গাবতলী (বগুড়া) প্রতিনিধি ঃ বগুড়ার গাবতলীতে বিয়ের ৯মাসের মাথায় রহস্যজনকভাবে মারা যাওয়া নবমুসলিম মাইশা আক্তারের লাশ দাফন করা হয়েছে। লাশের ময়না তদন্ত শেষে গতকাল মঙ্গলবার মাইশার স্বামীর বাড়ী সুখানপুকুর ইউনিয়নের চক ডওর গ্রামে জানাজা নামাজ শেষে তাকে পরিবারিক কবরস্থানে দাফন সম্পন্ন করা হয়। লাশ নিয়ে জটিলতা থাকলেও মাইশাকে মুসলিম ধর্ম অনুসারে দাফনের জন্য দেয়া হলে মঙ্গলবার বিকেল সাড়ে ৩টায় দাফন করা হয়। এদিকে ধর্মান্তরিত নবমুসলিম মাইশার জন্মদাতা পিতা ব্রজো গোপাল সরকার তার মেয়ের সঙ্গে আর কোন সম্পর্ক না থাকলেও মেয়েকে হত্যার অভিযোগ এনে মাইশার স্বামী সজিবকে প্রধান করে ৪জনের নাম উল্লেখসহ ৩/৪জনকে অজ্ঞাত করে থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন।
মামলায় উল্লেখ করেন, ব্রজো গোপাল সরকারের মেয়ে মাধবী রানী সরকার (১৮) গাবতলী মহিলা কলেজে একাদ্বশ শ্রেণীতে পড়া লেখা করছিল। কলেজে যাওয়া আসার পথে সজিব বিভিন্ন সময় মাধবীকে উত্যক্ত করতো। নিষেধ করলেও তা শুনতো না। একপর্যায়ে মাধবীকে ভয়ভীতি দেখিয়ে গত বছরের ১৪ নভেম্বর কলেজের গেট থেকে অপহরণ করে নিয়ে যায়। এ ঘটনায় ওই বছরের ১৯নভেম্বর থানায় একটি অপহরণ মামলা করেন ব্রজো গোপাল। তখন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মাধবীকে উদ্ধার করে আদালতে প্রেরণ করলে আদালত মাধবীর বয়স কম হওয়ায় রাজশাহী সেফহোমে প্রেরণ করে। পরবর্তীতে সেখান থেকে মাধবীকে নিয়ে গিয়ে ধর্মান্তরিত করে মাইশা নাম রেখে সজিবের সঙ্গে বিয়ে হয়। তারপর থেকেই মাইশা স্বামীর বাড়ীতে সংসার করে আসছিল। কিন্তু আমাদের কাউকে যোগাযোগ করতে দিতো না। স্থানীয় লোকমুখে জানতে পারি আমার মেয়েকে শারিরীক ও মানষিক নির্যাতন করতো। একপর্যায়ে গত ২৯আগষ্ট সোমবার লোকমুখে শুনতে পাই মাইশার মারা গেছে। বগুড়া শজিমেক হাসপাতাল মর্গে রয়েছে। পরে হাসপাতালে ছুটে গিয়ে মেয়ের লাশ সনাক্ত করি। তার কান দিয়ে রক্ত, গলার মাঝ খানে গোলাকার ক্ষত দাগ এবং বামচোয়ালে কালশিরা দাগ দেখতে পাই। পরে খোজ নিয়ে জানতে পারি ওই রাতে যে কোন সময় মাইশাকে হত্যার উদ্দ্যেশে মারপিট গুরুত্বর চাপা জখম করে বগুড়া শজিমেক হাসপাতালে নিয়ে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষনা করে। এ ঘটনায় মাইশার মৃত্যুর দিনেই তার স্বামী সজিবকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করলেও পরবর্তীতে গতকাল মঙ্গলবার আটককৃত সজিবকে জেল হাজতে প্রেরণ করেছে থানা পুলিশ। এ ব্যাপারে থানার ওসি (তদন্ত) জামিরুল ইসলাম বলেন, ময়না তদন্ত শেষে মাইশাকে দাফনের জন্য তার স্বামী সজিবের পরিবারের নিকট দেয়া হয়েছে। তবে মাইশার জন্মদাতা পিতা ব্রজো গোপাল বাদী হয়ে একটি হত্যা মামলা করেছেন। ময়না তদন্তের রির্পোট না পাওয়া পর্যন্ত এই মামলায় আটককৃত সজিবকে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।
সোনাতলা সংবাদে লিখতে পারেন আপনিও। যে কোনও তথ্য ও ভিডিও দিন নিচের WhatsApp নাম্বারে। প্রয়োজনে আপনার নাম ও পরিচয় গোপন রাখা হবে।
মোবাইল: ০১৭৭৪৬৫০৬৭১
E-mail: sonatalasangbad@gmail.com