গাবতলী (বগুড়া) প্রতিনিধিঃ বগুড়ার গাবতলীতে বিধবা ভাতা ভোগী জীবিত এক বিধবা মহিলাকে মৃত দেখিয়ে মৃত্যু সনদ ইস্যু করে ভাতার কার্ড পরিবর্তন করার অভিযোগ উঠেছে রামেশ্বরপুর ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল ওহাব মন্ডলের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় ভাতাভোগী জায়েদা জেলা প্রশাসক, উপজেলা চেয়ারম্যান, ইউএনওসহ বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ দাখিল করেছেন।
জানা গেছে, গাবতলীর রামেশ্বরপুর ইউনিয়নের কামারচট্র দক্ষিণপাড়া গ্রামের মৃত সিরাজ প্রাং এর স্ত্রী জায়েদা বেওয়া দীর্ঘ ৫/৬বছর পূর্বে থেকে বর্তমান সরকার প্রদত্ত বিধবা ভাতা গ্রহণ করে আসছিল। যার এমআইএস নং-০২১০০০২২৯৯৯, জাতীয় পরিচয়পত্র নং-৪১৫৬৮৩৬৬০৫ এবং বিকাশকৃত মোবাইল নম্বর ০১৭২৬৫৫৯০৭২। গত মার্চ মাসে বিধবা ভাতার টাকা মোবাইলে না আসলে স্থানীয় ইউপি সদস্যের সহযোগিতায় উপজেলা সমাজসেবা অফিসে খোঁজ নিয়ে জানতে পারেন জায়েদাকে মৃত বানিয়ে মৃত্যু সনদ ইস্যু করে ভাতা বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। বর্তমান স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল ওহাব মন্ডল প্রতিহিংসা পরায়ন হয়ে ওই ভাতাভোগী জায়েদাকে মৃত বানিয়ে মৃত্যু সনদ ইস্যু করে তার স্থলে একই ইউনিয়নের নিশুপাড়া গ্রামের মামুন মোল্লার স্ত্রী মালেকা বেগমকে অর্থের বিনিময়ে ভাতা কার্ড করে দিয়েছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। এ ঘটনার সু-বিচার চেয়ে জায়েদা বেওয়া বাদী হয়ে বগুড়া জেলা প্রশাসক, উপজেলা চেয়ারম্যান, ইউএনওসহ বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ দাখিল করেছেন। এ ব্যাপারে স্থানীয় ইউপি সদস্য আব্দুল লতিফ লাটিম বলেন, জায়েদা জীবিত রয়েছে। জীবিত মানুষকে মৃত বানিয়ে মৃত্যু সনদ ইস্যু করে অর্থের বিনিময়ে ভাতা ভোগী পরিবর্তন করা হয়েছে। এটা অত্যান্ত দুঃখজনক ঘটনা। এ বিষয়ে উপজেলা সমাজসেবা সেবা কর্মকর্তা বলেন, প্রাথমিক তদন্তে মৃত্যু সনদ ইস্যু করা জায়েদাকে জীবিত পাওয়া গেছে। আরও তদন্ত চলমান রয়েছে। এ ব্যাপারে রামেশ্বরপুর ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল ওহাব মন্ডল বলেন, ১নং ওয়ার্ডে দু’জন জায়েদা রয়েছে। এটা অনিচ্ছাকৃত ভুলের কারণে হয়েছে।
সোনাতলা সংবাদে লিখতে পারেন আপনিও। যে কোনও তথ্য ও ভিডিও দিন নিচের WhatsApp নাম্বারে। প্রয়োজনে আপনার নাম ও পরিচয় গোপন রাখা হবে।
মোবাইল: ০১৭৭৪৬৫০৬৭১
E-mail: sonatalasangbad@gmail.com