1. sonatalasangbad@gmail.com : সোনাতলা সংবাদ :
মঙ্গলবার, ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৬:০৯ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
বগুড়ায় বোনের বাড়িতে বেড়াতে গিয়ে দুলাভাই কর্তৃক ছষ্ঠ শ্রেণীর স্কুলছাত্রী ধর্ষিত সারিয়াকান্দিতে আলোচিত শাহিনূর হত্যা মামলার আসামি গ্রেফতার কাহালুতে ট্রেনের নীচে ঝাঁপ দিয়ে এক ব্যাক্তির আত্মহত্যা সোনাতলায় তুচ্ছ ঘটনায় হোটেল মালিক অতুলের কান কর্তন বগুড়ায় শতাব্দী ফিলিং স্টেশনের ক্যাশিয়ারকে কুপিয়ে হত্যা গাবতলীতে সড়ক দুর্ঘটনায় মোটরসাইকেল আরোহী নিহত বগুড়ায় ধানক্ষেত থেকে ব্যবসায়ীর লাশ উদ্ধার সুন্দরগঞ্জে সপ্তম শ্রেণীর স্কুলছাত্রীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ, থানায় অভিযোগ দায়ের কাহালুতে গলায় উড়না পেঁচিয়ে এক মহিলার আত্মহত্যা দূর্নীতি চাঁদাবাজমুক্ত বাংলাদেশ গঠনে ইসলামী আইনের বিকল্প নেই -অধ্যক্ষ শাহাবুদ্দীন

বগুড়ার আলোকিত সন্তান আবুল কালাম আজাদঃ তার প্রতিষ্ঠানে পাঁচ হাজার বেকারের কর্মসংস্থান

