মিলন, সারিয়াকান্দি(বগুড়া)প্রতিনিধিঃ বগুড়ার সারিয়াকান্দিতে পৌর এলাকার সাহাপাড়া গ্রামে ককটেল বিষ্ফোরনের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় দুই জন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। পরে পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই)হোসেন আলী বাদী হয়ে বিষ্ফোরক আইনে মামলা দায়ের করেছন। মামলায় উপজেলা বিএনপি’র সভাপতি এ্যাড. নূরে আজম বাবু, পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এ্যাড.শফিকুল ইসলাম হিরা, বিএনপির নেতা এ্যাড. জাকিউল আলম সোহেল সহ প্রায় ১৭ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা অনেকের নামে থানায় মামলা করা হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার রাত পৌনে ৯টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। এস আই হোসেন আলী গণমাধ্যমকে জানায়, গোপন সংবাদের মাধ্যমে জানা যায়, উপজেলা বিএনপি’র ১নং নির্বাহী সদস্য কাজী রফিকুল ইসলাম এর ইন্ধনে সারিয়াকান্দি থানাধীন কাটাখালী গ্রামের কাটাখালী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে বিএনপি ও তার অঙ্গ সংগঠনের সদস্যরা নাশকতা করার উদ্দেশ্যে বিষ্ফোরকদ্রব্য ককটেল নিয়ে অবস্থান করছে। ওই তথ্যের ভিত্তিতে থানা পুলিশের অফিসার ফোর্স রাত ৮.৪০ ঘটিকায় ঘটনাস্থলে পৌঁছিলে পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে বিএনপি সদস্যরা পুলিশকে আহত করার উদ্দেশ্যে ককটেল বিষ্ফোরন ঘটায়। পুলিশ আসামীদের আটকের চেষ্টা করলে আসামীগন বেআইনী জনতায় দলবদ্ধ হয়ে সরকারি কাজে বাঁধা দেয় এবং এএসআই (নিঃ) কামরুল হোসেন এবং আবদুস সামাদ কে মারপিট করে আহত করে। এ সময় ঘটনাস্থলে আরও অফিসার ফোর্স উপস্থিত হয়ে ছত্রভঙ্গ করার চেষ্টা করলে আসামীগন ছত্রভঙ্গ হয়ে পালিয়ে যায়। ঘটনাস্থল হতে দুইটি অবিষ্ফোরিত ককটেল, বিষ্ফোরিত ককটেলের অংশ বিশেষ, পায়ের সেন্ডেল, বাঁশের লাঠি জব্দ করেন। আসামিরা ছত্রভঙ্গ হয়ে যায়। পরে তারা পুনারায় একই রাতের পৌনে ১০ টার দিকে পৌর এলাকার সাহ পাড়া নামক গ্রামে নেতা-কর্মীরা জড়ো হয়ে সাহাপাড়া গ্রামের তিন রাস্তার মোড়ে মসজিদের সামনে রাস্তার উপর ককটেল বিষ্ফোরন করে পালিয়ে যায়। পুলিশ সেখানে উপস্থিত হয়ে বিষ্ফোরিত ককটেলের অংশ বিশেষ ও একটি অবিষ্ফোরিত ককটেল জব্দ করে। এ বিষয়ে উপজেলা বিএনপি’র সভাপতি এ্যাড. নূরে আজম বাবু বলেন, ইহা একটি ভিত্তিহীন ও মিথ্যা মামলা। সরকারের এজেন্ডা বাস্তবায়নের জন্য পরিকল্পিত ভাবে পুলিশকে দিয়ে বিএনপি’র নেতা কর্মীদের নামে মামলাটি করানো হয়েছে।
এ ব্যাপারে সারিয়াকান্দি থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) রাজেশ কুমার চক্রবর্তী বলেন, আহত পুলিশ সদস্যদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা প্রদান শেষে জব্দকৃত আলামতসহ থানায় হাজির হয়ে উপজেলা বিএনপি’র সভাপতি নূরে আজম বাবু কে প্রধান আসামি করে পলাতক ১৭ জন আসামীসহ অজ্ঞাতনামা আরও অনেকের বিরুদ্ধে নাশকতা মামলা দায়ের করা হয়েছে। এ ঘটনার সাথে জড়িত আসামীদের গ্রেপ্তারের অভিযান অব্যাহত আছে।
Leave a Reply