গোলাম রব্বানী শিপন, মহাস্থানঃ উত্তরবঙ্গের সর্ববৃত্তম সবজির মোকাম হিসেবে খ্যাত বগুড়ার ঐতিহাসিক মহাস্থান সবজির পাইকারি হাট। এ হাটের সবজি পাইকাররা সারাবছরই সংগ্রহ করে দেশের বিভিন্ন জেলায় সরবরাহ করে থাকেন। কিছু দিন আগেও যে সবজির বাজার ছিল ক্রেতাদের কেনাকাটায় স্বস্তি। সেই বাজার বর্তমান অগ্নিমূল্যে পরিনত। যেন সবজির বাজারে আগুন আর আগুন।
গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল ৯টায় বগুড়ার মহাস্থান পাইকারি সবজির বাজারে গিয়ে দেখা যায়, প্রায় সব ধরনের সবজিই বিক্রি হচ্ছে উচ্চমূল্যে। বাজারে নাকাল অবস্থা সাধারণ মানুষের। আকষ্মিক চড়া বাজারে এসে সাধারণ মানুষদের হিমশিম খেতে হচ্ছে।
সবজির বাজারে দাম বাড়ার কারণ হিসেবে জয়পুরহাট পুনট ভূগোইল থেকে মহাস্থান হাটে বেগুন বিক্রি করতে আসা কৃষক আনোয়ার হোসেন জানান, "টানা মাত্রাতিক্ত বৃষ্টির কারণে সবজির উৎপাদন কমে গেছে" গাছের গোড়ায় পানি আটকে গাছ পঁচন ধরে নষ্ট হচ্ছে" চাহিদার তুলনায় ফলন কম" তাই দাম বেড়েছে"।
বাজারে মুলা নিয়ে আসা উপজেলার রায়নগর ইউনিয়নের করতকোলা গ্রামের কৃষক শহিদুল ইসলাম জনান, ১বিঘা জমিতে মুলা চাষ করেছেন। তিনি ১বিঘা জমির মুলা শুরু থেকেই ১ হাজার থেকে ১৪ শত টাকা বিক্রি করেছেন। সপ্তাহের ব্যবধানে মহাস্থান হাটে পাইকারি মুলা মান অনুযায়ী কেজি প্রতি ৩৫ থেকে ৪০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে।
আলতাবাদ বেগুন মানভেদে ৬০ থেকে ৬৫ টাকা প্রতি কেজি। করলা ৬০ থেকে ৭০ টাকা, শসা ৫০ টাকা কেজি, কাঁচা মরিচ ২৬০ টাকা, ধনেপাতা ১৭০ টাকা, করলা ৬০ টাকা কেজি, কাঁকরোল ৬৫ টাকা, পেঁপে ২০ টাকা, ঢেঁড়স ৬০ টাকা, পটল ৫০-৬০ টাকা, চিচিঙ্গা ৭০ টাকা, ধুন্দুল ৬০ টাকা, ঝিঙা ৬০ টাকা, বরবটি ৭০ টাকা, বই কচু লতি ৫০ টাকা, মিষ্টি কুমড়া ৫০ টাকায় কেজি বিক্রি হচ্ছে।
প্রতিটি পিস মাচা লাউ ৫০ টাকায়, চাল কুমড়া ৬০ টাকা, বাঁধাকপি ৬০ টাকা করে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া প্রতি হালি কাঁচা কলা ৪০ টাকা, লেবু হালি প্রতি বিক্রি হচ্ছে ২০ টাকা করে।
এদিকে আগাম জাতের ফুল-কপিতে বেশ সরোবর মহাস্থান হাট। যেন বাসন্তী শাড়ীতে ছেয়ে গেছে হাট। এ এলাকার কৃষকেরা বর্তমান সবজিতে ভালো দাম পেয়ে আনন্দিত হলেও অন্যদিকে হতাশায় ভুগছেন। কারণ তাদের জমির ফসল বৃষ্টির কারনে নষ্ট হয়ে অধিকাংশ গাছ মরে যাচ্ছে।
সোনাতলা সংবাদে লিখতে পারেন আপনিও। যে কোনও তথ্য ও ভিডিও দিন নিচের WhatsApp নাম্বারে। প্রয়োজনে আপনার নাম ও পরিচয় গোপন রাখা হবে।
মোবাইল: ০১৭৭৪৬৫০৬৭১
E-mail: sonatalasangbad@gmail.com