1. sonatalasangbad@gmail.com : সোনাতলা সংবাদ :
বৃহস্পতিবার, ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৪:৫৬ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :

বগুড়া জেলা পরিষদ নির্বাচনঃ শিক্ষাগত যোগ্যতায় এগিয়ে আ.লীগ, মামলায় বিদ্রোহী প্রার্থী

  • শুক্রবার, ২৩ সেপ্টেম্বর, ২০২২
  • ৩৪

সোনাতলা সংবাদ ডেস্কঃ বগুড়া জেলা পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থীর নামে কোনো মামলা না থাকলেও প্রতিদ্বন্দ্বী বিদ্রোহী প্রার্থীর নামে বিস্ফোরক দ্রব্যসহ ছয়টি মামলা বিচারাধীন। শুধু তাই নয়, আওয়ামী প্রার্থীর কোনো ধারদেনা না থাকলেও প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর নামে ৭৭ লাখ টাকার ঋণ রয়েছে। জেলা পরিষদ নির্বাচনে নির্বাচন কমিশনে দাখিল করা হলফনামা বিশ্লেষণ করে এসব পাওয়া গেছে।

বগুড়ায় আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী ডা. মকবুল হোসেন দলের জেলা কমিটির সহসভাপতি। গত দুই দফা তিনি জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও প্রশাসক হিসেবে দায়িত্বে আছেন।

তার প্রতিদ্বন্দ্বী আবদুল মান্নান বগুড়া শহর আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ও জেলা ট্রাক মালিক সমিতির সাবেক সভাপতি। গত বছর পৌর নির্বাচনে দলীয় প্রার্থীর বিরুদ্ধে মেয়র পদে নির্বাচনে অংশ নেওয়ায় আবদুল মান্নানকে দল থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।
নির্বাচনী হলফনামায় আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী ডা. মকবুল হোসেন উল্লেখ করেন, তিনি বগুড়া মেডিকেল স্কুল থেকে পাস করেছেন। পেশায় তিনি চিকিৎসক। নিজের নামে ব্যাংকে তার ২১ লাখ ৯৯ হাজার ৪৫০ টাকা এবং স্ত্রীর নামে ব্যাংকে সঞ্চয়পত্র রয়েছে ৬ লাখ টাকার।

তার নিজের নামে ৩৭ শতক কৃষিজমি ও একটি টিনশেড বাড়ি এবং স্ত্রীর নামে ১০ ভরি ওজনের স্বর্ণালংকার রয়েছে। এ ছাড়া বাড়িতে টিভি, ফ্রিজ ও আবসবাব রয়েছে। তার নামে কোনো মামলা নেই এবং ব্যাংক বা কোনো আর্থিক প্রতিষ্ঠানে তার ঋণ নেই।

তার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী আবদুল মান্নান হলফনামায় উল্লেখ করেছেন, তিনি অষ্টম শ্রেণি পাস। পেশায় তিনি ঠিকাদার এবং কমিউনিটি সেন্টার ব্যবসায়ী।
ব্যাংকে তার নগদ কোনো টাকা নেই, তবে তার বার্ষিক আয় দেখিয়েছেন ৭ কোটি ৯৬ লাখ ৩০ হাজার টাকা। এ ছাড়া ইউসিবি ব্যাংকে তার ঋণ রয়েছে ৭৭ লাখ ৬ হাজার ৯৫০ টাকা। স্ত্রীর নামে ব্যাংকে নগদ লাখ টাকা, লাখ টাকার আমানত ও ১৬ ভরি ওজনের স্বর্ণালংকার রয়েছে।

এ ছাড়া আবদুুল মান্নানের নিজের নামে একটি মাইক্রোবাস ও ঠিকাদারি যন্ত্রাংশ, ১৪ বিঘা (৪৬৪ শতক) কৃষিজমি, একটি তিনতলা বাড়ি, তিনটি ফ্ল্যাট ও সোয়া ১৯ শতক অকৃষিজমি এবং একটি কমিউনিটি সেন্টার রয়েছে। তার নিজের মাত্র ৫০ হাজার টাকার আসবাবপত্র এবং তার স্ত্রীর নামে ২০ শতক কৃষিজমি রয়েছে বলেও উল্লেখ করা হয়েছে হলফনামায়।

এই প্রার্থীর নামে বিস্ফোরক আইনে একটি, দুর্নীতি দমন কমিশনের একটিসহ মোট ছয়টি মামলা বিচারাধীন।

বগুড়া জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মাহমুদ হাসান জানিয়েছেন, কোনো প্রার্থী হলফনামায় মিথ্যা বা ভুল তথ্য দিলে বা তথ্য গোপন করলে নির্বাচন চলাকালে অথবা পরেও তার বিরুদ্ধে মামলা করার সুযোগ রয়েছে। এখন যদি কোনো প্রার্থীর তথ্যে অসামঞ্জস্যতা মনে হয়, তবে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী বা যে কেউ তার বিষয়ে আপিল করতে পারবেন। -কালবেলা

শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

নিউজে সর্বশেষ

পুরাতন সংবাদ পড়ুন

সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০  
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
প্রযুক্তি সহায়তায়: ইয়োলো হোস্ট