বগুড়া প্রতিনিধিঃ রাতুলের মা বলেছিলেন, গত ৫ আগস্ট বাড়ি থেকে আন্দোলনে যাওয়ার আগে রাতুলকে বলেছিলাম, ‘বাবা বিকালের নাস্তা খেয়ে যাও।’ জবাবে ছেলে বলেছিল, ‘দেখি স্বৈরাচার হাসিনার শেষ পরিণতি কী হয়। শুধু দোয়া করো যেন সুস্থ অবস্থায় ফিরে আসতে পারি।
’ ছাত্র-জনতার রক্তাক্ত আন্দোলনে শেখ হাসিনার পলায়ন এবং ফ্যাসিবাদের পতন হলেও ৫ আগষ্ট গুলিবিদ্ধ ৬ষ্ঠ শ্রেনির ছাত্র স্কুলছাত্র জুনায়েদ ইসলাম রাতুল অবশেষে মারা গেছে। সোমবার ভোরে ঢাকার নিউরোসায়েন্স হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়। নিহত রাতুল বগুড়ার পথ পাবলিক স্কুলের ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্র ছিলো।
নিহত রাতুলের বাবা জিয়াউর রহমান জানান, ‘পাঁচ আগস্ট সকাল থেকেই বগুড়া শহরের বড়গোলা এলাকায় ছাত্রজনতার বিক্ষোভে ছিল রাতুল। বিকেল সাড়ে চারটার দিকে ছাত্রজনতার মিছিলটি যখন বগুড়া সদর থানার দিকে এগোচ্ছিল সে সময় পুলিশের এলোপাথাড়ি গুলিতে মাথাসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে গুলিবিদ্ধ হয় রাতুল।
রাতুলের শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে পরে তাকে ভর্তি করা হয় রাজধানীর নিউরোসায়েন্স হাসপাতালে। প্রায় একমাস ২০ দিন চিকিৎসকদের সব চেষ্টা ব্যর্থ করে সোমবার ভোরে হাসপাতালে মারা যায় রাতুল।’
তিনি আরও বলেন, দুপুর ১২টার দিকে হাসপাতাল থেকে রাতুলের লাশ জানাজার জন্য নিয়ে যাওয়া হয় রাজধানীর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার চত্বরে।
সেখানে জানাজা শেষে রাতুলের লাশ বগুড়া শহরের হাকির মোড় এলাকায় রাতুলদের বাসায় নেয়ার কথা। বগুড়ায় দ্বিতীয় জানাজা শেষে তাকে দাফন করা হবে।
Leave a Reply