গোলাম রব্বানী শিপন, মহাস্থান (বগুড়া): বগুড়ার মহাস্থানে দৈনিক সেঞ্চুরী সঞ্চয় সমিতির নামে প্রায় ৪ শতাধিক ব্যবসায়ী গ্রাহকের গচ্ছিত সাড়ে ৩ কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়ে প্রতিষ্ঠানের এনামুল হক পরিচালক লাপাত্তার ঘটনা ঘটেছে। এদিকে খেয়ে না খেয়ে গচ্ছিত রাখা সঞ্চয় না পেয়ে একাধিক ব্যবসায়ী পথে বসেছেন বলে সচেতন এলাকাবাসী জানিয়েছেন।
সরেজমিনে গিয়ে ভুক্তভোগী গ্রাহকদের সাথে কথা বলে জানা যায়, মহাস্থান বন্দর ও বাজারে প্রায় ৮ বছর ধরে দৈনিক সেঞ্চুরী সঞ্চয় সমিতির সাথে তারা লেনদেন করেন। এখানকার প্রায় ৪শতাধিক ব্যবসায়ীরা দিন শেষে মুনাফা হিসেবে সমিতির পরিচালক রায়নগর ইউনিয়নের হাতিবান্দা নাগরকান্দি গ্রামের মৃত রেজাউল করিমের পুত্র এনামুল হক এর কাছে সঞ্চয় রাখেন। সমিতির নিয়ম জানুয়ারির প্রথম বছর থেকে দৈনিক সঞ্চয় হিসাবে ১০০ টাকা থেকে ২০০০ টাকা পর্যন্ত জমা করে ১ বছর পূর্ণ হলে ডিসেম্বরে সেই সমিতি ভেঙ্গে প্রত্যেক গ্রাহককে টাকা বুঝিয়ে দেওয়া। এনামুল ওই কয়েক বছর বিশ্বস্ততার সাথে সমিতির গ্রাহকদের আমানত সঠিকভাবে লেনদেন করে চলতি বছর সমিতির গ্রাহকের টাকা বুঝিয়ে না দিয়ে উধাও হয়েছে। ভুক্তভোগীরা তাদের ব্যবসার মুলধন সঞ্চয় রেখে বিপাকে পড়েছেন এবং অনেকেই দুঃচিন্তায় দিনাতিপাত করছেন। সমিতির একাধিক সদস্যের সাথে কথা বললে তাদের মধ্যে আল-মামুন, দুলাল হোসেন, হারুন-উর-রশিদ, শহিদুল ইসলাম, রায়হানুল ইসলাস বিপ্লব, ওবায়দুর রহমান, ফারুক হোসেন, তারেক মিয়া, সাজু মিয়া, আমিনুর রহমান সহ প্রায় শতাধিক সদস্য বলেন, আমরা সেঞ্চুরী সঞ্চয় সমিতির পরিচালক ও হাতিবান্দা নাগরকান্দি গ্রামের মৃত রেজাউল করিমের পুত্র এনামুল হক ও তার বড় তিন সহদর ভাইদের সহযোগিতায় পরিচালিত সমিতিতে টাকা সঞ্চয় করে আসিতেছি। কিন্তু হঠাৎ টাকা তোলা বন্ধু করে উধাও হয়েছে এনামুল। আমরা অনেকেই তার বাড়িতে গিয়ে তার খোঁজ জানতে চাইলে তার পরিবার থেকে সদুত্তর পাইনা।
এবিষয়ে শিবগঞ্জ থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
এদিকে মহাস্থানে সঞ্চয় সমিতির নামে মাঝে মাঝেই গ্রাহকের কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়ে উধাও হওয়ার ঘটনা প্রায়ই ঘটছে বলে অনেকেই জানিয়েছেন।
ভুক্তভোগী ব্যবসায়ীরা তাদের গচ্ছিত টাকা ফিরে পেতে প্রশাসনের সহযোগিতা কামনা করেছেন।
সোনাতলা সংবাদে লিখতে পারেন আপনিও। যে কোনও তথ্য ও ভিডিও দিন নিচের WhatsApp নাম্বারে। প্রয়োজনে আপনার নাম ও পরিচয় গোপন রাখা হবে।
মোবাইল: ০১৭৭৪৬৫০৬৭১
E-mail: sonatalasangbad@gmail.com