বগুড়া প্রতিনিধি ঃ বগুড়ার সোনাতলায় এক সংখ্যালঘু পরিবারের গরু বিক্রির টাকা দিতে তালবাহানা করছে গরুর বেপারী টাকা না পেয়ে ভুক্তভোগী পরিবার থানায় অভিযোগ করেন ।
অভিযোগ সুত্রে জানা যায়, গত ২২শে জুন বুধবারে পৌর এলাকার ৯নং ওয়ার্ডের কানুপুর গ্ৰামের শ্রী নারায়ন চন্দ্র শীলের ছেলে শ্রী নিরাঞ্জন চন্দ্র শীল পাশ্ববর্তী ও বোচারপুকুরের মোঃ সিরাজ উদ্দিন এর ছেলে মোঃ আঃ মতিন, মোঃ সিরাজ সরকারের ছেলে মোঃ বকুল সরকার, মৃত আমজাদ হোসেন এর ছেলে মোঃ লিটন মিয়ার কাছে এক লাখ ত্রিশ হাজার পাঁচ শত টাকায় দুটি ষাঁড় গরু বিক্রি করে । পরে তারা গরুর মালিক নিরাঞ্জনকে নগদ দশ হাজার পাঁচ শত টাকা বুঝিয়ে দিয়ে বাকি টাকা তাদের বাড়ি থেকে আনতে বলে গরু দুটি নিয়ে যায় ।
তাৎক্ষনিক নিরাঞ্জন শীল ও তার বাবা নারায়ন শীল গরুর বেপারী মোঃ মতিনের বাড়িতে গেলে টাকা দিতে গড়িমসি করে । একপর্যায়ে তারা গরুর মালিক নিরাঞ্জনকে জানিয়ে দেয় তুমি তো আমাদের নিকট হতে বিমা করিয়ে দিয়ে যে টাকাটা নিয়েছো সেই সমুদয় টাকা আমাদের দিলে তুমি তোমার গরু বিক্রির টাকা বুঝে পাবে । এটি জানার পর ভুক্তভোগী নিরাঞ্জন শীল নানান জনের কাছে গিয়েও গরু বিক্রির টাকাটা তুলতে না পেরে পরিশেষে গরুর ক্রেতাদের নামে থানায় অভিযোগ দায়ের করেন ।
নিরাঞ্জন শীল জানান, আমার বোনের টিউমার অপেরাশন করতে প্রায় লাক্ষখানেক টাকার প্রয়োজন সে কারণে গরু দুটি বিক্রি করি । তিনি আরো বলেন টাকার জন্য গরুর বেপারী মতিনের কাছে বহু ঘুরেও টাকাটা না দিয়েও মতিন উল্টো আমার কাছে বিমার টাকা দাবি করে আমি টাকা উদ্ধারে থানায় অভিযোগ দায়ের করি ।
এ বিষয়ে কথা হলে গরুর বেপারী মোঃ আঃ মতিন জানান, আমরা তার গরু দুটি একলক্ষ ত্রিশ হাজার পাঁচ শত টাকায় কিনে নিয়েছি এরমধ্যে নগদ দশ হাজার পাঁচ শত টাকা দিয়েছি তবে তার মাধ্যমে আমাদের বিমার টাকা জমা আছে এক লক্ষ পনেরো হাজার সেটি পেলে আমরা তার গরুর টাকা বুঝিয়ে দিবো ।
ওই ওয়ার্ডের কাউন্সিলর জাফর ইকবাল চপল জানান,নিরাঞ্জন মতিনের কাছে গরু দুটি বিক্রি করেছে এ সংক্রান্তে একটি শালিশি বৈঠকে আমি ছিলাম সেখানে উপস্থিত প্রায় শতাধিক লোকজন তাদের সবার দাবি ঠিক মত সময়ে নিরাঞ্জন আমাদের টাকা পরিশোধ করতে পারছেনা । তিনি আরো বলেন গ্ৰাহকরা আমার কাছে বারংবার টাকা উদ্ধারে সহযোগিতা চাইলে আমি পরিস্থিতি অনুকুলে আনতে নিরাঞ্জনকে দুমাস সময় দিয়েছি ।
সোনাতলা থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ জালাল উদ্দিন বলেন,এ সংক্রান্তে একটি অভিযোগ পেয়েছি এবং দুপক্ষকে থানায় ডেকেছি ।
Leave a Reply