স্টাফ রিপোর্টারঃ বগুড়ার সোনাতলা পার্শ্ব বর্তি গ্রামে আদালতের নির্দেশে প্রায় ২৬.৩০ শতক জায়গা ঢোল-শোহরত বাজিয়ে প্রকৃত মালিকদের বুঝিয়ে দিয়েছেন গাইবান্ধা গোবিন্দগঞ্জ সিনিয়র সহকারী জজ আদালতের প্রতিনিধি ক্ষমতাপ্রাপ্ত নাজির এটিএম শাহিনুল ইসলাম।
১৯ ফেব্রুয়ারি বুধবার সকালে গাইবান্ধা জেলার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার শালমারা ইউনিয়নের হাবিবের বাইগুনি গ্রামে ২৬.৩০ শতক জায়গা ঢোল-শোহরত বাজিয়ে লাল ফ্ল্যাগ দিয়ে প্রকৃত মালিকদের বুঝিয়ে দিয়েছেন।
১৩ মার্চ বৃহস্পতিবার সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, হাবিবের বাইগুনি গ্রামের মোঃ মজিবর রহমান গংদের বাড়ির উঠানে থাকা ২৬.৩০ শতক জায়গা মৃত বয়েন উদ্দিন প্রামাণিক ছেলে মোঃ রমজান আলী প্রামানিক, আব্দুল হামিদ প্রামাণিক ও মৃত বয়ান উদ্দিন প্রামাণিক ছেলে শাহ আলম প্রামাণিক গংদের কাছে দখলে থাকা জমি। বাড়ির উঠানে ২৬.৩০ শতক জায়গা চারপাশে লাল নিশান দেওয়া।
বর্তমানে সেখানে নির্মাণাধীন টিনের চালা ঘর, গোয়াল ঘর গাছপালাসহ সীমানার চার পাশে লাল ফ্ল্যাগ বসিয়ে দিয়েছে।
এসময় এলাকাবাসী মোমিন স্ত্রী বলেন, দীর্ঘদিন এই জমি নিয়ে দু’পক্ষের মধ্যে বিরোধ চলে আসে। কিছুদিন আগে হঠাৎ শুনি আদালত থেকে লোক এসে এসব জায়গার চারপাশে লাল নিশান বসায় একজন ঢুলি ঢোল বাজিয়ে লাল নিশানা দেয়া পুরো জায়গা ঘুরে বেড়ান। পরে তিনিই জায়গার দখল বুঝিয়ে দিতে প্রকৃত মালিক মজিবর প্রামাণিক নাম ঘোষণা করেন।
মজিবর গংদের রাজু মিয়া প্রামাণিক বলেন, হাবিবের বাইগুনি গ্রামে জেলে নং ৩৩৩, সি.এস খতিয়ান নং – ৭৮, এসে এ খতিয়ান নং ৯৮, আর এস খতিয়ান নং ২৬৮,৩৪০,৪২৯,২৬৩, সাবেক দাগ ২৪, হালে ৮৪, জমি ৩২ শতক, সাবেক দাগ ১৩৭, হাল দাগ নং ১৬৫, বাঁশ ঝাড় জমির ০৫ শতক, সাবেক দাগ ১৪০, হাল দাগ ১৬৬, বাঁশ ঝাড় জমির ৩৬ শতক সাবেক দাগ ১৪৭, হাল দাগ ২৪৭ এবং বাড়ি ১৪ শতক মোট ৮৭ শতকের মধ্যে ২৬.৩০ শতক বেদখলি জায়গা বুঝে পেতে আমরা আদালতে মামলা করি। মামলার রায়ের পরিপ্রেক্ষিতে গত ১৯ ফেব্রুয়ারি আদালতের নির্দেশে প্রকৃত মালিক আমাদের কাছে জায়গা বুঝিয়ে দেয়া হয়।
প্রতিপক্ষের রমজান আলী প্রামানিক ও আব্দুল হামিদ প্রামাণিক গংদের একজন মোঃ সোহেল প্রামানিক বলেন, তারা আদালতের এক তরফা রায় পেয়ে বাঁশের খুঁটি পুঁতে লাল ফ্ল্যাগ বসিয়ে জমি দখল করেছে। আমরা এর প্রেক্ষিতে আদালতে আপিল করেছি।
Leave a Reply