আব্দুর রাজ্জাক, সোনাতলা সংবাদঃ মামলা তুলে না নেওয়ায় প্রতিপক্ষের আক্রমনে বাড়ি ঘর ভাংচুরসহ মা-ছেলে আহত হয়েছে । আহতরা সোনাতলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। আহতরা হলেন, হাবিবের বাইগুনী গ্রামের নিলু শেখের স্ত্রী মিনেরা বেগম ছেলে মিল্লাত হোসেন।
ঘটনাটি ঘটেছে গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার শালমারা ইউনিয়নে হাবিবের বাইগুনী গ্রামে। ২৯ জুন শনিবার বিকাল ৩টায় ওই গ্রামের করোনা বাজারে এ মারপিটের ঘটনা ঘটে। পরে বাড়ি ঘর ভাংচুর তারা। এঘটনায় ৯৯৯ লাইন জরুরি সেবা ফোন পেয়ে গোবিন্দগঞ্জ থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
সরেজমিনে জানাযায়, ওই গ্রামের ভিক্ষু ফকির ও নিলু মিয়ার মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে জমি জমা নিয়ে বিরোধ চলে আসছে। এক পর্যায়ে উভয় পক্ষের কোর্টে এবং গোবিন্দগঞ্জ থানায় মামলা মামলা রয়েছে। যা এখনও বিচারাধীন রয়েছে।
এ বিষয়ে নিলু শেখ জানান, জমিজমা নিয়ে ভিক্ষু ফকিরের সাথে দীর্ঘদিন ধরে ঝামেলা হয়ে আসছে। এ নিয়ে গাইবান্ধা কোর্টে এবং গোবিন্দগঞ্জ থানায় মামলা চলমান আছে। আজকে বিকালে আমি আমার ছেলে স্ত্রীকে নিয়ে সোনাতলা দিকে যাওয়ার সময় করোনা বাজারে পৌঁছাতেই অতর্কিত ভাবে ভিক্ষু তার ছেলে ছাব্বির ও তাদের লোকজন আমাদের আক্রমণ করে। প্রাণ ভয়ে স্থানীয় একটি দোকানে আশ্রয় নেই। সেখানেও তারা লাঠি সোডা দিয়ে আক্রমণ করে। এক পর্যায়ে দোকানী আমাদেরকে বের করে দেয়। পরে ভারা করা লোকজনসহ তারা আমার ছেলেকে লাঠি ঘারে আঘাত করলে ছেলে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে। আমার স্ত্রী এগিয়ে গেলে তাকেও মারপিট করে আহত করে। এরপর তারা বাড়ি ঘরে হামলা করে ভাংচুর করে। পরে স্থানীয়রা আমাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে।
এ ঘটনায় প্রতিপক্ষের ভিক্ষুর ছেলে সাব্বিরের সাথে কথা হলে তিনি জানান, বাড়ির সাথে জায়গা কিনেছি মাঝখান দিয়ে রাস্তা আছে সেই রাস্তায় তারা গোবর শুকাতে দেওয়ায় রাস্তা পিচ্ছিল হয়ে যায়। সেই পথ দিয়ে আমাদের একজন সাইকেল নিয়ে যাওয়ার সময় দূর্ঘটনার শিকার হয়। সেই বিষয়ে তাদেরকে বলতে গেলে কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে মারপিটের ঘটনা ঘটে। আমাদের ৪জন আহত হয়ে গোবিন্দগঞ্জ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। বহিরাগতরা মোটরসাইকেল যোগে রামদা, হাসুয়া ও হকিষ্টিক দিয়ে আক্রমণ করার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, তারা বহিরাগত না হাসুয়া আমাদের এক আত্মীয়র কাছে ছিলো কিন্তু সেটা ব্যবহার হয়নি। বাড়ি ঘর ভাংচুরের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, মাত্র বেড়া ধরে টান মারছে বাকি ভাংচুর তারাই করছে।
গ্রামবাসীর অনেকে জানান, স্থানীয় ইউপি সদস্য রুবেল মধ্যস্থতা করে দেয় কিন্তু ভিক্ষু বহিগতদের নিয়ে এসে আবারও তান্ডব চালানোর চেষ্টা চালায় এতে গ্রামবাসী ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে তাদের ধাওয়া করে তারা মোটরসাইকেলসহ দেশীয় অস্ত্র রেখে পালিয়ে যায়।
এব্যাপারে গোবিন্দগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ
মোঃ শামসুল আলম শাহ বলেন, আত্মীয় স্বজনদের মধ্যে মারপিটের ঘটনা ঘটেছে। সেখান থেকে ৯৯৯ লাইনে ফোন এসেছিলো থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। এ বিষয়ে কোনো পক্ষই অভিযোগ করেন নাই।
সোনাতলা সংবাদে লিখতে পারেন আপনিও। যে কোনও তথ্য ও ভিডিও দিন নিচের WhatsApp নাম্বারে। প্রয়োজনে আপনার নাম ও পরিচয় গোপন রাখা হবে।
মোবাইল: ০১৭৭৪৬৫০৬৭১
E-mail: sonatalasangbad@gmail.com