সোনাতলা সংবাদ ডেস্ক: সদ্যসমাপ্ত বগুড়া-৪ (নন্দীগ্রাম-কাহালু) আসনের উপনির্বাচনে সংসদ সদস্য পদে স্বতন্ত্র প্রার্থী অ্যাড. ইলিয়াছ আলীর পক্ষে কাজ না করায় এক মাদ্রাসা সুপারকে মারধর করার অভিযোগ উঠেছে। নন্দীগ্রাম উপজেলার সাঁরা দারুস সালাম দাখিল মাদ্রাসার সুপার মাওলানা সাইফুল আলম এ অভিযোগ করেন। তবে সুপারের আনীত অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা বলে দাবি করছেন অ্যাড. ইলিয়াছ আলী।
জানা যায়, সদ্যসমাপ্ত বগুড়া-৪ (নন্দীগ্রাম-কাহালু) আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী অ্যাড. ইলিয়াছ আলী (কলার ছড়ি) প্রতীক নিয়ে উপনির্বাচনে অংশগ্রহণ করেন। তিনি নন্দীগ্রাম উপজেলার সাঁরা দারুস সালাম দাখিল মাদ্রাসার ম্যানেজিং কমিটির সভাপতির দায়িত্বে রয়েছেন। এ সুযোগ কাজে লাগিয়ে মাদ্রাসার সুপারসহ শিক্ষকদের তার পক্ষে নির্বাচন করতে চাপ সৃষ্টি করা হয়। প্রার্থীর চাপের মুখে সুপারসহ শিক্ষকরা মাদ্রাসা ছুটির পর নির্বাচনী কাজ করেন।এতেও সন্তুষ্ট না হয়ে মাদ্রাসা বন্ধ করে তার পক্ষে নির্বাচন করতে বলেন প্রার্থী অ্যাড. ইলিয়াছ আলী। তার এ প্রস্তাবে মাদ্রাসার শিক্ষক-কর্মচারীরা অপারগতা প্রকাশ করেন। এক সময় মাদ্রাসার সুপারের কাছ থেকে ভোটে খরচ করার জন্য এক লাখ টাকা দাবি করে স্বতন্ত্র প্রার্থী অ্যাড. ইলিয়াছ আলী। তার দাবির পরিপ্রেক্ষিতে মাদ্রাসার সুপার মাওলানা সাইফুল আলম ২০ হাজার টাকা তাকে দেন।
এ অবস্থায় ভোটের দিন মাদ্রাসার সুপারকে সঙ্গে নিয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী অ্যাড. ইলিয়াছ আলী মোটরসাইকেলে বিভিন্ন ভোটকেন্দ্র পরিদর্শন করেন। ভোটে হেরে যাচ্ছেন বুঝে সুকৌশলে বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে মাদ্রাসার সুপার মাওলানা সাইফুল আলমকে বগুড়ার নামুজা এলাকায় নিয়ে মারধর করেন। এ সময় মুখের দাড়ি টানাটানিসহ গলায় গামছা পেঁচিয়ে হত্যার চেষ্টা করা হয়।স্বতন্ত্র প্রার্থী অ্যাড. ইলিয়াছ আলী বলেন, আমি অসুস্থ, নির্বাচনের দিন থেকে হাসপাতালে ভর্তি ছিলাম। মাদ্রাসার সুপার আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা কথা বলছে। তাকে মারধর বা দাড়ি টানাটানির কোনো ঘটনাই ঘটেনি। মাদ্রাসার হিসাব দিতে না হয় এজন্য নাটক সাজিয়েছেন তিনি।
এ ব্যাপারে নন্দীগ্রাম থানার ওসি আনোয়ার হোসেন বলেন, অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
Leave a Reply