  • মঙ্গলবার, ২৬ জুলাই, ২০২২
  • ৫৮

মুনসুর রহমান তানসেন কাহালু থেকেঃ প্রাচীন পুন্ড্রনগরী উত্তরবঙ্গের প্রাণকেন্দ্র বগুড়ার আলোকিত সন্তান আবুল কালাম আজাদ। সব-সময় প্রচার বিমূখ এই আলোকিত মানুষটির আক্লান্ত পরিশ্রমে কাহালু উপজেলায় গড়ে উঠেছে বিশ্বমানের শিল্প প্রতিষ্ঠান। এই উদীয়মান উদ্যোক্তা কোন রাজনৈতিক নেতা নয় তবু তার মহত্ব দিয়ে প্রতিটি মানুষের হৃদয়ে স্থান করে নিয়েছেন।
কাহালু উপজেলার বীরকেদার ইউনিয়নে তার গড়ে তোলা শিল্প প্রতিষ্ঠানগুলো কাহালু উপজেলাকে করেছে অনেক উন্নত। অত্র উপজেলার বুক চিরে যাওয়া বগুড়া-নওগাঁ মহাসড়কের দুই পাশে গড়ে উঠা এই শিল্প প্রতিষ্ঠান দেখলে মনে হবে কাহালু একটি শিল্পনগরী এলাকা। এই শিল্প প্রতিষ্ঠানগুলো গড়ে উঠার পিছনে বুদ্ধিমত্তা ও অক্লান্ত পরিশ্রম করতে হয়েছে উদীয়মান উদ্যোক্তা বগুড়ার কৃর্তি সন্তান আবুল কালাম আজাদকে।
তিনি শিল্প প্রতিষ্ঠানের ব্যাপক প্রসার ঘটানোর পাশাপাশি বেকার সমস্যা দুরীকরণে প্রায় ৫ হাজারের বেশী বেকার নারী-পুরুষের কর্মসংস্থান সৃষ্টি করেছেন তার তিনটি শিল্প প্রতিষ্ঠানে। আবুল কালাম আজাদেরা মোট ৬ ভাই বোন। ভাইদের মধ্যে তিনিই সবার ছোট। আবুল কালাম আজাদ, তার পিতা আবুল হোসেন, ভাই আঃ মজিদ, আঃ রাজ্জাক জুয়েল, আঃ মতিনের সমন্বিত প্রচেষ্টা, সততা, ন্যায়-নিষ্ঠা আর কঠোর পরিশ্রমে এখানে গড়ে উঠেছে বিশ্বমানের মত আজাদ পাল্প এন্ড পেপার মিল, এবিসি টাইলস, এবি গøাস ইন্ডাস্ট্রিজ।
আজাদ গ্রæপের পণ্যগুলোর মধ্যে অন্যতম হচ্ছে এবিসি টাইলস, কসমো, স্যানিটারী ও এবি গøাস। এছাড়াও পেপার মিলে উৎপাদিত বিভিন্ন পেপার। এই শিল্প প্রতিষ্ঠান ছাড়াও আজাদ গ্রæপ গড়ে তুলেছেন ডেইরী ফার্ম, পোল্টী ফার্ম ও হাঁসের খামার। উদীয়মান উদ্যোক্তা আবুল কালাম আজাদের ন্যায়-নীতি ও সততায় তার সবগুলো প্রতিষ্ঠানই সুনামের সাথে পরিচালিত হচ্ছে। তিনি নিজ এলাকায় শুধু নয়, বিভিন্ন এলাকার বেকার সমস্যা দুরীকরণে খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভ‚মিকা রাখছেন।
এখানে তার শিল্প প্রতিষ্ঠানেই প্রায় ৫ হাজারের বেশী বেকার নারী-পুরুষের কর্মসংস্থান সৃষ্টি হয়েছে। তার গরু, হাঁস-মুরগী খামারেও অনেক বেকারের কর্মসংস্থান হয়েছে। তার শিল্প প্রতিষ্ঠানে দেশী শ্রমিক, কর্মকর্তা/কর্মচারীর পাশাপাশি প্রায় ২০ জনের মত চায়না ও ভারতের প্রকৌশলী কর্মরত রয়েছেন। উদীয়মান এই উদ্যোক্তার আন্তরিক প্রচেষ্টায় তার শিল্প প্রতিষ্ঠানে উৎপাদিত পণ্য এখন বিশ্বমানের মত।
বর্তমানে টেকনাফ থেকে তেতুলিয়াসহ সারা বাংলায় আজাদ গ্রæপের পন্য সুনামের সাথে ব্যবসা পরিচালনা করছে। আজাদ গ্রæপ শুধু বগুড়া নয় উত্তরবঙ্গের মানুষের জন্য গৌরবের বিষয়। আজাদ গ্রæপ বিশ্বমানের অত্যাধুকি টাইলস ও স্যানিটারী তৈরী করে সারা বাংলাদের ব্যবসাসী ও বিভিন্ন ভবনে ব্যবহার করা সকল মানুষের মন জয় করেছে। এই ধরনের পণ্যের জন্য এক সময় আমাদের উত্তরবঙ্গের মানুষের নির্ভরতা ছিলো চায়না, কোরিয়া জাপানের উপর। উদীয়মান উদ্যোক্তা আবুল কালামের সততা ও বুদ্ধিমত্তায় বর্তমানে সেই নির্ভরতা কমে গেছে অনেকাংশে। বর্তমানে বিশ্বমানের অত্যাধুনিক টাইলস ও স্যানিটারী কাহালুতে তৈরী হওয়ায় এখন অনেকেই আজাদ গ্রæপের উপর অনেক বেশী নির্ভরশীল। আজাদ গ্রæপের ব্যবসা বাণিজ্যের পাশাপাশি সর্বক্ষেত্রেই তাদের সুনাম ছড়িয়ে পড়ছে । দেশের অর্থনীতিতে তারা রাখছেন অনেক বড় ধরনের ভুমিকা।
আজাদ গ্রæপের প্রতিষ্ঠানগুলোর অসংখ্য কর্মকর্তা/কর্মচারী ও শ্রমিকরা জানিয়েছেন সরকারি নীতিমালা মেনেই এই কারখানাগুলো পরিচালিত হয়। এখানে শ্রমিক/কর্মচারী হিসেবে আমাদেরকে বিবেচনা করা হয়না। মালিক পক্ষ আমাদেরকে অনেক বেশী ভালোবাসেন। আমাদেরকে নায্য বেতন-ভাতা ও বোনাস সবই দেন সরকারি নীতিমালা অনুযায়ি। প্রতি কোরবানী ঈদে শুধু শ্রমিকদের জন্যই প্রায় ৮০ টির মত গরু কোরবানী দিয়ে সকল শ্রমিকদের মাঝে বিতরণ করা হয়। এছাড়াও রমজান মাসে ও ঈদুল ফিতরের আগে আমাদেরকে অনেক সহযোগীতা করেন মালিক পক্ষ।
জানা গেছে মানবিক সহায়তায় খুবই আন্তরিক আজাদ গ্রæপের পরিচালক আবুল কালাম আজাদ। ধর্মীয়, শিক্ষা, সামাজিক প্রতিষ্ঠান থেকে শুরু করে ভালো কাজের জন্য যারা অনুদান চেয়েছেন তাদের সবাইকে আজাদ গ্রæপ সাধ্যমত অনুদান দিয়ে থাকেন। গত দুই বছর করোনার মহামারীর মধ্যে ব্যবসায়ীক মন্দা গেলেও আজাদ গ্রæপ মানবিক সহায়তায় কয়েক কোটি টাকা দান করেছেন।
এছাড়াও প্রতিনিয়ত মানবিক সহায়তায় আজাদ গ্রæপ লাখ লাখ টাকা ব্যায় করেন মানুষের জন্য। যারফলে কাহালু উপজেলার বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষও ভালোবাসেন আবুল কালাম আজাদকে। অনেক বিজ্ঞজনের মতে আবুল কালাম আজাদ শুধু বগুড়ার নয়, উত্তরবঙ্গের একজন আলোকিত মানুষ। তার আলোয় আলোকিত হোক আরও নতুন নতুন উদ্যোক্তা। তাদের দ্বারা আরও উন্নত হোক আমাদের প্রাচীন পুন্ড্রনগরী বগুড়া।
আজাদ গ্রæপের ম্যানেজার হিসেবে যিনি দায়িত্ব পালন করছেন তিনি হলেন মোস্তাক আহম্মেদ । মোস্তাক আহম্মেদও একজন খুবই ভালো মানুষ। আজাদ গ্রæপের প্রতিষ্ঠানের কাজকর্ম সঠিকভাবে পরিচালানার ক্ষেত্রে তিনি নিজের মত করে সব কিছুই সামলিয়ে নেন।
মোস্তাক আহম্মেদ জানান,আমাদের মালিক পক্ষ লাভের একটি বড় অংশ ব্যায় করেন সমাজ সেবা মূলক কাজে ও মানবিক সহায়তায়। কিন্ত মানবিক সহায়তা ও সামাজিক কাজের প্রচারে সব-সময় বিমূখ আমাদের মালিক পক্ষ।

শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

নিউজে সর্বশেষ

পুরাতন সংবাদ পড়ুন

সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০  
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
প্রযুক্তি সহায়তায়: ইয়োলো হোস্ট