গোলাম রব্বানী শিপনঃ দীর্ঘ টানা অর্ধযুগ পর মহাস্থান উচ্চ বিদ্যালয়ের ২০০৬ ব্যাচের পুনর্মিলনী অনুষ্ঠিত হয়েছে। মহাস্থান সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অবসর প্রাপ্ত সাবেক শিক্ষক আবুল হোসেন এর সভাপতিত্বে শুক্রবার মহাস্থান জাদুঘর দিন ব্যাপী অনুষ্ঠিত পুনর্মিলন অনুষ্ঠানে সাবেক শিক্ষার্থীদের পদচারণায় মুখরিত হয়ে ওঠে। ২০০৬ ব্যাচের পুনর্মিলনী উৎসবে সাবেক শিক্ষার্থীরা মেতে উঠেছিলেন আনন্দে, যেন খুঁজে পেয়েছিলেন নিজেদের শৈশব। সবাইকে আবার একসঙ্গে পেয়ে যেন কর্মজীবনের সব ক্লান্তি দূর হয়ে গিয়েছিল সাবেক শিক্ষার্থীদের।
স্কুল জীবনের পুরনো বন্ধু/বান্ধবী ক্যামেরাবন্দী করে রাখতে ছিল অনেক কসরত। প্রাণের বিদ্যালয়ে মধুর স্মৃতি জড়ানো একে অপরের সঙ্গে কুশল বিনিময় ও কোলাকুলির মাধ্যমে বন্ধুত্বের নতুন বন্ধন তৈরি করেন। অতীতের সকল ভেদাভেদ ভুলে সবাই একই সঙ্গে সম্মিলিত হন।
শৈশবের মুহূর্তগুলো যেন ফিরে পেয়েছিল ক্ষণিক সময়ের মধ্যে। ব্যাচের সদস্যদের অনেকেই দেশ ও দেশের বাইরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পেশায় নিয়োজিত। তাদের নিয়ে শুভক্ষণে অনেক স্মৃতিচারণ তুরে ধরা হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন, মহাস্থান উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক আমিনুল ইসলাম। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, সহকারী শিক্ষক সুফি আলম, দেউলি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জাকারিয়া মন্ডল। তারা বিদ্যালয়ে কাটানো বিভিন্ন স্মৃতি তুলে ধরেন এবং বিভিন্ন উপদেশমূলক বক্তব্য দেন।
,মহাস্থান উচ্চ বিদ্যালয়ের ২০০৬ ব্যাচের প্রাক্তম শিক্ষার্থী মাসুম বলেন, আমি যদিও ঢাকায় চাকরি করি তারপরেও স্কুল বন্ধুদের সাথে মিলন মেলায় সমাবেত হতে এসেছি। এসে মনে হচ্ছে ‘আমরা শৈশব-কৈশোরের খোঁজে এখানে ছুটে এসেছি, স্বপ্নের দরবারে, স্মৃতির আঙিনায়।
প্রাক্তন ছাত্রী রূপসা বলেন, ‘পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে আমাদের স্কুল জীবনের শিক্ষার্থীদের মধ্যে মেলবন্ধন দেখে আমার ভালো লাগছে। সবার সুখ-দুঃখের অনুভূতি প্রকাশ করার সুযোগ ঘটেছে। এর মাধ্যমে পরস্পরের মধ্যে ভ্রাতৃত্ব ও সৌহার্দ্যের বন্ধন আরো সুদৃঢ় হয়েছে।
দুপুরের খাবারের পর চলে স্মৃতিচারণ। জাদুঘর অনুষ্ঠানস্থলে মাঠজুড়ে গুচ্ছগুচ্ছ আড্ডা ফটোসেশান, মঞ্চে বিরতিহীনভাবে চলে প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের পরিবেশিত সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। নাচ, গান, কবিতা বৃত্তি ইত্যাদি।
Leave a Reply