আব্দুর রাজ্জাক, স্টাফ রিপোর্টারঃ বগুড়ার সোনাতলা আলোচিত তুহিন বাদশা হত্যা মামলার অন্যতম আসামি আরাফাত (২০)কে গাজীপুর কালিয়াকৈর যৌথবাহিনীর হাতে আটক হয়েছে।
২১ অক্টোবর সোমবার রাতে র্যাব-১২, ও র্যাব-১ র্যাব সদর দপ্তর ইন্ট উইং যৌথ বাহিনী অভিযান পরিচালনা করে গাজীপুর কালিয়াকৈর শালদহপাড়া ইমান আলীর চায়ের দোকানের সামনে থেকে মামলার ০৩নং আসামী আরাফাত (২০)কে গ্রেফতার করেন।
গ্রেফতারকৃত আসামী আরাফাত কে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য সোনাতলা থানায় সোপর্দ করেছে র্যাব-১২। আরাফাত সোনাতলা উপজেলার জন্তিয়ারপাড়া গ্রামের সবুজ মিয়ার ছেলে ।
গত ৮ সেপ্টেম্বর-২৪ বিকালে বগুড়ার সোনাতলা উপজেলার তেকানি চুকাইনগর ইউনিয়নের বালিয়াডাঙ্গা অবদার বাধ চারমাথা গোলজার আকন্দের চায়ের দোকানের সামনে বসে তুহিন বাদশা চা খাওয়ার সময় পূর্ব শত্রুতার জের ধরে আসামীরা পূর্ব পরিকল্পিতভাবে তাদের হাতে থাকা বাঁশের লাঠি, লোহার রড, সাইকেল এর ধারালো ক্রাং, ছুরি ইত্যাদি দেশীয় অস্ত্র দিয়ে আরাফাতের উপর অতর্কিত আক্রমণ করে। সে কোন কিছু বুঝে উঠার আগেই আসামীরা হত্যার উদ্দেশ্যে মাথায় উপর্যুপরি আঘাত করে গুরুতর জখম করে। এতে তার বাম হাতের হাড় ভেঙ্গে যায় এবং শরীরের বিভিন্ন স্থানে জখম হয়।
স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করেন। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে অবস্থার অবনতি হলে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আইসিইউ ফাঁকা না থাকায় মহাখালী মেট্রোপলিটন মেডিকেল সেন্টারে আইসিইউতে ভর্তি করেন। সেখান থেকে পূনরায় শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য আইসিইউতে ভর্তি করা হয়। বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়ে শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে গত ১৮ সেপ্টেম্বর দুপুর পোনে ২টায় আরাফাত মৃত্যুবরণ করেন।
এ ঘটনায় নিহতের বাবা বাদী হয়ে ১৫ সেপ্টেম্বর সোনাতলা থানায় মামলা দায়ের করেন মামলানং-০৪। হত্যাকান্ডের পর থেকেই বগুড়া র্যাব-১২ সিপিএসসি, গোয়েন্দা নজরদারী ও ছায়া তদন্ত এবং আসামী গ্রেফতারের লক্ষ্যে কাজ শুরু করেন। কিন্তু আসামী আরাফাত মামলার সাজা এড়াতে স্থানীয় আত্মীয়স্বজন ও প্রতিবেশী হতে নিজেকে বিচ্ছিন্ন করে বিভিন্ন কৌশলে দেশের বিভিন্ন স্থানে আত্মগোপনে ছিলো।
Leave a Reply