মুহাম্মাদ আবু মুসাঃ মোছাঃ রওনক জাহান রিমা তিনি ১৯৮১ সালের ৫ই অক্টোবর নওগাঁ জেলার বদলগাছী উপজেলার মথুরাপুর ইউনিয়নের চাপাইনগর গ্রামে মুসলিম সম্ভ্রান্ত পরিবারে জন্ম গ্রহন করেন। তাঁর বাবা আব্দুর রহমান বীর মুক্তিযোদ্ধা এবং একজন সফল ব্যবসায়ী ছিলেন। এ ছাড়া স্থানীয় মথুরাপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন। বাবা আব্দুর রহমান মরণ ব্যধি ক্যান্সারে আক্রান্ত হলে তিনি দীর্ঘদিন যাবৎ অসুস্থ্য থাকার পর ২০২১সালের ২৯জুন বিকেল ৪টায় ৬৮বছর বয়সে মেজো মেয়ে ইউএনও রওনক জাহান এর গাবতলীর সরকারী বাসায় তিনি দুনিয়ার মায়া ত্যাগ করে না ফেরার দেশে চলে যান। ইউএনও মোছাঃ রওনক জাহান রিমা এর স্বামী মোঃ আসাদুজ্জামান বগুড়া সড়ক ও জনপথ এর নির্বাহী প্রকৌশলী হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। ব্যক্তিগত জীবনে তাঁদের ২ছেলে সন্তান রয়েছে। ইউএনও মোছাঃ রওনক জাহান ২০১৩সালে ৩১তম বিসিএস এর মাধ্যমে প্রথমে গাইবান্ধা জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে সহকারী কমিশনার হিসেবে চাকুরীতে যোগদান করেন। এরপর সহকারী কমিশনার (ভুমি) হিসেবে গাইবান্ধা সদর উপজেলায় কর্মরত ছিলেন। তিনি বগুড়া জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে ভুমি অধিগ্রহন কর্মকর্তা থেকে বদলী হয়ে গত ১লা সেপ্টেম্বর/১৯ এই প্রথম উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) হিসেবে গাবতলীতে যোগদান করেন। গত তিন বছর এক মাসে তিনি (রওনক) করোনা কালিনসহ সার্বিক ক্ষেত্রে বেশ সফলতার সাথে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছেন। কিছু দিন আগে তাঁর বদলীর আদেশ হয়েছে নাটোর জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক হিসেবে দায়িত্ব পালনের জন্য। তবে গাবতলী উপজেলাবাসিকে কাঁদিয়ে তিনি অল্প কিছু দিনের মধ্যে নাটোর জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে নতুন কর্মস্থলে যোগদান করবেন। মা বাবা’র অতি আদরের এক ছেলে ও দুই মেয়ে’র মধ্যে মেজো মেয়ে রিমা অর্থাৎ মোছাঃ রওনক জাহান রিমা তিনি প্রথমে সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক ছিলেন। পরে তিনি ৩১তম বিসিএস এর মাধ্যমে প্রথমে গাইবান্ধা জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে চাকুরীতে যোদান করেন। বর্তমানে তিনি সিনিয়র সহকারী সচিব পদে থাকলেও আশা করছি অচিরেই আরো পদন্নোতি পাবেন। তিনি যেখানেই থাকুক না কেন, গাবতলীকে ভুলতে পারবে না, কারন গাবতলীতে অনেক স্মৃতি রয়েছে। তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য তাঁর গুনি পিতা বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রহমান গাবতলীতেই শেষ নিশ^াস ত্যাগ করেছেন। এমনিভাবে গাবতলী উপজেলাবাসিও তাঁকে মনে রাখবে তাঁর কর্মদক্ষতা, অত্যান্ত ভাল ও সুন্দর ব্যবহারসহ---। তাঁর ৪১তম জন্মদিনে আমি ছাড়াও অনেকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। আমরা তাঁর আরো সফলতা ও দীর্ঘায়ু কামনা করছি। একই সাথে তাঁর গুনি পিতা বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রহমান এর রুহের মাগফিরাত ও গুনি পরম শ্রদ্ধেয় আম্মাজান লায়লা আক্তারসহ সন্তান এবং পরিবারের সকলের জন্য কল্যাণ কামনা করছি।