কাহালু (বগুড়া) প্রতিনিধিঃ বীরমুক্তিযোদ্ধাদের প্রবল প্রতিরোধের মুখে ১৯৭১ সালের ১৩ ডিসেম্বর পাকসেনাদের আতœসমর্পণের মধ্য দিয়ে বগুড়ার কাহালু উপজেলা হানাদার মুক্ত হয়। ওইদিন সকাল ১০ টায় মুজিব বাহিনীর কমান্ডার প্রয়াত অধ্যক্ষ হোসেন আলীর নেতৃত্বে বীরমুক্তিযোদ্ধারা কাহালু চারমাথা এলাকায় চারিদিক থেকে পাকসেনাদের ঘিরে ফেলে। এসময় মেজর জাকিরের নেতৃত্বে পাকসেনারা মুজিব বাহিনীর কমান্ডার অধ্যক্ষ হোসেন আলীর কাছে অস্ত্রসহ আতœসমর্পণ করে। কাহালু মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার নজিবর রহমান জানান, দীর্ঘ ৯ মাসের মহান মুক্তিযুেদ্ধর সময় পাকসেনা ও তাদের দোসররা অত্র উপজেলার ৫৩৩ বাড়িতে অগ্নিসংযোগ ও লটপাট করে। জমিদার কালিপদ মজুমদারসহ উপজেলার বিভিন্ন গ্রামের ৫৫৩ জন মানুষকে হত্যা করে পাকসেনা ও রাজাকারেরা। মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন সময়ে সেপ্টেম্বর মাসের মাঝামাঝি সময় করিবামুজায় পাকসেনাদের সাখে সম্মুখ যুদ্ধ হয়। ওইদিন মুক্তিযোদ্ধারা পিছু হটলেও ধীরে ধীরে প্রতিরোধ যুদ্ধ করে ১৯৭১ সালের ১৩ ডিসেম্বর পাকসেনাদের বাধ্য করা হয় আতœসমর্পণে। বীরমুক্তিযোদ্ধা নজিবর রহমানসহ বেশ কয়েকজন বীরমুক্তিযোদ্ধা জানান, সকল অশুভ শক্তিকে নির্মূল করে সাম্প্রদায়িকতা মুক্ত মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় দেশ চলবে এটায় প্রত্যাশা তাদের হানাদার মুক্ত দিবসে।
Leave a Reply