প্রিন্ট এর তারিখঃ সেপ্টেম্বর ৯, ২০২৫, ১:০৯ পি.এম || প্রকাশের তারিখঃ ফেব্রুয়ারি ৩, ২০২৩, ১২:৪০ অপরাহ্ণ
পলাশবাড়ীতে এক স্কুলে তিনজন প্রধান শিক্ষক!
বায়েজীদ, গাইবান্ধা জেলা প্রতিনিধি: গাইবান্ধা জেলার পলাশবাড়ী পৌর এলাকার আন্দুয়া ১ নং সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষকের পদের তিনজনের দাবী। উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার নাজমা খাতুন বলেছেন," ওনারা তিনজনই অবৈধ" বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক পদ খালি। এমনি এক চিত্র গাইবান্ধার পলাশবাড়ী পৌরসভার আন্দুয়া ১ নং সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। এ বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠাকালীন প্রধান শিক্ষক আব্দুল ওয়াজেদ স্কুল বেসরকারি থাকা অবস্থায় বেশকিছুদিন দায়িত্ব পালন করে চলে যান। এরপর দায়িত্ব গ্রহণ করেন সাদুল্লাপুর উপজেলার খোদ্দমোজাহিদপুর গ্রামের জিয়াউল হক নামে আর একজন। তিনিও নানা জটিলতায় বেশকিছুদিন দায়িত্ব পালন করে আস্তে আস্তে দায়িত্ব পালনে অবহেলা করেন। বর্তমান প্রধান শিক্ষক দাবী কারি ব্যক্তি মেহেদী হাসান নানা অপকৌশলে প্রকৃত প্রধান শিক্ষককে বিদ্যালয় ছাড়া করতে সফল হন। এমন সময় স্কুলগুলো জাতীয়করণের দাবিতে আন্দোলন-সংগ্রাম হলে ঢাকার চাকুরী ছেড়ে দিয়ে বতর্মান প্রধান শিক্ষক দাবী কারী মেহেদী হাসান রুবেল গত ২০১১ সালের ১৯ ডিসেম্বর সুযোগ বুঝে স্কুলে যোগদান করেন। যেহেতু মেহেদীরা স্কুলের জমি দিয়েছেন,স্কুল তৈরি করতে টাকা খরচ করেছেন, ম্যানেজিং কমিটিও তাদের দখলে তাই এই সুযোগে মেহেদীর বোন,স্ত্রী ও চাচাত ভাইয়ের স্ত্রীকে সহকারী শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ দিয়ে নিজে প্রধান শিক্ষক হওয়ার বাসনা নিয়ে প্রধান শিক্ষকের পদ নিজ ক্ষমতা বলে আকড়ে ধরে আছেন। ওঠে পড়ে লেগে যান প্রধান শিক্ষক পদ দখলে। এমন সময় ২০১৭ সালের ২৩ শে মার্চ স্কুলটি সরকারি করণের ঘোষণা আসলে বাকী দুজন নড়েচড়ে বসেন। এমনকি তিনজনই প্রধান শিক্ষক দাবী করে মহামান্য হাইকোর্টে একটি রিট দায়ের করেন। যা বতর্মানে চলমান রয়েছে। আদালতের রিট দায়ের দোহাইয়ে নানা অনিয়মে পরিচালিত হচ্ছে বিদ্যালয়টিতে। সরেজমিনে স্কুলটিতে গিয়ে প্রধান শিক্ষকের চেয়ারে মেহেদীকে দেখা যায়। এব্যাপারে তাকে জিজ্ঞাসা করলে তিনি তার কোড পেয়েছেন বলে সাংবাদিকদের জানান। প্রধান শিক্ষককের বেতন ভাতা কে পাচ্ছেন। এমন প্রশ্নের উত্তরে প্রধান শিক্ষক দাবী কারী মেহেদী হাসান জানান,কেউই না। বাৎসরিক বরাদ্দের টাকা দিয়ে কি করেছেন, দৃশ্যমান একটি আলমারি ছাড়া কিছুই দেখাতে পারেননি। স্কুলটি প্রতিষ্ঠা থেকেই দু'চালা নিম্নমানের কমদামী টিন দিয়ে চালা এবং বেড়া দেওয়া। এখনো সে অবস্থাই রয়েছে স্কুলটি। এর ছাত্র-ছাত্রী বাস্তবে ৪০ থেকে ৪৫ জন। বতর্মান শিক্ষক সংখ্যা প্রধান শিক্ষক বাদে ৫ জন। স্কুলের হিসেব মতে ছাত্র-ছাত্রীর সংখ্যা ৭৬ জন।
এব্যাপারে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা নাজমা খাতুন জানান, স্কুলটিতে প্রধান শিক্ষক দাবীকারী তিনজনই অবৈধ। তারা কেউই সহকারী শিক্ষকও নন। বতর্মানে যে প্রধান শিক্ষক দাবী করে চেয়ারে বসেছে তাকে আমি গত সপ্তাহে নিজে গিয়ে নিষেধ করে এসেছি। এই স্কুলের সহকারী শিক্ষক যে তাকে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। আর এতবছর বরাদ্দের টাকা দিয়ে দৃশ্যম্যান কি করেছে আমার বোধগম্য নয়। এ সুযোগটা সে তৎকালীন ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সালাম সাহেবের কাছ থেকে পেয়েছে। আমি এ প্রতিষ্ঠান বতর্মানে নিজে সর্বক্ষনিক সুষ্ঠুভাবে তদারকি করছি। অনিয়মের আর কোন সুযোগ নেই।
উল্লেখ্য, বিদ্যালয়টির উন্নয়ন ও সঠিক ভাবে পরিচালনার লক্ষে উক্ত জটিলতা নিরসনে বিজ্ঞ আদালতসহ সংশ্লিষ্টদের প্রয়োজনীয় হস্তক্ষেপ কামনা করেন সচেতন মহল।
সোনাতলা সংবাদে লিখতে পারেন আপনিও। যে কোনও তথ্য ও ভিডিও দিন নিচের WhatsApp নাম্বারে। প্রয়োজনে আপনার নাম ও পরিচয় গোপন রাখা হবে।
মোবাইল: ০১৭৭৪৬৫০৬৭১
E-mail: sonatalasangbad@gmail.com
© সোনাতলা সংবাদ সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত