বগুড়া প্রতিনিধি: শেখ হাসিনা পদত্যাগ করে দেশ থেকে পালানোর পর সারাদেশের মত বগুড়াতেও লাখো জনতা রাস্তায় নেমে উলাস করে। এসময় শহরজুড়ে সৃষ্ট ময়লা-আবর্জনা নিজহাতে পরিস্কার করতে মাঠে নেমেছ শিক্ষার্থীরা। একই সাথে পুলিশের অনুপস্থিতিতে সাধারন শিক্ষার্থীরা শহরের ট্রাফিক ব্যবস্থা নিয়ন্ত্রণ করছে।
শেখ হাসিনার পদত্যাগ এবং দেশ ছেড়ে পালিয়ে যাওয়ার খবরে উলাসের মাঝেই বগুড়া শহরের গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় ব্যাপক তা-ব চলেছে। ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে সদর থানা, ফাঁড়ি, সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপারের কার্যালয়, সদর উপজেলা পরিষদ ভবন এবং ইউএনওর বাসভবন। একই সাথে চলেছে সুযোগ সন্ধানীদের লুটপাট।
মঙ্গলবার সকালে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলোয় গিয়ে এমন চিত্র দেখা যায়। অবস্থা বেগতিক দেখে বগুড়া সদর থানা, ফাঁড়ি, তদন্ত কেন্দ্রগুলোর পুলিশ সদস্যদের ক্লোজ করে পুলিশ লাইন্সে সংযুক্ত করা হয়েছে। থানা কিংবা ট্রাফিক বিভাগের সকল পুলিশ এখন ব্যারাকে। কোনো জরুরি প্রয়োজনে জেলা সদরের কোনো পুলিশের কাছে সেবা পাওয়া সুযোগ নেই। এমনকি পুলিশ সুপার কার্যালয়ের মূল ফটকেও ঝুলছে তালা। এখানে কোনো পুলিশ সদস্য কিংবা কর্মকর্তা নেই বলে সংস্থাটির একাধিক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে নিশ্চিত করেছেন। এ ছাড়া বগুড়া সদরের সাতটি পুলিশ ফাঁড়ির সব পুলিশকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। এমতাবস্থায় শহরের ট্রাফিক ব্যবস্থা নিয়ন্ত্রণের পুরো দায়িত্ব পালন করছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সদস্যরা।
মঙ্গলবার সকাল থেকে শতাধিক শিক্ষার্থী শহরের জিরোপয়েন্ট সাতমাথা ও আশে পাশের মোড়গুলোতে দাঁড়িয়ে যানবাহন চলাচলে সহায়তা করছে। একই সাথে শিক্ষার্থীরা কয়েকটি দলে বিভক্ত হয়ে দিনভর সাতমাথা ও আশে পাশের এলাকার রাস্তার ময়লা-আবর্জনা পরিস্কার করে। শিক্ষার্থীদের এমন মহতী উদ্যোগে সাধারন পথচারীরা ভূয়শী প্রশংসা করেছেন। এসময় শিক্ষার্থীরা সাধারন মানুষকে শান্ত থাকার এবং যেকোন ধরনের বিশৃংখলা পরিহার করার অনুরোধ জানান।
Leave a Reply