মিলন, সারিয়াকান্দি (বগুড়া) প্রতিনিধিঃ বগুড়ার সারিয়াকান্দিতে যত্রতত্র স্থানে রোগাক্রান্ত পশু ও ফ্রিজিং রাখা মাংস বিক্রয়ের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এছাড়াও উপজেলার বিভিন্ন দপ্তরে পৌর বাজারের প্রধান সড়কে চৌকি বসিয়ে মাংস বিক্রয়ের অভিযোগও পাওয়া গেছে।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, পৌর বাজার এলাকায় প্রধান সড়কে চৌকি বসিয়ে মাংস বিক্রয় করে আসছে দুইজন মাংস ব্যবসায়ী। মাংস বিক্রয়ের ফলে নোংরা ও দূষিত হচ্ছে পরিবেশ। মশা মাছির আবির্ভাব সহ দুর্গন্ধ ছড়িয়ে পড়ছে বলেও অভিযোগে উল্লেখ করেন সাধারণ ব্যবসায়ীগণ।
অভিযোগে আরও উল্লেখ করেন, কিছু দিন পূর্বে থানায় বসে প্রধান সড়কে মাংস বিক্রয় না করার অঙ্গিকার নামাও দেন প্রধান সড়কে বসা মাংস ব্যবসায়ীগণ। জানা যায়, ফার্নিচার, চশমা-ঘড়ির, জুতা স্যান্ডেল ও প্লাস্টিকের দোকানের মাঝখানে মাংস বিক্রয় করে আসছে দুইজন মাংস ব্যবসায়ী। ইচ্ছা থাকলেও আশেপাশে সাধারণ ব্যবসায়ী ভয়ে মুখ খুলতে নারাজ।
পৌর বাজারে সরকারি ভাবে মাংস বিক্রয়ের নির্দ্দিষ্ট স্থান থাকলেও প্রধান সড়কে দুইজন মাংস বিক্রয় করায় জনমনে অনেক প্রশ্ন উঠেছে। এরপরেও কোনো নিয়ম নীতির তোয়াক্কা না করে প্রধান সড়কে মাংস বিক্রয় করছে তারা। রোগাক্রান্ত পশু ও ফ্রিজিং রাখা মাংস বিক্রয়ের নিষেধ থাকলেও ক্রেতাদের চোখ ফাঁকি দিয়ে অবাধে ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছেন।
এছাড়াও বেশি মুনাফার আশায় অনেক অসাধু মাংস ব্যবসায়ী রাতের আঁধারে লোক চক্ষুর অন্তরালে বিভিন্ন জায়গায় বা হাটে-বাজারে রোগাক্রান্ত গরু জবাই, ভুড়ি-ফেব্রা পানিতে ভিজানো ও ফ্রিজিং রাখা মাংস বিক্রয় করছে। এসব খেয়ে মানুষের বাড়ছে স্বাস্থ্য ঝুঁকি! পশু জবাই করার পূর্বে প্রাণী সম্পদ হাসপাতাল থেকে ডাক্তারি অনুমোদন নেওয়ার কথা থাকলেও তা মানছে না কোনো মাংস ব্যবসায়ী।
ভুক্তভোগী আলমগীর হোসেন ও ফারাজুল ইসলাম বলেন, বাসি ফ্রিজিং করা মাংস বিক্রয়ের কারণে পৌর বাজার থেকে মাংস কিনে খাওয়া ছেড়েই দিয়েছি। পৌর বাসিন্দা আবুল কালাম বলেন, এ বিষয়ে কয়েকদিন আগে ইউএনও বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দেওয়ার কথা শুনেছি। দৃশ্যমাণ কোনো ব্যবস্থা নিতে দেখিনি। এসব বন্ধ করার জন্য প্রশাসনিক তদারকির মাধ্যমে পর্যবেক্ষণ ব্যবস্থাপনা কমিটি গঠনের দাবি জানান সচেতন মহল।
সারিয়াকান্দি থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) জামিরুল ইসলাম জানান, ব্যবসায়ীদের অভিযোগের প্রেক্ষিতে ইতিপূর্বে পুলিশ ও গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গের উপস্থিতিতে প্রধান সড়কে মাংস বিক্রয় না করার একটি লিখিত অঙ্গীকারনামা করা হয়। আইন অমান্য করে তারা আবারও ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে। এটি অত্যন্ত দুঃখজনক। আইন-শৃঙ্খলার যেনো অবনতি না ঘটে, বিষয়টি স্থায়ী সমাধানের জন্য ইউএনও মহোদয়ের সাথে আলোচনা করে অতি তাড়াতাড়ি মোবাইল কোর্টে ব্যবস্থা করবো।
সারিয়াকান্দি উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও পৌর প্রশাসক মোঃ শাহরিয়ার রহমান বলেন, এ বিষয়ে একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য পৌর সভার কর্মকর্তাকে নির্দেশ প্রদান করা হয়েছে।
সোনাতলা সংবাদে লিখতে পারেন আপনিও। যে কোনও তথ্য ও ভিডিও দিন নিচের WhatsApp নাম্বারে। প্রয়োজনে আপনার নাম ও পরিচয় গোপন রাখা হবে।
মোবাইল: ০১৭৭৪৬৫০৬৭১
E-mail: sonatalasangbad@gmail.com