মিলন, সারিয়াকান্দি (বগুড়া) প্রতিনিধিঃ বগুড়ার সারিয়াকান্দি পৌর বিএনপির সভাপতি সাহাদাৎ হোসেন সনি ১৭ বছর আওয়ামীলীগ ক্ষমতা থাকাকালীন স্থানীয় আওয়ামীলীগ নেতাদের সঙ্গে যোগসাজসে ঠিকাদারি কাজ করে কোটি কোটি টাকা বানিয়ে নেন। তার ধারাবাহিকতায় উপজেলার কামালপুর ইউনিয়নে ছাত্র-জনতার রোষানলে পড়ে গ্রেফতার হন আওয়ামীলীগ নেতা। মুচলেকা দিয়ে থানা থেকে ছেড়ে নেন সাহাদৎ হোসেন সনি। যা সোশ্যাল মিডিয়াসহ স্থানীয় বিএনপি নেতা কর্মীদের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে।

তার বহিষ্কার দাবিতে বুধবার (১৫ জানুয়ারি) সকালে প্রেসক্লাবের সামনে বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন করেছে বিএনপিসহ অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের একাংশ নেতা-কর্মীরা।

এ বিষয়ে স্থানীয় বিএনপি নেতা আব্দুল মোমিন আকন্দ বলেন, বিগত পৌরসভার ৭ কোটি টাকার কাজ আওয়ামীলীগের পুরাতন ঠিকাদারদের সাথে যোগসাজস করে পৌর বিএনপির সভাপতি সাহাদাৎ হোসেন সনি অতিগোপনে কাজ বাগিয়ে নেয়। নিজের শিক্ষাগত যোগ্যতা না থাকায় সারিয়াকান্দি পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে আওয়ামলীগ পন্থী প্রধান শিক্ষককে পূর্ণবাসন করার জন্য নিজের সহধর্মীনিকে এডহক কমিটির সভাপতি মনোনীত করতে বিভিন্ন মহলে তদবির চালিয়ে যাচ্ছেন।

দলীয় প্রভাব খাটিয়ে তার সহধর্মীনীকে এডহক কমিটির সভাপতি নিযুক্ত করতে মরিয়া হয়ে উঠেছেন। ক্ষোভের সাথে তারা আরও বলেন, এতো লোভ কেনো তার? সবকিছু সে একাই ভোগ করবে! পৌর বিএনপির নেতা-কর্মীদের সঙ্গে পরামর্শ না করে এককভাবে সিদ্ধান্ত নিয়ে সকল অপকর্ম চালিয়ে যাচ্ছে। বারবার সতর্ক করা হলেও সে কোন কর্ণপাত করেনি। যা দলের ভাব মুর্তি ক্ষুন্ন হচ্ছে।

এ বিষয়ে সারিয়াকান্দি পৌর বিএনপি'র সভাপতি সাহাদৎ হোসেন সনি বলেন,আমার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ আনা হচ্ছে তা সম্পন্ন মিথ্যা,বানোয়াট ও ভিত্তিহীন।