গাবতলী (বগুড়া) প্রতিনিধি ঃ বগুড়ার গাবতলী উপজেলার সুখানপুকুরে বিয়ের ৯মাসের মাথায় নবমুসলিম এক গৃহবধুর রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। উপজেলার সুখানপুকুর ইউনিয়নের চক ডওর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় নিহত ওই গৃহবধূর স্বামীকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করেছে থানা পুলিশ।
একাধিকসূত্র জানায়, সুখানপুকুর ইউনিয়নের চকডওর গ্রামের মোজাফ্ফর হোসেনের ছেলে সজিব হোসেন (২৩) এর সঙ্গে পার্শ্ববর্তী নেপালতলী ইউনিয়নের আকন্দপাড়া (হিন্দুপাড়া) গ্রামের ব্রজো গোপাল সরকারের মেয়ে মাধবী সরকারের (২২) পাঁচ বছর পূর্বে স্কুলে পড়াশোনা করার সময় থেকে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এই প্রেমের টানে মাধবী সরকার পরপর ২বার প্রেমিক সজিবের সঙ্গে বাড়ী থেকে পালিয়ে যায়। কিন্তু মাধবীর বাবা ব্রজো সরকার লোকজন দিয়ে খুঁজে বের করে বার বার মেয়েকে বাড়ীতে ফিরিয়ে আনে এবং অপহরণ মামলা দিয়ে সবিজকে ৩মাস জেল খাটায়। এরমধ্যে সজিব ও মাধবী স্কুল জীবন পেরিয়ে কলেজে ভর্তি হয়। সজিব পড়াশোনা করে সৈয়দ আহম্মদ বিশ্ববিদ্যালয় কলেজে এবং মাধবী পড়াশোনা করে গাবতলী মহিলা কলেজের একাদশ শ্রেণীতে। দু’জন দু’কলেজে পড়াশোনা করলেও তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্কের কোন কমতি ছিল না। এমতাবস্থায় প্রেমের সম্পর্ককে স্থায়ী করতে মাধবী সরকার গত বছরের ১৪নভেম্বর নিজের হিন্দু ধর্ম ত্যাগ করে এফিডেভিট এর মাধ্যমে মুসলিম ধর্ম গ্রহণের পর মাইশা আকতার নাম রেখে ৩লাখ টাকা দেনমোহরানায় তারা দু’জনে বিয়ে করে। বিয়ে পর সজিব ৯মাস ধরে স্ত্রী মাইশাকে নিয়ে ঘর সংসার করে আসছিল। গত রোববার রাতে খাবার শেষে সজিব হোসেন ও তার স্ত্রী মাইসা আক্তার নিজঘরে ঘুমিয়ে পড়েন। এরপর সোমবার ভোররাতে স্ত্রী মাইসা আক্তারকে অজ্ঞান অবস্থায় বিছানার নিচে পড়ে থাকতে দেখেন সজিব। তারপর দ্রæত মাইশাকে সিএনজিযোগে বগুড়া শজিমেক হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এলাকাবাসী জানায়, মাইশা হয়তো ঘুমের মধ্যেই স্ট্রোক করে মারা গেছেন। এ ঘটনায় গাবতলী থানা পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদের জন্য হাসপাতাল থেকে সজিব হোসেনকে আটক করে থানায় এনেছে। এ ব্যাপারে মডেল থানার ওসি সিরাজুল ইসলাম সিরাজ স্থানীয় সাংবাদিকদের বলেন, লাশ মর্গে রয়েছে, বগুড়া সদর থানা পুলিশ লাশের ময়না তদন্ত করবে। ময়না তদন্ত রির্পোট হাতে পেলেই মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে।
সোনাতলা সংবাদে লিখতে পারেন আপনিও। যে কোনও তথ্য ও ভিডিও দিন নিচের WhatsApp নাম্বারে। প্রয়োজনে আপনার নাম ও পরিচয় গোপন রাখা হবে।
মোবাইল: ০১৭৭৪৬৫০৬৭১
E-mail: sonatalasangbad@gmail.com