গাবতলী (বগুড়া) প্রতিনিধিঃ বগুড়ার গাবতলী পৌরসভায় ব্যাপক অনিয়ম, দূর্নীতি ও অব্যবস্থাপনার প্রতিবাদে এবং প্রতিকার চেয়ে অবস্থান কর্মসূচী পালন করেছেন গাবতলী পৌরসভার ঠিকাদার সমিতি ও সচেতন পৌরবাসী। এ ঘটনায় ভারপ্রাপ্ত পৌর প্রশাসক এসিল্যান্ড এর নিকট একটি লিখিত অভিযোগ করেছে। গতকাল সোমবার পৌরসভার সামনে এ কর্মসূচী পালন করেন বঞ্চিত ঠিকাদারেরা।
ঠিকাদাররা অভিযোগ করে বলেন, ২০০২ সালে বগুড়ার গাবতলী পৌরসভা গঠন করা হয়। সেই সময় বর্তমান উপজেলা বিএনপির সভাপতি মোরশেদ মিল্টন ছিলেন পৌরসভার মেয়র। পৌরসভা প্রতিষ্ঠাকালিন সময়ে প্রায় ১২০টি বিভিন্ন নামে ঠিকাদারী লাইসেন্স করে দেন। লটারীর মাধ্যমে ঠিকাদারেরা বিভিন্ন প্রকল্পের কাজ করতো।
মোরশেদ মিল্টন ২০১৪ সালে উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হলে বিগত ২০১৪ সালে পৌরসভার নির্বাচনে বিএনপি নেতা সাইফুল ইসলাম পৌর মেয়র নির্বাচিত হয়। এরপর থেকে ঈর্শ্বানিত হয়ে প্রতিষ্ঠাকালিন ঠিকাদারীদের লাইসেন্স নবায়ন না করে তার নিকট আত্মীয়স্বজনের লাইসেন্স নবায়ন করেন। বর্তমানে নবায়নকৃত লাইসেন্স সংখ্যা মাত্র ৮/৯টি।
সে গোপনীয়ভাবে লাইসেন্স নবায়নের নোটিশ করে তার পছন্দের ব্যক্তিদের লাইসেন্স নবায়ন করে দেন। কোন পত্রিকায় দেয় তাও পৌরসভার কেই জানাই না। যা ঠিকাদারদের অজানা থেকে যায়। দীর্ঘদিন থেকেই সাবেক পৌর মেয়র সাইফুল কোটি কোটি টাকার টেন্ডার আওয়ামী লীগের নেতাদের সঙ্গে আতাত করে গোপনে ভাগবাটোয়া করে নিতো।
ইতিপূর্বে ২০১৫ সালে সাবেক মেয়র পৌরসভায় গোপনীয়ভাবে ৮২লাখ টাকার টেন্ডার ভাগ বাটোয়ারা করার সংবাদ প্রথম আলো ও নয়াদিগন্ত পত্রিকায় প্রকাশ হলে পরবর্তীতে তার বিরুদ্ধে দূর্নীতি দমন কমিশনে অভিযোগ করলে তার জেল হয়েছিল। তারপরও সে বিভিন্ন সময়ে গোপনীয়ভাবে অনেক টেন্ডার জারি করে। এবারও ঠিক একইভাবে ২০২৪-২০২৫ইং অর্থবছরের প্রায় সাড়ে ১৩ কোটি টাকার টেন্ডার গোপনে প্রকাশ করে।
এই গোপনীয় টেন্ডার বাতিলের জন্য গাবতলী ঠিকাদার সমিতি ও পৌরসভার সচেতন নাগরিকরা গোপনীয়ভাবে প্রকাশ করা টেন্ডার বাতিলের দাবী জানিয়ে অবস্থান কর্মসূচী পালন করে এবং ভারপ্রাপ্ত পৌর প্রশাসকের নিকট একটি লিখিত অভিযোগ করেছে।
ঠিকাদার এনামুল হক, খালেদ হাসান টুটুল, মুঞ্জুর মোরশেদ, আজমসহ বিভিন্ন ঠিকাদার অভিযোগ করে বলেন, আওয়ামী লীগের নেতাদের সাথে প্রকল্প আতাত করে বিএনপির পৌর মেয়র সাইফুল ইসলাম প্রায় ১০বছর হলে ঠিকাদারীদের লাইসেন্স নবায়ন করে দেননি। নবায়ন করতে আসলে বিভিন্ন অজুহাতে এড়িয়ে গেছেন। ঠিকাদারদের কোন কথাই কর্ণপাত করেনি সাবেক এই পৌর মেয়র।
এ ব্যাপারে সাবেক পৌর মেয়র সাইফুল ইসলামের সঙ্গে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি কোন মন্তব্য করেননি।
Leave a Reply