সোনাতলা সংবাদ ডটকম ডেস্কঃ বগুড়ার ধুনট উপজেলায় প্রেমের ফাঁদে ফেলে একাদশ শ্রেণির এক ছাত্রীকে (১৮) নিয়ে উধাও হয়ে যাওয়া কলেজ শিক্ষককে চাকরি থেকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। তবে ঘটনার চার দিন পেরিয়ে গেলেও ওই শিক্ষক ও ছাত্রীর সন্ধান মেলেনি।
কলেজ শিক্ষক মোকছেদুল হক ফারুক (৩৭) ধুনট পাইলট বালিকা উচ্চবিদ্যালয় ও কলেজের কারিগরি শাখার ইংরেজি বিষয়ের প্রভাষক ও উপজেলার কান্তনগর গ্রামের বাসিন্দা।
আজ সোমবার দুপুরের দিকে ধুনট পাইলট বালিকা উচ্চবিদ্যালয় ও কলেজের অধ্যক্ষ বিকাশ চন্দ্র এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, বিধি মোতাবেক কলেজ পরিচালনা কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী প্রভাষক মোকছেদুল হক ফারুককে চাকরি থেকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মোকছেদুল হক ফারুক বনিবনা না হওয়ায় প্রায় ৬ বছর আগে স্ত্রীকে ডিভোর্স দেন। তার ওই স্ত্রীর একটি ছেলে সন্তান রয়েছে। বতর্মানে তিনি কর্মস্থলের পাশে একটি ভাড়া বাসায় বসবাস করেন এবং প্রাইভেট পড়ান। স্কুলে পড়াকালীন সময় থেকেই ওই ছাত্রী ফারুকের কাছে প্রাইভেট পড়তেন। স্থানীয় একটি কলেজে একাদশ শ্রেণিতে ভর্তি হওয়ার পরও ওই ছাত্রীকে তিনি প্রাইভেট পড়াতেন।
এদিকে গত ১ মাস আগে পারিবারিক সম্মতিতে উপজেলার বাকশাপাড়া গ্রামের এক ছেলের সঙ্গে ওই ছাত্রীর বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে সে তার স্বামীকে নিয়ে বাবার বাড়িতেই থাকতো। গত শুক্রবার সকালের দিকে তার স্বামী বাড়িতে চলে যায়। এ সুযোগে ওইদিন বিকেলেই কলেজ শিক্ষক ফারুক ও ছাত্রীকে নিয়ে উধাও হয়ে যায়। বিভিন্ন যায়গায় খুঁজে না পেয়ে ছাত্রীর মা বাদি হয়ে গত শুক্রবার রাতেই ধুনট থানায় একটি অভিযোগ দেন।
ওই অভিযোগে ছাত্রীর পরিবারের দাবি, বালিকা বিদ্যালয়ে পড়াকালীন সময় থেকেই ফারুক ওই ছাত্রীকে বিভিন্ন সময় উত্যক্ত করতো। প্রাইভেট পড়ানোর সুবাদে প্রেমের ফাঁদে ফেলে ছাত্রীকে নিয়ে উধাও হয়েছে ফারুক।
ধুনট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কৃপা সিন্ধু বালা জানান, অভিযোগ পাওয়ার পর থেকে শিক্ষককে গ্রেপ্তার ও ছাত্রীকে উদ্ধারের জন্য অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
মাস্টারের একার কোন দোস নাই ২ জন মিল না থাকলে কখনোই একটা মেয়েকে পালিয়ে নিয়ে জাওয়া যায়না কারন মেয়েটাও এর সাথে জরিত আছে আগে মেয়েটার বিচার করতে হবে মেয়ের দোসটাই আমি মনে করি বেশি হবে আমার মতে মেয়েকে ছেলেকে মানিয়ে নিয়ে সংসার করতে দেওয়া সবচেয়ে ভাল হবে