গোলাম রব্বানী শিপনঃ বগুড়ার শিবগঞ্জ উপজেলার দক্ষিণ কৃষ্ণপুর গ্রামে পুত্রবধূর নির্যাতন সইতে না পেরে ক্ষোভে-দুঃখে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে ঘরের তীরের সাথে গোলাপী বেগম (৫০) নামের ১ গৃহবধূর মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। শুক্রবার দিবাগত রাত পৌনে ৯ টায় উপজেলার রায়নগর ইউনিয়নের দক্ষিণ কৃষ্ণপুর গ্রামে নজরুল ইসলামের বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। হত্যা না আত্মহত্যা গৃহবধূ গোলাপীর মৃত্যুর রহস্যের এমন প্রশ্নে এলাকাজুড়ে তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে। খবর পেয়ে রাতেই শিবগঞ্জ থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে নিহতের সুরুতহাল প্রতিবেদন তৈরী করে সকালে ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ উদ্ধার করে বগুড়ার শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠায়।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, দক্ষিণকৃষ্ণপুর গ্রামের নজরুল ইসলাম তার প্রথম স্ত্রীর মৃত্যুর পর সে গড়মহাস্থান দক্ষিণপাড়া গ্রামে গোলাপী বেগম কে বিয়ে করেন। বিয়ের পর তাদের সংসারে ১ ছেলে ১ মেয়ের জন্ম হয়। গত ৮ মাস পূর্বে তাদের আদরের পুত্র রনিকে আনুষ্ঠানিক ভাবে বিয়ে করান, একই উপজেলার পৌর এলাকার বগলে গাড়ী গ্রামে। বিয়ের পর থেকে পুত্রবধূ সহ সবাই একই হাড়ীতে একত্রিত ভাবে খেয়ে আসতো। সাম্প্রতিক ছেলের স্ত্রী আনিকা আকতার (২০) এর কাছে যেনো তার শ্বশুর-শ্বাশুড়ি বিষ হয়ে ওঠে৷ ছেলে রনিকে কান পটিয়ে বাবা মাকে ভিন্ন অন্নে আলাদা করে দেন। ছেলে রনি নববধূ আনিকাকে পাশে বিল্ডিং বাড়িতে থাকতো এবং বাবা- মা পাশের দেয়াল ঘরে বসবাস করতেন। এদিকে রনি তার মায়ের সাথে কথা বললে আনিকা নিষেধ করতো। কারনে অকারণে গালিগালাজ ও নানা ভাবে অমানসিক নির্যাতন করতেন। কোন কারনেই শ্বাশুড়ির সাথে আনিকার বনাবনি ছিল না। এরই ধারাবাহিকতায় শুক্রবার বিকালে পুত্র বধূর সাথে ঝগড়া হয়। এতে স্বামী নজরুল ইসলাম থামানোর চেষ্টা করে ব্যর্থ হন। এরপর রাত পৌঁনে ৯টায় শ্বাশুড়ি গোলাপী মনের ক্ষোভে ঘরের তীরের সাথে ওড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যার পথ বেচে নেন। এলাকাবাসী আরও জানান, মৃত্যুর সংবাদ পেয়ে পুত্র রনি ও তার স্ত্রী পলাতক ছিল।
এ বিষয়ে শিবগঞ্জ থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আব্দুর রউফ বলেন, নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য বগুড়ার শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছিল। রিপোর্ট হাতে পেলেই আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। তারপরও বিষয়টি তদন্ত চলছে।
সোনাতলা সংবাদে লিখতে পারেন আপনিও। যে কোনও তথ্য ও ভিডিও দিন নিচের WhatsApp নাম্বারে। প্রয়োজনে আপনার নাম ও পরিচয় গোপন রাখা হবে।
মোবাইল: ০১৭৭৪৬৫০৬৭১
E-mail: sonatalasangbad@gmail.com