গোলাম রব্বানী শিপনঃ বগুড়ার শিবগঞ্জে বিয়ের প্রলোভনে তরুণী কে তুলে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় জনতা কর্তৃক ১ জন কে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেছে।
জানা যায়, শিবগঞ্জ উপজেলার সৈয়দপুর ইউনিয়নের ছদ্মনাম (পারুল) (২২) এর সাথে ফেসবুকে সোনাতলা উপজেলার আটকরিয়া ঝিনার পাড়া গ্রামের সেকেন্দার আলীর পুত্র কালাম (৩০) এর সাথে পরিচয় ঘটে। একপর্যায়ে তাদের এ পরিচয় প্রেম ভালোবাসায় পরিনত হয়।
এদিকে তাকে বিয়ের টোপ দিয়ে বশীকরণ করেন প্রতারক প্রেমিক কামাল। প্রেমিকের কথায় সরল বিশ্বাসে রাজি হয় পারুল। এরই ধারাবাহিকতায় কামাল তার বন্ধু শিবগঞ্জ উপজেলার জীবনপুর গ্রামের মাহবুবুর রহমানের সাথে ধর্ষণের পরিকল্পনা আটে। পূর্বপরিকল্পিত ভাবে গতকাল শনিবার দিবাগত রাত ৯টায় বিয়ের প্রলোভনে পারুল কে বাড়ীর পাশ থেকে মোটরসাইকেল যোগে বন্ধু মাহবুবুর রহমানের সহযোগিতায় তুলে নিয়ে যায় কামাল।
এদিকে আগে থেকেই ওঁৎ পেতে থাকা প্রেমিক কামাল একটি মাঠের ভিতর বসে সময়ের প্রহর গুণ ছিলেন। একসময় প্রেমিক কামালের অপেক্ষার পালা শুভ হয়। মাহবুবুর রহমান ঠিকই তার প্রেয়সী পারুলকে নিয়ে এসেছেন। তবে বিয়ের জন্য নয়। এবার মাহবুবুরের সাথে কামালের কি শর্ত বা পরিকল্পনা ছিল এখন সেটাই বাস্তবতার পালা। তখন তারা শিবগঞ্জ উপজেলার সৈয়দপুর ইউনিয়নের, মাইনকৈর পাথর পাড়া গ্রামের ১টি কালভার্ট ব্রিজের পাশে অবস্থান করছিল। এসময় মাহবুবুর কালভার্ট ব্রিজের নিচে পারুলকে জোরপূর্বক তুলে নিয়ে গিয়ে বিভিন্ন ভয়ভীতি দেখি ধর্ষণ করে। এরপর প্রেমিক কালাম ধর্ষণ করতে গেলে ভিকটিম পারুলের চিৎকারে আশেপাশের লোকজন দ্রুত ছুটে আসে। এ ঘটনার বেগতিক দেখে প্রতারক প্রেমিক ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়। গ্রামবাসী সেখান থেকে যৌনলালাসু মাহবুবুর রহমানকে আটক করেন। পরে পুলিশ কে খবর দিলে মোকামতলা তদন্ত কেন্দ্রের এসআই মনোয়ারুল ইসলামসহ সঙ্গীয় ফোর্স ঘটনাস্থলে এসে ভিকটিমকে উদ্ধার করেন। এবং লম্পট মাহবুবুর রহমানকে আটক করে থানায় নিয়ে যান। ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন, শিবগঞ্জ থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আব্দুর রউফ।
Leave a Reply