সোনাতলা সংবাদ ডেস্কঃ বগুড়ার ধুনট উপজেলায় কালেরপাড়া ইউনিয়নের বকচর এলাকায় ২০০ বছর ধরে আয়োজন করা হচ্ছে দুদিনের মাছের মেলা। অনেকে একে ‘জামাই মেলা’ হিসেবেও চেনেন। মেলায় বড় মাছ কেনা নিয়ে জামাই-শ্বশুরের মধ্যে চলে প্রতিযোগিতা।
গতকাল বুধবার শুরু হয়েছে এই মেলা। শেষ হবে আজ বৃহস্পতিবার। ইতোমধ্যে মেলায় কয়েকশ মণ মাছ বিক্রি করা হয় হয়েছে।আজ সরেজমিনে দেখা যায়, নানা স্থান থেকে সেই মেলায় মানুষ ছুটে আসছেন। মাছ ব্যবসায়ীরা বড় বড় মাছ নিয়ে হাজির হয়েছেন মেলায়। সমানতালে চলছে মাছের বেচাবিক্রি।
প্রতিবছর মাঘ মাসের তৃতীয় বুধবারে এ মেলা বসে। এদিন এলাকার প্রতিটি বাড়িতে থাকে অতিথিপূর্ণ। বকচরসহ আশপাশের গ্রামে যারা বিয়ে করেছেন, সেসব জামাই এই মেলার মাছের মূল ক্রেতা। জামাইরা সবচেয়ে বড় মাছ কিনে খুশি মনে শ্বশুরবাড়ি নিয়ে যান। আবার জামাইদের আপ্যায়ন করতে শ্বশুরপক্ষও মেলা থেকে মাছ কিনে নিয়ে যান বাড়িতে।
এ মেলায় কোনো কোনো মাছের ওজন ২০ থেকে ৫০ কেজি হয়। মাছ ছাড়াও মেলায় বিক্রি হয় হরেক পণ্য।মাছ ব্যবসায়ী নরেন চন্দ্র দাস জানান, তিনি ৩০ বছর ধরে মেলায় মাছ বিক্রি করছেন। এবার ৪০ কেজি ওজনের একটি মাছ নিয়ে এসেছেন। মাছটির দাম চাইছেন ৮০ হাজার টাকা। ক্রেতাদের মধ্যে একজন মাছটির দাম বলছেন ৪৫ হাজার টাকা।
মেলায় আসা হোসেন আলী জানান, মেলা উপলক্ষে প্রতিবছর শ্বশুরবাড়িতে বেড়াতে আসেন। মেলা থেকে বড় আকারের মাছ কেনার চেষ্টা করছেন। এবার ২০ কেজি ওজনের একটি মাছসহ ৫০ হাজার টাকার মাছ কেনা কিনেছেন তিনি।
মেলার আয়োজক কমিটির সভাপতি ও কালেরপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সাজ্জাদ হোসেন শিপন বলেন, ‘মেলাটির প্রচলন কত বছর আগে শুরু হয়েছে, এর সঠিক তথ্য কেউ বলতে পারে না। তবে গ্রামের মুরব্বিরা জানান, ২০০ বছর আগে এই মেলার প্রচলন শুরু হয়েছে। এটি মাছের মেলা হলেও মানুষ এটাকে জামাই মেলা হিসেবে চেনে। মেলা উপভোগ করতে দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে এসেছেন অনেকে।’
Leave a Reply