বায়েজিদ, গাইবান্ধা প্রতিনিধিঃ গাইবান্ধার পলাশবাড়ী উপজেলা উত্তরের প্রবেশদ্বার সম্ভাবণাময় অঞ্চল হওয়া সত্বেও আজও উন্নয়ন বঞ্চিত হয়ে আছে গ্রামীন রাস্তা গুলো। স্থায়ী উন্নয়নমুখি কোন কিছুই দৃশ্যমান নয়, সরকারি সুযোগ সুবিধা পর্যপ্ত আসে আসলে সে গুলোর ফিডব্যাক পাওয়া অনেক কষ্ঠ সাধ্য বিষয়। এ উপজেলায় গড়ে উঠেনি কোন কলকারখানা,অপরিকল্পিত উন্নয়নের চিত্র পলাশবাড়ী উপজেলা মডেল মসজিদ।
উদ্বোধনের এতো দিনেও মসজিদটি ব্যবহার করা সম্ভব হয়নি,মসজিদটিতে অনুষ্ঠিত হয় না দিনের ওয়াক্ত গুলোতে নিয়মিত কোন নামাজের জামাত। সরকারের কোটি কোটি টাকার উন্নয়ন দখলদারদের দখলি বাড়ীঘর ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ঢেকে আছে। অফিসের হাটের ২ একর ৪৮ শতাংশ জমির মধ্যে অধিকাংশ জমি আজও দখলদাররা গ্রাস করে রেখেছে । পত্রিক সম্পতি দাবী করে দখলদাররা বসবাস করছে। এর বাহিরে উপজেলার খাস খতিয়ান ভুক্ত জমি গুলো দখলদারদের দখলে রয়েছে।
এছাড়াও উপজেলার গ্রামীন জন জীবনের দূর্ভোগ আজও লাঘব হয়নি কাচা রাস্তা গুলো সংস্কার ও মেরামত অভাবে বর্তমানে চলাচলের অউপযোগী হয়ে পড়েছে। নদী ভাঙ্গন রোধে এগিয়ে আসেনি কেউ মানববেতর জীবন যাপন করছে নদী পারের মানুষ। এরমধ্যে আগামী ২১ মে ৬ ষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন ২য় পর্যায়ে দেশের অন্যান্য উপজেলার ন্যায় উত্তরাঞ্চলের সব চেয়ে জনগুরুত্বপুর্ন গাইবান্ধার জেলার পলাশবাড়ী উপজেলা পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে।
উক্ত নির্বাচনে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামীলীগ ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের ৫ জন প্রার্থী সহ মোট ৬ জন প্রার্থী এ নির্বাচনে অংশ গ্রহণ করছেন। জেলা আওয়ামীলীগের অন্যতম সদস্য পলাশবাড়ী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব একেএম মোকছেদ চৌধুরী বিদুৎ, উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি উপাধ্যক্ষ শামিকুল ইসলাম সরকার লিপন,সাধারণ সম্পাদক ও মহদীপুর ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান তৌহিদুল ইসলাম মন্ডল,
জেলা আওয়ামীলীগের সাবেক প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক এ্যাড. জরিদুল হক, জেলা ছাত্রলীগ নেতা নাজিবুর রহমান নয়ন ও বিশিষ্ট ব্যবসায়ি তৌহিদুল আমিন মন্ডল সুমন এ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দিতা করছেন। ২ মে প্রতিক বরাদ্দ হওয়ার পর প্রতিদ্বন্দি প্রার্থীরা জোড়ালো ভাবে প্রচার প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন। তবে এসব নির্বাচনী প্রচার প্রচারণায় সাধারণ ভোটারদের উপস্থিতি নেই বললেই চলে। চলমান তাপদাহ,ধান কাটার কাজ চলমান থাকায় গামে গঞ্জে হাট বাজারে মাঠে প্রান্তরে বসতবাড়ীতে ভোটার না থাকায় প্রার্থীদের প্রচার প্রচারনায় সাধারণ ভোটারদের উপস্থিতি না থাকায় প্রার্থীদের নিয়ে কোন মন্তব্য করা সম্ভব হচ্ছেন না।
প্রচার প্রচারণা শুরু হওয়ার আগে হতে প্রার্থীদের পক্ষে নিয়ে নানা কৌশলে তেলঢালা সংবাদ প্রকাশে গণমাধ্যমকর্মীদের মাঝে এক প্রকার প্রতিযোগীতা চলমান রয়েছে। তবে প্রতিদ্বন্দি প্রার্থী সকলের কম বেশী ভোটার রয়েছে নির্বাচনে ভোট গ্রহনের পর জানা যাবে নির্বাচনের জয় পরাজয়ের ফলাফল। তাপদাহে ভোটাররা বাহিরে বের না হওয়ায় নির্বাচনে ভোট গ্রহনের দিন ঘনিয়ে আসায় ও নির্বাচনী প্রচারণার সময় শেষ হওয়ায় দ্বার প্রান্ত আসায় জোড়ে সোড়ে প্রচার প্রচারনা চালাচ্ছেন প্রার্থীরা, তাপদাহের কারণে দিনের বেলায় গণসংযোগ বা প্রচার প্রচারণায় প্রার্থীদের কর্মী থাকলেও সাধারণ ভোটার শুন্যতা দেখা যাচ্ছে।
