আব্দুর রাজ্জাক, সোনাতলা: বগুড়ার সোনাতলায় কাজের বিনিময়ে খাদ্য কর্মসূচির (কাবিখা) আওতায় শ্রমিকের বদলে মাটি কাটার এক্সকাভেটর মেশিন (ভেকু মেশিন) ব্যবহার করা হচ্ছে।
ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার তেকানী চুকাইনগর ইউনিয়নের চরসরলিয়া গ্রামে। ওই গ্রামের রাস্তা নির্মাণকাজে শ্রমিকদের দিয়ে মাটি কাটার কথা থাকলেও ভেকু মেশিন ব্যবহার করা হচ্ছে। এতে স্থানীয় শ্রমিকরা বেকার হয়ে পড়েছেন। প্রকল্প সভাপতি অধিক লাভের আশায় এক্সকাভেটর (ভেকু মেশিন) দিয়ে রাস্তা নির্মাণ করার ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন স্থানীয়রা।
এ বিষয়ে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই এলাকার কয়েকজন শ্রমিক বলেন, ‘এমনিতেই চর এলাকাতে কাজ কম। তার মধ্য চেয়ারম্যান শ্রমিকের বদলে ভেকু দিয়ে কাজ করাচ্ছেন। এতে আমরা আরও কর্মহীন হয়ে পড়েছি’।
স্থানীয় ৪ নং ওয়ার্ডের ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য আতাউর রহমান নিশান ভেকু দিয়ে কাজ করার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ‘ভেকু দিয়ে কাজ শেষ করে, ভেকু মেশিন আজকেই চলে গেছে’।
জানা যায়, তেকানী চুকাইনগর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জাহিদুল ইসলাম মন্ডল বিশেষ বরাদ্ধ হিসেবে এই কাজ করছেন। তবে কাজটি শ্রমিক দিয়ে করার কথা থাকলেও তিনি ভেকু মেশিন দিয়ে কাজটি মেয়াদ শেষ হওয়ার ৬ দিন আগেই কাজ সম্পুর্ণ করেছেন।
এ ব্যাপারে তেকানী চুকাইনগর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও প্রকল্পের সভাপতি জাহিদুল ইসলাম বলেন, ‘প্রকল্পের কাজটি ৩০ তারিখ মেয়াদ থাকলেও আজকেই (সোমবার) শেষ হয়েছে’। কতজন শ্রমিক কাজ করার কথা ও ভেকু দিয়ে কেনো কাজ করলেন তা জিজ্ঞাস করলে তিনি বিষয়টি এড়িয়ে যান।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা আয়েশা সিদ্দিকা বলেন, ‘তথ্য অধিকার ফর্মে আবেদন করেন, কাজের সকল তথ্য পাবেন। এছাড়া চেয়ারম্যান কি দিয়ে কাজ করেছেন তা আমার জানা নেই। কাজের তদারকি সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন এসব বলতে পারবেন ইউএনও। আমি এর বেশি কিছু জানিনা। আপনারা যদি ইউএনওর নাম্বার চান তাহলে আমি নাম্বার দিচ্ছি’।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাবরিনা শারমিন এ বিষয়ে বলেন, ‘আমি বিষয়টি জানিনা। তবে চেয়ারম্যানের সাথে কথা বলে বিষয়টি দেখছি’।
জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা গোলাম কিবরিয়া জানান, কাবিখার কাজ শ্রমিক দিয়েই করাতে হবে। এ কাজে শ্রমিক ব্যবহার করাই ন্যায়সঙ্গত। শ্রমিকরা কাজ শেষে মাস্টার রোলে টিপসই বা সাক্ষর করবেন’।
Leave a Reply