পি কে,রাকিবুল ইসলাম ধুনট (বগুড়া) প্রতিনিধি : প্রবীণ বাপ-দাদাদের মুখে শোনা যেতো, হাতি কেরার আগে তার খোরাকের ব্যবস্থা করা দরকার। আর সেই বিশালদেহী হাতি কিনে তার খোরাক যোগাতে বগুড়ার ধুনট সড়কে সড়কে করছে চাঁদাবাজী। সেই হাতির পিঠে বসা মাহুতের নির্দেশেই এক দোকান থেকে আরেক দোকানে যাচ্ছে হাতিটি। এরপর শুঁড় সোজা এগিয়ে দিচ্ছে দোকানির কাছে। শুঁড়ের মাথায় টাকা গুঁজে না দেওয়া পর্যন্ত শুঁড় সরাচ্ছে না হাতিটি। এভাবেই অভিনব কৌশলে হাতি দিয়ে চলছে চাঁদাবাজি। এতে স্থানীয় ব্যবসায়ী ও পথচারীদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। রবিবার বিকেলে উপজেলার কান্তনগর বাজার এলাকায় দেখা যায় এ দৃশ্য।
সরেজমিনে দেখা যায়, হাতি দিয়ে টাকা তুলছেন মাহুত। সর্বনিম্ন ১০ টাকা থেকে শুরু করে দোকানের ধরন অনুযায়ী ১০০ টাকা পর্যন্ত নেওয়া হচ্ছে চাঁদা। শুধু দোকান নয়, সড়কে চলাচলকারী বিভিন্ন যানবাহনের পথ রোধ করেও টাকা তুলতে দেখা যায় এসব মাহুতের। কান্তনগর বাজারে একটি চায়ের দোকানে হঠাৎ একটি হাতি এসে শুঁড় এগিয়ে দিল। সঙ্গে সঙ্গে চায়ের দোকানদার ২০ টাকা হাতিটির শুঁড়ে গুঁজে দিলেন। টাকা দেওয়ার কারণ জানতে চাইলে ওই দোকানদার বলেন, ‘টাকা না দিলে যাবে না। এ ছাড়া দেরি হলে অনেক সময় ভাঙচুর করে। এ জন্য ঝামেলা হওয়ার আগেই টাকা দিয়ে দিলাম। হাতির পিঠে বসে থাকা মাহুত বলেন, ‘হাতির ভরণপোষণের জন্য সবাই খুশি হয়ে কিছু টাকা দেয়।
ধুনট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আশিক খান বলেন, হাতি বা বন্যপ্রাণী ব্যবহার করে সড়কে চাঁদাবাজি করা উচিত নয়। এ বিষয়ে খোঁজ নিয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
Leave a Reply