1. sonatalasangbad@gmail.com : সোনাতলা সংবাদ :
বুধবার, ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১২:০৫ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :

শিবগঞ্জের মহাস্থানে তিব্র গরমে হাত পাখা কিনছে পর্যটকরা

  • রবিবার, ১৭ জুলাই, ২০২২
  • ৩৭

সাজু মিয়া শিবগঞ্জ (বগুড়া) প্রতিনিধিঃ “আমি মেলা থেকে তাল পাতার এক বাঁশি কিনে এনেছি, বাঁশি কই আগের মতো বাজেনা, মন আর তেমন যেন সাজে না, তবে কি ছেলে বেলা অনেক দ‚রে ফেলে এসেছি” প্রতিমা বন্দোপাধ্যায় এর কন্ঠে এ গানটি অনেকেই শুনেছেন।
আবার, “তাল পাখা হাতে নিয়ে, তোমার শিওরে বসে, নির্ঘুম রাত কাটিয়ে দেব, ঘুমাও তুমি ঘুমাও তুমি, ঘুমাও তুমি ঘুমাও” জেমসের এ গানটির কথাও অনেকেরই মনে আছে হয়তো। তাল পাখা নিয়ে রচিত এমন আরো অনেক গান, কবিতা আমাদের সাহিত্যে স্থান করে নিলেও আধুনিকতার প্রভাবে সে সাহিত্য এখন ইতিহাসের অংশ হবার উপক্রম হয়েছে।
ফাল্গুন থেকে ভাদ্র এ সাত মাস আমাদের দেশে অধিক গরম অনুভ‚ত হয়। প্রচন্ড গরমে স্নিগ্ধ শীতল বাতাসের পরশ পেতে বগুড়ার মহাস্থানে দুরদুরন্ত থেকে আসা পর্যটকরা কিনছেন তাল পাখা।
শনিবার দূপূরে কথা হয় পঞ্চগড় থেকে মহাস্থানে ঘুরতে আসা মিনারা বেগমের সাথে। সে জানায়, স্ব-পরিবারে মহাস্থানে ঘুড়তে এসে তিব্র গরমে তালপাখা কিনেছি।
মহাস্থানের হাতপাখা ব্যবসায়িরা বলেন, বগুড়ার টেংড়া, দুপচাঁচিয়া, গোবিন্দগঞ্জের ফাসিতলা ও কুমিল্লা থেকে ৭-১৫ টাকা দরে তালপাখা কিনে আনি। তাল গাছ কমে যাওয়ায় এবং কাঁচামালের যোগান না থাকায় পর্যাপ্ত হাতপাখা তৈরি করা সম্ভব হচ্ছে না।
মহাস্থানের পাখা বিক্রেতা নাছির প্রাং বলেন, বর্তমান প্রতিটি তালপাখা, সূতার পাখা ও কাপড়ের গড়ে ১৫-৩০টাকা করে বিক্রি করি। গরম মৌসুমে গড়ে দৈনিক ৫০-৩০০টি হাতপাখা বিক্রি হয়। সে হিসেবে দৈনিক সাত হাজার টাকার হাতপাখা বিক্রি করি।
মহাস্থানের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কাস্টডিয়ান রাজিয়া সুলতান বলেন, মহাস্থানগড়ে দৈনিক গড়ে ৩৫০-৫০০জন পর্যটক ঘুড়তে আসে। তাদের মধ্যে অনেকেই তীব্র গরমে হাতপাখা কিনছে।

শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

নিউজে সর্বশেষ

পুরাতন সংবাদ পড়ুন

সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০  
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
প্রযুক্তি সহায়তায়: ইয়োলো হোস্ট