সোনাতলা সংবাদ ডেস্কঃ বগুড়ার শেরপুর উপজেলায় মধ্যরাতে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে মুখে গামছা বেঁধে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে গৃহবধূকে ধর্ষণের পর হত্যার চেষ্টা চালিয়েছে সংঘবদ্ধ এক দল দুর্বৃত্ত। পরে গুরুতর অবস্থায় উদ্ধার করে তাকে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তার অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক জানিয়েছেন। সুত্রঃ-কালবেলা
গতকাল বৃহস্পতিবার রাত ১টার দিকে উপজেলার কুসুম্বী ইউনিয়নে এ ঘটনা ঘটে।
পুলিশকে ওই গৃহবধূ জানিয়েছেন, তিনি বাবার বাড়িতে বেড়াতে এসেছিলেন। বৃহস্পতিবার রাতে প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে বাড়ির প্রধান ফটক খুলে বের হন। এ সময় ওঁৎ পেতে থাকা চার থেকে পাঁচজন ব্যক্তি তাকে মুখে গামছা বেঁধে তুলে নিয়ে যায়। পরে গ্রামের ফসলি মাঠে নিয়ে এক ব্যক্তি তাকে ধর্ষণ করেন। অন্যরা পাহারায় নিয়োজিত ছিলেন। একপর্যায়ে ধর্ষণকারীকে চিনতে পারেন তিনি। তার নাম আব্দুল মান্নান। তিনি একই গ্রামের আব্দুল জব্বারের ছেলে। ধর্ষণকারীকে চিনে ফেলায় তাকে হত্যার চেষ্টা করা হয়।
মান্নান ও তার সহযোগীরা ওই গৃহবধূর মাথায় লোহার রড দিয়ে আঘাত করেন। এতে তার মাথা ফেটে যায়। পরে মৃত ভেবে তাকে ফেলে চলে যান তারা।
এদিকে তার ঘর ও বাড়ির দরজা খোলা দেখে স্বজনরা তাকে ডাকাডাকি করেন। কিন্তু কোনো সাড়াশব্দ না পেয়ে খোঁজাখুঁজি শুরু করেন। পরে গোঙানির শব্দ শুনে মাঠ থেকে তাকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে প্রথমে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। অবস্থার অবনতি ঘটলে তাকে বগুড়ায় শজিমেক হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয় বলে পুলিশের একটি সূত্র নিশ্চিত করেছে।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে দায়িত্বরত চিকিৎসক গুলশানারা বলেন, ‘ওই গৃহবধূকে পাশবিক নির্যাতন চালানোর পর মাথায় আঘাত করা হয়। তার অবস্থা খুবই ক্রিটিক্যাল।’
ঘটনাটি নিয়ে ইতিমধ্যে তদন্ত শুরু করেছেন বলে জানিয়েছেন শেরপুর থানার ওসি আতাউর রহমান খোন্দকার। তিনি বলেন, তারা অভিযান চালাচ্ছেন। জড়িতরা দ্রুতই ধরা পড়বে বলে তাদের আশা। এ ঘটনায় মামলার প্রক্রিয়া চলছে বলেও জানান তিনি।
Leave a Reply