বিকাশ চন্দ্র স্বর্নকারঃ বগুড়া সোনাতলায় গম ও ভুট্টা জমি থেকে কেটে মাড়াই করে ঘর পর্যন্ত তুলতে অত্যন্ত ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন কৃষকেরা । যদিও একটু বৈরী আবহাওয়ার কারণে একটু সমস্যায় পরতে হচ্ছে কৃষকদের। তবে খুব একটা বেগ পেতে হচ্ছেনা কৃষানীদের । তথ্য প্রযুক্তির দিক থেকে অনেক এগিয়ে চলেছে দেশ । তাইতো হারভেষ্টার মেশিন দ্বারা মাঠেই গম কাটা মাড়াই ও বস্তাজাত হয়ে যাচ্ছে কৃষকদের ঘরে । অপরদিকে প্রতি বিঘা গম কাটা মাড়াই শেষে বস্তাজাত করতে কৃষকদের গুনতে হয় ১৬০০/১৮০০টাকা ।
মাঠেই কথা হলো হারভেষ্টর মেশিন মালিক পার্শ্ববর্তী সারিয়াকান্দি উপজেলার বলাইল গ্ৰামের মোঃ রবিউল ইসলাম এর সাথে। তিনি জানান, এবার ১৫০বিঘা জমির গম কাটা মাড়াই ও বস্তাজাত করে কৃষকদের ঘর পর্যন্ত পৌঁছে দিবেন তিনি । যদি উপজেলার পাকুল্লা ইউনিয়নের প্রত্যন্ত চরাঞ্চলের অনেক কৃষকই বলেছেন এবার শীত কম হওয়ায় কারণে বিঘা প্রতি গমের ফলন একটু কম হয়েছে । মির্জাপুরের কৃষক মোঃ আফছার আলী বলেন, গম শীতকালীন ফসল কিন্তু এবার শীতের প্রকোপটা একটু কম থাকার কারণে গমের ফলন কিছুটা কম হয়েছে ।
উপজেলা কৃষি অফিস সুত্রে জানা গেছে, এবার এ উপজেলায় বারি ২৬,২৭থেকে ৩০জাতের গম প্রায় ৫শত ৫হেক্টর জমিতে কৃষকেরা চাষাবাদ করেছেন । পাশাপাশি কাবেরী, দূর্জয়,কমান্ড ৯৯৯জাতে ভূট্টাও লাগিয়েছে কৃষক । গম ও ভূট্টার ফলন এ উপজেলায় মোটামুটি ভালো হয়েছে । অফিস ও স্থানীয় কৃষকরা আরো জানিয়েছে, গম বিঘা প্রতি ১১/১৩মন এবং ভূট্টা বিঘা প্রতি ৩০/৩৫মন হারে এবার ফলন হয়েছে । এদিকে গতবার গমের বাজার মুল্য কম ছিল তবে এবার গমের বাজার দর বেশি হওয়ায় কৃষকের চোখে মুখে হাসির ঝিলিক দেখা দিয়েছে । কৃষকেরা হাসি মুখে বলেছেন, এবার গমের বর্তমান বাজার মূল্য মন প্রতি ১৬শত থেকে ২হাজার টাকা পর্যন্ত ।
উপজেলা কৃষিবিদ ও কৃষি কর্মকর্তা সোহরাব হোসেন জানান, গম ও ভূট্টা শীতকালীন ফসল । তবে এবার শীতের তীব্রতা একটু হওয়ায় ফলন কিছুটা কম হয়েছে । তার পরামর্শ কৃষকেরা যদি আরো যত্নবান হয়ে কৃষি অফিসের পরামর্শ নিয়ে সব ধরনের ফসল ফলায় তাহলে হয়তো আরো বেশি ফসল ফলানো সম্ভব হবে ।
Leave a Reply