সোনাতলা সংবাদ ডেস্কঃ বগুড়ার শেরপুর উপজেলায় বিয়ে হয়ে যাওয়া ছাত্রীর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক চালিয়ে যাওয়ার জেরে এক শিক্ষককে গাছে বেঁধে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে।
শনিবার সকালে ঢাকার একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীনে মোনারুল ইসলাম (৩৫) নামে ওই শিক্ষকের মৃত্যু হয়। তার বাড়ি উপজেলার শাহবন্দেগী ইউনিয়নের রহমতপুর গ্রামে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ফুলতলা এলাকায় অবস্থিত প্রতিভা কিন্ডার গার্টেন স্কুলের শিক্ষক ছিলেন মোনারুল ইসলাম। পাঁচ বছর আগে ওই স্কুলের পঞ্চম শ্রেণির এক ছাত্রীর সঙ্গে তার প্রেমের সম্পর্ক হয়। বিষয়টি জানাজানি হলে তখন মেয়েটিকে অন্য স্কুলে ভর্তি করেন অভিভাবকরা। এ ঘটনার প্রায় ৫ বছর পর বিয়ে হয় মেয়েটির। বিয়ের পরও ছাত্রী এবং শিক্ষক তাদের সম্পর্ক চালিয়ে যান। গত ৩০ ডিসেম্বর মেয়েটি বাবার বাড়িতে আসার পর দুজন দেখা করেন। কিন্তু ছাত্রীর বাবার অভিযোগ, সেদিন রাতে সেখানে ছাত্রীকে তাকে কু-প্রস্তাব দিয়েছে শিক্ষক মোনারুল।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ঘটনা জানাজানি হলে মোনারুলকে আটক করা হয়। তাকে গাছে বেঁধে বেধড়ক পেটায় ওই ছাত্রীর স্বজনরা। এতে মোনারুল গুরুতর আহত হন। পরে খবর পেয়ে শিক্ষকের স্বজনরা এসে তাকে উদ্ধার করে আশঙ্কাজনক অবস্থায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। কিন্তু অবস্থার অবনতি ঘটলে তাকে বগুড়ায় শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতালে এবং পরে ঢাকায় নেওয়া হয়।
শেরপুর থানার ওসি আতাউর রহমান খোন্দকার বলেন, ‘নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে এখনো কোনো অভিযোগ পাইনি। ঘটনার বিষয়ে খোঁজখবর নেওয়া হচ্ছে।’
Leave a Reply