তবে বিকাল থেকে প্রার্থীরা বিভিন্ন এলাকায় হাট বাজার গুলোতে গণসংযোগ ও প্রচার প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন।নির্বাচন নিয়ে প্রার্থীদের মধ্য নির্বাচনি খড়া আমেজ লক্ষ করা গেলেও ভোটারদের মাঝে নেই কোন আমেজ। নির্বাচনের ভোট গ্রহন কবে হবে সেটাও জানে না অনেকেই বা জানার চেষ্টাও করেনি। ভোট আসলে ভোট দিবে এমন ভাব সাধারণ ভোটারদের মাঝে। অপরদিকে নির্বাচনে ভোটার উপস্থিতি বৃদ্ধি করতে কোন সরকারি বা বেসরকারি কর্মসূচী স্থানীয় ভাবে পালিত হয়নি বা দেখা যায়নি। নির্বাচনী এলাকায় চায়ের দোকানে বা হাট বাজারে গ্রাম গঞ্জে আসন্ন উপজেলা নির্বাচন নিয়ে কোন আলোচনা বা সমালোচনা ।
সচেতন ব্যক্তিদের সবার মুখে একই কথা নির্বাচনে কে হবেন পলাশবাড়ী উপজেলা পরিষদের আগামীদিনের চেয়ারম্যান । এ নির্বাচনে দলীয় প্রতীক না থাকায় আওয়ামীলীগের ৫ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করায় দলীয় নেতাকর্মী ও সমর্থকরা বিভিন্ন ভাবে দ্বিধা বিভক্ত হয়ে পরেছেন। নেতাকর্মীরা এসব দলীয় সকল প্রার্থীদের প্রচার প্রচারণায় অংশ নিয়ে সাধারণ ভোটারদের নিকট বিতর্কিত হচ্ছেন। সখি তুমি কার অবস্থায় পড়েছেন। একই ব্যক্তি দলীয় ৫ প্রার্থীর সাথে পৃথক পৃথক ভাবে ভোটারদের নিকট গিয়ে দোয়া ও সমর্থন কামনা করছেন। ভোটাররা ভোট নিয়ে মুখ না খুললেও তারা মনে করেন ব্যক্তি ইমেজ বেশি ও দলীয় নেতাকর্মীদের অধিকাংশ সমর্থন যিনি আদায় করতে পারবেন তিনি হবেন আগামীদিনের পলাশবাড়ী উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান নির্বাচিত হবেন।
এ নির্বাচনে এখনো কোন প্রার্থীর পক্ষে জোড়ালো জনসমর্থন বা দলীয় সমর্থন নির্নয় করা সম্ভব হয়নি,তাই কে এগিয়ে আর কে পিছিয়ে তা এখনো বলার সময় আসলে এখনো হয়ে উঠেনি। চেয়ারম্যান পদ সহ এছাড়াও ৩ জন ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী ও ৪ জন মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী এ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দিতা করছেন। তারাও ঢিলা ঢালা ভাবে গণসংযোগ উঠান বৈঠক ও মতবিনিময় সভায় নির্বাচনী মাঠে দোয়া ও সমর্থন কামনা করে নির্বাচনী প্রচার প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন। বিএনপি জামাতের নেতাকর্মীরা দলীয় নেতাকর্মীদের পাশাপাশি গোপনে সাধারণ মানুষ কে ভোট বর্জনের আহবান জানানোর কার্যক্রম চলমান রেখেছেন।
অপরদিকে নির্বাচন কে অবাধ ও সুষ্ঠু করতে সহকারি রিটানিং কর্মকর্তা ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ কামরুল হাসান এর নেতৃত্বে নির্বাচনে ভোট গ্রহনের সকল প্রক্রিয়া ও নির্বাচনী জনবল নিয়োগের নির্দেশনা সম্পূর্ন করছে উপজেলা প্রশাসন ও উপজেলা নির্বাচন অফিসের কর্মকর্তাগণ। শান্তিপূর্নভাবে উপজেলা জুড়ে চলছে নির্বাচনী প্রচার প্রচারণা। এখন পর্যন্ত প্রতিদ্বন্দি প্রার্থীদের মধ্যে কেউ কোন অভিযোগ করেনি। উল্লেখ্য ,পলাশবাড়ী পৌরসভা ও ৮ টি ইউনিয়নের মোট ভোটার ২ লক্ষ ২৩ হাজার ২ শ ৯ জন।
সোনাতলা সংবাদে লিখতে পারেন আপনিও। যে কোনও তথ্য ও ভিডিও দিন নিচের WhatsApp নাম্বারে। প্রয়োজনে আপনার নাম ও পরিচয় গোপন রাখা হবে।
মোবাইল: ০১৭৭৪৬৫০৬৭১
E-mail: sonatalasangbad@gmail.com