গোলাম রব্বানী শিপনঃ বগুড়ার সদর উপজেলার গোকুল ছ’মিল বন্দর (ঢাকা-রংপুর) মহাসড়কে বাসের চাপায় নার্সারী ব্যবসায়ীর মর্মান্তিক মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় আহত হয়েছে আরও ১জন। ঘটনার পর বিক্ষুব্ধ জনতা যাত্রীদের নামিয়ে দিয়ে বাসটিতে আগুন দিয়ে সড়ক অবরোধ করেন।নিহত ব্যক্তির নাম বাদশা মিয়া(৩৫)। তিনি গোকুল ইউনিয়নের উত্তরপাড়া গ্রামের মৃত ওহির উদ্দিনের পুত্র ও সাবা নার্সারীর স্বত্বাধিকারী শিপনের পিতা।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, মঙ্গলবার সকাল ৮টার দিকে বগুড়া থেকে রংপুর মুখী শ্যামলী নামক ১টি যাত্রীবাহী বাস রংপুর দিকে যাওয়ার পথে গোকুল ছ’মিল বন্দর অতিক্রম করার সময় একটি অটোভ্যানকে ধাক্কা দিয়ে পালানোর চেষ্টাকালে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে থাকা বাদশা মিয়াকে চাপা দেয়। এসময় বিক্ষুব্ধ জনতা ইট পাটকেল নিক্ষেপ করলে বাসটি সড়কের বিভাজকের সাথে আটকে যায়। উত্তেজিত জনতা চালককে আটক করেন। একপর্যায়ে বাদশা মিয়া ও অটোভ্যান চালককে স্থানীয়রা উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়ার পথে বাদশা মিয়ার মৃত্যু হয়। আহত অটোভ্যান চালকের পরিচয় তাৎক্ষণিকভাবে নিশ্চিত করা যায়নি।
পরে উত্তেজিত জনতা যাত্রীদের দ্রুত নামিয়ে দিয়ে বাসটিতে আগুন ধরিয়ে দেয়। নিহতের মরদেহ তার গ্রামের বাড়ি গোকুল উত্তরপাড়া গ্রামে পৌঁছিলে এলাকাজুড়ে শোকের ছায়া নেমে আসে। প্রায় ঘন্টা ব্যাপী বাসটি আগুনে জ্বলা মুহূর্তে সড়কের ২ পাশে অসংখ্য যানবাহন আটকা পড়ে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়। পরে শিবগঞ্জ উপজেলা ফায়ার সার্ভিস সিভিল ডিফেন্স এর সদস্যরা দুর্ঘটনাস্থলে পৌঁছে অগ্নিদগ্ধ বাসটির আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন।
খবর পেয়ে হাইওয়ে পুলিশের প্রচাষ্টায় সড়ক দুর্ঘটনা কবরিত বাসটি সড়িয়ে সকল যান চলাচলে স্বাভাবিক করা হয়। ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন, হাইওয়ে বগুড়া অঞ্চলের পুলিশ সুপার হাবিবুর রহমান। তিনি বলেন, বাসের চালককে আটকে পুলিশে দিয়েছে বিক্ষুব্ধ জনতা। এরপর যাত্রী নামিয়ে বাসে আগুন ধরিয়ে দেন তাঁরা।
হাইওয়ে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করে। আগুনে কেউ হতাহত হননি। আটক চালক হাইওয়ে গোবিন্দগঞ্জ থানা হেফাজতে রয়েছে। সড়কে ছোট- বড় কোন দুর্ঘটনাই আমাদের কাম্য নয়৷ এটি তদন্ত করে দেখা হবে।
Leave a Reply