা বাটালু আতœহত্যা করেছে অথবা তার স্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছে। অপরদিকে অটোচালক ইসমাইলের সুরতহাল রিপোটে দেখা গেছে তার গলার এক পাশ থেকে অপর পাশে ছুরি চালানোর মতো চিহৃ রয়েছে।
এদিকে অটোচালক জাহাঙ্গীরের হাত-পা বাঁধা আবস্থায় নাগর পদের পানি থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়। জাহাঙ্গীরের পরিবার থেকে বলা হয়েছে সে প্রায় ১৫ দিন আগে অটো নিয়ে বাড়ি থেকে বের হয়ে আর ফিরে আসেনি। তার লাশ উদ্ধার হলেও অটোভ্যান এখনো উদ্ধার হয়নি। অটোচালক ইসমাইল হত্যা ঘটনায় যে তিনজনকে আটক করা হয়েছে তাদের মধ্যে রনি ও অলি এই দুজন কাহালু পৌর মেয়র ও বিএনপি নেতা আব্দুল মান্নানের আপন ভাতিজা।
কাহালু থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ মাহমুদ হাসান জানান, বাটালুর ঘটনায় অপমৃত্যু মামলা হয়েছে। অটোচালক ইসমাইল হত্যা মামলায় তিনজন ও জাহাঙ্গীর হত্যা মামলায় জিঙ্গাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে। তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে এই দুটি হত্যাকান্ডের রহস্য উদঘাটনের চেষ্টা চালানো হচ্ছে।
সোনাতলা সংবাদে লিখতে পারেন আপনিও। যে কোনও তথ্য ও ভিডিও দিন নিচের WhatsApp নাম্বারে। প্রয়োজনে আপনার নাম ও পরিচয় গোপন রাখা হবে।
মোবাইল: ০১৭৭৪৬৫০৬৭১
E-mail: sonatalasangbad@gmail.com