সোনাতলা সংবাদ ডেস্কঃ বগুড়ার সোনাতলা উপজেলার বিভিন্ন স্থানে চলছে বালুদস্যুদের অবৈধ বালু উত্তোলন। তবে কোনো ভাবেই থামানো যাচ্ছে না এসব অবৈধ বালু উত্তোলন। যদিও এসব বালু পয়েন্টে মাঝে মধ্যেই প্রসাশন দায়সারা অভিযান চালায়।
এদিকে বালু উত্তোলনকারীদের দাবি পুলিশ ও উপজেলা প্রসাশনকে ম্যানেজ করেই নাকি তারা বালু বেচাকেনা করছে।এলাকাবাসীরা বলেন, এসব বালু উত্তোলনকারীরা বিচক্ষণ এবং ভয়ংকর তাদের রয়েছে নিজেস্ব বাহিনী। তাদের লোকজন ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকে। প্রশাসনের গাড়ি দেখলেই তাৎক্ষণিক খবর পৌঁছে দেয় বালু পয়েন্টে মূহুর্তে সব সড়িয়ে ফেলে। উল্লেখযোগ্য বালু পয়েন্টগুলো হলো, উপজেলার দিঘদাইড় ইউনিয়নের হাড়িয়াকান্দি মধ্যপাড়া একই গ্ৰামের নয়াপাড়া, ঝিনারপাড়া, সদর ইউপির আড়িয়াঘাট, মধুপুর ইউপির পশ্চিম তেকানী কামারজানী জলমহল, লোহাগাড়া।
তবে পাকুল্লার মির্জাপুর বাঁধ সংলগ্ন থেকে দির্ঘদিন বালু উত্তোলনের ফলে চরম হুমকির মুখে পাকুল্লার ওয়াবদা বাঁধ। কোথাও বা ঘরবাড়ি সহ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। এদিকে পুকুর সংস্কারের নামেও চলছে মাটি বিক্রির রমরমা ব্যবসা। মির্জাপুরে স্থানীয়রা জানায়, প্রতিদিন ভোর থেকে বিকেল পর্যন্ত শতাধিক ট্রাক্টর (কাঁকড়া) করে ওয়াবদা বাঁধ সংলগ্ন থেকে তুলে চলছে রমরমা বেচাকেনা। তবে সেখানে কিছু দিন পুর্বে বালুর আধিপত্যকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
এতে বেশ ক’জন গুরুত্বর আহত হয়। এদিকে কাঁকড়ায় বালু বহনের ফলে নষ্ট হচ্ছে কোটি টাকার রাস্তাঘাট। সেই সাথে বড় ধরনের ক্ষতির সম্মুখীন হতে পারে কোটি কোটি টাকায় নির্মিত ওয়াবদা বাঁধের। এবিষয়ে বালুয়াহাট ঝিনারপাড়া বালু ব্যবসায়ী জয়ফুল ইসলাম বলেন, পুলিশ ও প্রসাশনকে ম্যানেজ করে বালু তুলছি। কোন প্রসাশন জানতে চাইলে তিনি বলেন খুঁজে নেন। লোহাগাড়ার বালু ব্যবসায়ী স্বাধীন ইসলাম বলেন, দুই টাকার সাংবাদিকরা কি করতে পারবে সেটা আমি জানি? আমি পুলিশ ও প্রসাশনকে নিয়মিত টাকা দিয়ে নদী থেকে বালু বিক্রি করছি পত্রিকায় লিখে কোন লাভ নেই।
হাড়িয়াকান্দি মাটি বিক্রেতা মৃত চন্ডীর ছেলে বিজয় প্রাং বলেন আমি দশ লাখ টাকার মাটি সবাইকে ম্যানেজ করে বিক্রি করেছি এগুলো পত্রিকায় লিখলে হয়তবা একদিন বন্ধ রাখতে হবে, পরের দিন আবারও মাটি কাটবো। পাকুল্লা ইউপি চেয়ারম্যান লতিফুর বারী টিমের কাছে বালুর বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বিরোক্ত হয়ে বলেন,এসব লিখে কোনো কাজ হয়না। প্রসাশন টাকা খায় তাদের সদিচ্ছা থাকলে অবশ্যই এগুলো বন্ধ হতো।
বালুর বিষয়ে জানতে চাইলে থানার ভারপ্রাপ্ত পুলিশ কর্মকর্তা (ওসি) বাবু কুমার সাহা বলেন, বালুর বিষয়ে আমাদের করার কিছুই নেই এবং আমার কোন অফিসার এর সাথে জরিত না। ইউএনও এবং এসিল্যান্ডের অভিযানে আমরা সহায়তা করে থাকি মাত্র।
এবিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার সাবরিনা শারমিন বলেন,পুকুর সংস্কারের নামে মাটি বিক্রি বেআইনি। তবে বালু উত্তোলনকারীদের বিরুদ্ধে আমাদের অভিযান অব্যাহত রয়েছে এবং অনেকেরই বিরুদ্ধে আমরা প্রায়ই মামলা দিয়েছি।
Leave a Reply