আব্দুর রাজ্জাক, স্টাফ রিপোর্টারঃ সোনাতলা উপজেলা বঙ্গবন্ধু ও প্রগতি মেধা অন্বেষণ পর্ষদের উদ্যোগে চাকুরীতে নিয়োগের ক্ষেত্রে ৯৭ শতাংশ মেধা ও ৭ শতাংশ কোটা সংরক্ষিত রেখে প্রজ্ঞাপন জারি করায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ জানিয়ে কৃতজ্ঞতা সমাবেশে উপজেলা ছাত্রলীগের ২৩ সদস্যের একটি আংশিক কমিটি ঘোষণা করলেন আয়োজকরা। এ নিয়ে উপজেলা ছাত্রলীগের কর্মীদের মধ্য তীব্র ক্ষোভ দেখা দিয়েছে।
ঘটনাটি ঘটেছে বগুড়ার সোনাতলা উপজেলায়। ২৭ জুলাই শনিবার বিকেলে সোনাতলা পৌরসভা অডিটোরিয়ামে বঙ্গবন্ধু ও প্রগতি মেধা অন্বেষণ পর্ষদের আহ্বায়ক রায়হান কবিরের সভাপতিত্বে কৃতজ্ঞতা সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বগুড়া- ১ আসনের সংসদ সদস্য সাহাদারা মান্নান। কৃতজ্ঞতা সমাবেশ শেষে তার উপস্থিতিতে সিরাজুল ইসলাম রিপকে সভাপতি ও মুরাদুল ইসলাম মারুফকে সাধারণ সম্পাদক করে উপজেলা ছাত্রলীগের একটি কমিটি ঘোষনা করেন, বগুড়া জেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি রায়হান কবির।
এসময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মিনহাদুজ্জামান লীটন, সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মালেক, পৌর মেয়র জাহাঙ্গীর আলম আকন্দ নান্নু, ভাইস চেয়ারম্যান ফিদা হাসান খান টিটোসহ অনেকে, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান অছিয়া আক্তার রুনা।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক ছাত্রলীগের পদ প্রত্যাশী কর্মীরা জানায়, ছাত্রলীগের কমিটি ঘোষণা হবে ছাত্রলীগের কর্মিসভায়। এখানে প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানিয়ে কৃতজ্ঞতা সভায় এ কমিটি ঘোষণা হতে পারে না। জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি- সাধারণ সম্পাদক আমাদের অনেকের সিভি সংগ্রহ করে নিয়েছেন। তারা কমিটি না দিলে এনারা কিভাবে কমিটি দিতে পারেন। এটা তো তাদের ব্যাক্তিগত কমিটি'।
পাকুল্লা ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি ও উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি পদপ্রার্থী আল মামুন বলেন, 'গত বছরের সেপ্টেম্বর মাসে উপজেলায় ছাত্রলীগের কর্মীসভা হয়। সেই কর্মীসভায় প্রায় ৫০ জনেরও বেশি পদপ্রার্থীরা জেলা সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকের হাতে সিভি জমা দেন। গতকাল যে প্রোগ্রামে কমিটি ঘোষণা হলো আমাদেরকে সেখানে প্রধানমন্ত্রীর কৃতজ্ঞতা সমাবেশে উপস্থিত হতে বলেন। কিন্তু গিয়ে দেখি তারা উপজেলা ছাত্রলীগের কমিটি ঘোষণা করেছেন। জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি- সাধারণ সম্পাদক ছাড়া এ কমিটি এনারা ঘোষণা দিতে পারেনা।
এ বিষয়ে কমিটি ঘোষণাকারী বগুড়া জেলা ছাত্রলীগের সহসভাপতি রায়হান কবির বলেন, আপনারা সবই জানেন, বোঝেন। তাই আমি কিছু বলতে পারছি না। বগুড়া আসেন দেখা করে কথা হবে'।
জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আল মাহিদুল ইসলাম জয় বলেন, 'কিসের কমিটি ঘোষণা। আমরা কোনো কমিটি ঘোষণা করিনি। আর কাউকে কমিটি ঘোষণা করার কোনো দায়িত্বও দেইনাই'।
জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সজীব সাহা বলেন, 'উপজেলা কমিটি ঘোষণা করতে পারেন সেন্ট্রাল কমিটি অথবা জেলা কমিটি। সোনাতলায় যে কমিটি ঘোষণা হয়েছে এ সম্পর্কে আমরা অবগত নই। কে বা কাহারা এ কমিটি ঘোষণা করেছে তা জানি না। এর দায়ভারও জেলা ছাত্রলীগ নেবে না। কেউ যদি আমাদের এ ব্যাপারে লিখিত অভিযোগ দেয় তাহলে আমরা গঠনতন্ত্র অনুযায়ী সাংগঠনিক ব্যবস্থা নিবো'।
সোনাতলা সংবাদে লিখতে পারেন আপনিও। যে কোনও তথ্য ও ভিডিও দিন নিচের WhatsApp নাম্বারে। প্রয়োজনে আপনার নাম ও পরিচয় গোপন রাখা হবে।
মোবাইল: ০১৭৭৪৬৫০৬৭১
E-mail: sonatalasangbad@gmail.com