1. sonatalasangbad@gmail.com : সোনাতলা সংবাদ :
বৃহস্পতিবার, ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৩:৩৮ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :

টাঙ্গাইলে চাকুরী দেওয়ার নামে প্রতারণা মামলায় সোনাতলায় দুই ভাই গ্রেফতার

  • রবিবার, ১৯ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩
  • ২৩৭

আব্দুর রাজ্জাক, সোনাতলা (বগুড়া) প্রতিনিধি: বগুড়ার সোনাতলায় টাঙ্গাইলে জালিয়াতি মামলায় আপন দুই ভাইকে আটক করেছে সোনাতলা থানা পুলিশ। টাঙ্গাইল সদর ও কালীহাতি উপজেলার জুগলি গ্রামের বিভিন্ন জনকে চাকুরী দেওয়ার কথা বলে ৬০ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন তারা।
এঘটনায় টাঙ্গাইল কালিহাতি গ্রামের শামিম হোসেনের স্ত্রী রেহেনা বেগম বাদী হয়ে টাঙ্গাইল আদালতে প্রতারনার মামলা দায়ের করেন। মামলার ওয়ারেন্টমূলে সোনাতলা থানা পুলিশ ১৮ই ফেব্রæয়ারী শনিবার সন্ধ্যায় সোনাতলা থানার এসআই আনিছুর রহমান মোল্যা ও এএসআই আতিকুজ্জামানসহ সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে অভিযান পরিচালনা করে তাদের বাড়ি থেকে গ্রেফতার করেন।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন সোনাতলা পৌর এলাকার বোচারপুকুর গ্রামের রফিকুল ইসলামের দুই ছেলে শামীম হাসান ও সোহান উরফে সোহাগ। তাদেরকে ১৯ ফ্রেব্রæয়ারী রবিবার সকালে আদালতে প্রেরন করা হয়। টাঙ্গাইল কালীহাতি থানার প্রতারনা মামলা নাম্বার ২৩২/২২।
এ ঘটনায় মামলার বাদী রেহেনা বেগম জানান, ‘আমার এক পরিচিতার বিয়ে হয়েছে বগুড়ার সোনাতলা পৌর এলাকার বোচারপুকুর গ্রামে। সেই সুবাদে তারা আমাকে আপা বলে ডাকতো। তাদের সাথে নিয়মিত ঢাকায় দেখা হতো। তারা আমাকে বলে আপনাদের এলাকায় সেনাবাহিনীতে চাকুরী দিবো, এ ধরনের কোন ছেলে আছে কী? তখন আমি বলি আমার এলাকায় গিয়ে কথা বলে দেখি। এক পর্যায়ে গ্রামের কয়েকজনের সাথে তাদের কথা বলে দেই। প্রথমে সুবজ ও কালাম দুই জনের কাছ থেকে টাকা পয়সা নিয়ে ৪ মাসের অগ্রমি একটি নিয়োগপত্র দেয়। ওই নিয়োগপত্র দেখে ওই এলাকার অনেক ছেলে আগ্রহী হয় এবং তারাও টাকা দেয়। এরকম করে ওই এলাকার ১১ জনের কাছ থেকে মোট ৬০ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেয়।
এ দিকে প্রথম দুইজন সবুজ ও কালাম নিয়োগপত্র নিয়ে সংশ্লিষ্ট দপ্তরে গিয়ে দেখে নিয়োগপত্রটি সম্পূর্ণ ভুয়া। ওই দপ্তরে কোন প্রকার নিয়োগ ছাড়া হয়নি। এটি জালিয়াতি করে তাদের হাতে ধরিয়ে দেন। আমি ঘটনার মধ্যস্থত থাকার কারণে ক্ষতিগ্রস্থ কালাম আমাকে আসামী করে মামলা করে। সেই মামলায় ২০২১ সালের ১৬ ডিসেম্বর র‌্যাব আমাকে গ্রেফতার করে। ৪৫ দিন জেল খেটে আমি বেরিয়ে আসি।
পরবর্তীতে সোনাতলা পৌরসভার ৯নং ওয়ার্ড কাউন্সিলরের দারস্থ হই। তিনি তাদের কাছ থেকে আমাকে নগদ ১ লক্ষ টাকা ফেরত দেয় এবং বাকী ৫৯ লক্ষ টাকা পরবর্তীতে দেওয়ার অঙ্গিকার করে একটি ষ্ট্যাম্পে লিখে দেয়।
তারা আমাকে টাকা না দিয়ে দীর্ঘদিন ঘুরায়। আমি উপায়হীন হয়ে আমার কাছে থাকা বিভিন্ন ব্যাংকে টাকা জমার রশিদ ও স্বীকারোক্তী দেওয়া ষ্ট্যাম্প নিয়ে টাঙ্গাইল আদালতে একটি প্রতারনা মামলা করি। সেই মামলার গত ১৭ ফ্রেবুয়ারী ওয়ারেন্ট বের হয়। এবং ওই দুই প্রতারককে সোনাতলা থানা পুলিশ গ্রেফতার করে বগুড়া আদালতে প্রেরণ করে।

শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

নিউজে সর্বশেষ

পুরাতন সংবাদ পড়ুন

সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০  
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
প্রযুক্তি সহায়তায়: ইয়োলো হোস্ট