1. sonatalasangbad@gmail.com : সোনাতলা সংবাদ :
শুক্রবার, ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১২:১৪ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
সোনাতলার বালুয়া ইউনিয়নের ভিডাব্লিউবি কর্মসূচীর চাল বিতরণ বগুড়া-১ আসনে নতুন তালিকায় খসড়া ভোট কেন্দ্রের সংখ্যা ১২৫টি সোনাতলায় বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তাদের সাথে জামায়াত নেতা শাহাবুদ্দীনের মতবিনিময় সোনাতলায় মেধাবী শিক্ষার্থীদের মাঝে শান্তি ফাউন্ডেশনের শিক্ষা বৃত্তি প্রদান সোনাতলায় রাস্তার মাঝখান থেকে অপসারণ করা হলো বৈদ্যুতিক খুঁটি সোনাতলায় পুলিশের হাতে হেরোইনসহ কিশোর আটক বগুড়ায় বোনের বাড়িতে বেড়াতে গিয়ে দুলাভাই কর্তৃক ছষ্ঠ শ্রেণীর স্কুলছাত্রী ধর্ষিত সারিয়াকান্দিতে আলোচিত শাহিনূর হত্যা মামলার আসামি গ্রেফতার কাহালুতে ট্রেনের নীচে ঝাঁপ দিয়ে এক ব্যাক্তির আত্মহত্যা সোনাতলায় তুচ্ছ ঘটনায় হোটেল মালিক অতুলের কান কর্তন

বগুড়ার শজিমেক ও মোহাম্মাদ আলী হাসপাতালে জনবলসংকটঃ জনগনের ভোগান্তি

  • বৃহস্পতিবার, ৯ মার্চ, ২০২৩
  • ৭৬

সোনাতলা সংবাদ ডেস্কঃ বগুড়ার প্রধান দুই হাসপাতালে জনবলসংকটে চিকিৎসাসেবা নিয়ে ভোগান্তিতে পড়ছেন রোগীরা। এ কারণে এখানকার দুটি সরকারি হাসপাতাল- ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট মোহাম্মদ আলী হাসপাতাল এবং শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতালে ব্যাহত হচ্ছে সেবা এবং হাসপাতালও থাকছে অপরিচ্ছন্ন। শজিমেক হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, এখানে চিকিৎসক এবং তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারীর অভাব সবচেয়ে বেশি। অস্ত্রোপচার কক্ষেরও সংকট। এ কারণে অস্ত্রোপচারের সুযোগ পেতে দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করতে হয়।শজিমেকে ডারমাটোলজি, নেফ্রোলজি, নিউরোলজি, ইউরোলজি, পেড্রিয়াটিক সার্জারি, নিউরো সার্জারি বিভাগে ইনডোর মেডিকেল অফিসার নেই। এই বিভাগগুলোতে নেই সহকারী রেজিস্ট্রারও। ডারমাটোলজি বিভাগে একজন সহকারী রেজিস্ট্রার থাকলেও তিনি বহির্বিভাগে রোগী দেখেন, ভর্তি রোগীদের দেখেন না। চিকিৎসকের এই সংকটে দীর্ঘায়িত হচ্ছে রোগীদের অস্ত্রোপচারও। এমনকি জটিল অস্ত্রোপচারের সিরিয়াল পেতে সময় লাগছে। নিউরোসার্জারি বিভাগে অস্ত্রোপচারের সিরিয়াল পেতে সবচেয়ে বেশি সময় লাগছে।
শজিমেক উপাধ্যক্ষ নিউরো সার্জারি বিভাগের সুশান্ত কুমার বলেন, ‘সম্প্রতি রোগীর চাপ খুব বেড়ে গেছে। সেই তুলনায় চিকিৎসকের সংখ্যা কম। সপ্তাহে একদিন অপারেশন হয়। তাই সিরিয়াল দীর্ঘ হয়ে যায়।’জানা গেছে, শজিমেক হাসপাতালে ২২৩ জন চিকিৎসকের পদের মধ্যে শূন্য আছে ৩৩টি। দ্বিতীয় শ্রেণির কর্মকর্তার আটটি পদের পাঁচটিই শূন্য। তৃতীয় শ্রেণির কর্মচারীর ১৭২টি পদের মধ্যে শূন্য ৫৫টি। চতুর্থ শ্রেণির ৪১৫টি পদের মধ্যে শূন্য পদ ১১৮টি।
শজিমেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ মহসিন বলেন, ‘হাসপাতালের শূন্য পদগুলো পূরণের জন্য মন্ত্রণালয়ে নিয়মিতই চিঠি দিচ্ছি। কিছু পদ পূরণ হয়েছে। ডাক্তারের পাশাপাশি হাসপাতালের সক্ষমতাও বাড়াতে হবে, যেন প্রত্যেক বিভাগে সপ্তাহে অন্তত তিন দিন অপারেশন করা যায়। সে লক্ষ্যে হাসপাতাল এক্সটেনশনের প্রক্রিয়া চলছে।’
এদিকে ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট মোহাম্মদ আলী হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, হাসপাতালটিতে তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী এবং মেডিকেল টেকনোলজি বিভাগে জনবলসংকট তীব্র। চিকিৎসকের অভাবে বন্ধ হয়ে আছে নাক কান গলা বিভাগ।
হাসপাতালে সেবা নিতে আসা সালেহা বেগম (৪৫) আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘হাসপাতালটি বাড়ির কাছে হওয়ায় যেকোনো অসুখে পরিবারের সবাই এখানেই আসি চিকিৎসা নিতে। কিন্তু প্রায়ই কোনো জটিল সমস্যা হলে আমাদের রেফার করা হয় জিয়া মেডিকেলে। সেবা না পেয়েও সেখানে যেতে বাধ্য হই। কয়েক বছর আগেও এখানে আমার মেয়ের গলার টনসিল অপারেশন করিয়েছি। কিন্তু এখন শুনি, নাক কান গলা বিভাগে কোনো ডাক্তারই নেই এখানে।’
মোহাম্মদ আলী হাসপাতালে প্রথম শ্রেণির চিকিৎসকের পদ শূন্য আছে ১০টি। তৃতীয় শ্রেণির কর্মচারীর ৬০টি পদের মধ্যে শূন্য ২৪টি। চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারীর ১০৬টি পদের বিপরীতে শূন্য পদ ২৭টি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে মোহাম্মদ আলী হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক এটিএম নুরুজ্জামান বলেন, ‘শজিমেক হাসপাতাল হওয়ায় আমাদের এখানে এমনিতেই চাপ কমেছে। অনেক রোগী আগ্রহী হয়ে মেডিকেলে যান। কিছু চিকিৎসকও ট্রান্সফার নিয়ে মেডিকেলে জয়েন করেছেন। শূন্য পদগুলো পূরণের জন্য মন্ত্রণালয়ে চিঠি দেওয়া হয়েছে।’-আজকের পত্রিকা

শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

নিউজে সর্বশেষ

পুরাতন সংবাদ পড়ুন

সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০  
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
প্রযুক্তি সহায়তায়: ইয়োলো হোস্ট